
এম. ওবায়েদুল কবীর, স্টাফ রিপোর্টার: | রবিবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার দেওয়ালের টেক গ্রামের নরসিংদী জেলা পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন মেজুর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাতরা নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা শাখা পুলিশ ও শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদুজ্জামান, এস আই কামরুজ্জামান সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
শনিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করে ওসি ফরিদুজ্জামান বলেন, আমি ঘটনাস্থল দেখে এসেছি, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৩ টায় এই ডাকাতি সংঘটিত হয়।
বাড়িটি দুইতলা ৩ কক্ষ বিশিষ্ট। বাড়িতে একটি কক্ষে মেজবাহ উদ্দিন ও তার স্ত্রী বাস করেন। অপর ২কক্ষ খালি ছিল। মুখোশপরা ডাকাত দলের ৭ সদস্য খালি কক্ষের পাশের বারান্দার গ্রিলের ১০টি রড কেটে ভিতরে ঢুকে থাই জানালার ২টি রোড কেটে কক্ষে প্রবেশ করে। একক্ষের আলমারি থেকে ১৯ লক্ষ টাকা নিয়ে পাশের কক্ষে ঢুকে। অপর কক্ষে শুয়ে থাকা মেজবাহ উদ্দিন এর গলায় ছুরি এবং পেটে দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে চাবি সংগ্রহ করে। কক্ষে থাকা আলমারি থেকে আরো ১৫ লাখ নগদ টাকা ও ১৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। তাছাড়া বিছানার নিচ থেকেও নগদ ২ লক্ষ টাকা নিয়ে যায় বলে জানান মেজবাহ। তার স্ত্রী চিৎকার করতে চাইলে তার গলায়ও ছুড়ি ঠেকায়। মুখোশধারী ডাকাতরা কক্ষে প্রবেশ করে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মেজবাহ ও তার স্ত্রীকে জিম্মি করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
মেজবাহ বলেন শুক্রবার দিবাগত রাত অনুমান ৩টার দিকে ৭ জনের একটি মুখোশধারী ডাকাতদল অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়ির বারান্দার ও থাই জানালার গ্রিল কেটে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। পরে ডাকাতদল আমাকে ও আমার স্ত্রীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। এ সময় ডাকাতদল ২টি আলমিরার ড্রয়ার থেকে রক্ষিত ১৭ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার, প্রআয় ৪০ লাখ নগদ টাকা, ২টি বাটন মোবাইল ফোনসহ প্রায় ৫৪ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে একটি মোবাইল ফোন রাস্তার পাশে ভাঙ্গা অবস্থায় পাওয়া যায়। মেজবাহ জানায়, ঢাকার দল পৌনে চারটার দিকে বাড়ি থেকে লোড করা মালামাল নিয়ে রাস্তার পাশে রাখা একটা হাইস গাড়িতে উঠে ঢাকা সিলেট হাইওয়ে রাস্তার দিকে চলে যায়। ডাকাতদল চলে যাওয়ার পর আমাদের ডাক-চিৎকারে আমজাদ হোসেন শিশু, আব্দুল বাতেন, মোশারফ হোসেন, দুলাল মিয়া, সোহরাব হোসেন ও নুরুল ইসলামসহ পাড়া-প্রতিবেশী লোকজন এসে ঘরের মালামাল এলোপাতাড়ি অবস্থায় দেখতে পান।
মেজবাহ আরও জানান, আমি পোল্ট্রি মুরগি পাইকারি বিক্রি করি যা পিকআপ গাড়ির মাধ্যমে ঢকাসহ অন্যান্য শহরে চালান হয়। প্রতিদিনের আমদানিকৃত টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের টাকা ব্যাংক বন্ধ থাকায় বাড়িতে রাখা হয়। এই প্রথম এরকম একটা দুর্ঘটনা ঘটলো।
এ ব্যাপারে শিবপুর থানায় একটি ডাকাতি মামলা রজু করা হয়েছে বলে জানান শিবপুর থানার ওসি ফরিদুজ্জামান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) অনির্বাণ চৌধুরী, শিবপুর থানার ওসি ফরিদুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্স সহ শনিবার রাত সাড়ে দশটায় ঘটনাস্থল পুনঃ পরিদর্শন করেন।
Posted ১০:১৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৪
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।