নিজস্ব প্রতিবেদক বুধবার, ১৬ জুন ২০২১
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলা পাচ্চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যান ভূমিদস্যু হাজী মোঃ দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার বিভিন্ন সময় মানুষের কাছে জমি বিক্রি করে তাদের জমি না বুঝিয়ে দিয়ে ক্রেতাদের হুমকি ও নির্যাতন করেন। দেলোয়ার হোসেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ২০১২ সনে হাজী মোঃ আইয়ূব খানের নিকট তার জমি বিক্রি করে। টাকার অভাবের কথা বলে আইয়ূব খানের জমি বিক্রি করে। অথচ আজকে একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যান হয়ে কিভাবে শত শত কোটি টাকা মালিক হন। ২০১২ সনে আমি ১০ শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রি করে ক্রয় করি। আমি একজন প্রবাসী বাংলাদেশের রেমিটেন্সের জন্য সৌদি আরবে যুদ্ধ করি।
বিগত ৩২ বছর বাংলাদেশে রেমিটেন্স বৃদ্ধির জন্য অনেক ভূমিকা রেখেছি। ভূমিদস্যু দেলোয়ার এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি নিজে ভোগ দখল করে পরবর্তীতে আইয়ূব খান তার জমি চাইতে গেলে বিভিন্ন সময় হয়রানি শিকার হতে হয়। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জমির কাগজপত্র নিয়ে বেশ কয়েকবার বিচার করে আইয়ুবের পক্ষে রায় দিলেও সে কারোও কথা শুনেনি। একপর্যায়ে উক্ত বিষয়টি নিয়ে মাননীয় চীফ হুইপ নূরে আলম চৌধুরী লিটনের কাছে গেলে উভয় পক্ষের জমির কাগজপত্র দেখেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিবচরের মাদারীপুর জেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি জনাব মুনির চৌধুরী, শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র, বাদশা টেক্সটাইলের মালিক ও ১৮ জন ইউপি চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। সভায় সবার উপস্থিতে হুইপ বাদশা মিয়ার কাছে জমির দলিল দেখতে বলেন।
তখন বাদশা মিয়া বলেন আইয়ুব খানের জমির দলিল অনুযায়ী সে তার জমি পাইবে। পরিশেষে মাননীয় চীফ হুইপ নূরে আলম চৌধুরী লিটন চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনকে নির্দেশ দেন ৭ কার্য দিবসের মধ্যে দলিল অনুযায়ী তার জমি বুঝিয়ে দিতে। কিন্তু জমি বুঝিয়ে নিতে চাইতে গেলে তিনি আবার তালবাহানা শুরু করেন। তখন আবার আইয়ুব খান বাদশা টেক্সটাইলের মালিক জনাব বাদশা মিয়ার কাছে গেলে সে বলে আপনি জমির দলিলের ফটোকপি জমা দিয়ে যান। আমি উক্ত বিষয়টি দ্রæত সমাধান করবো । কিন্তু আজ অবধি পর্যন্ত আমি আমার জমি বুঝিয়ে পাইনি। উক্ত বিষয়টি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে। উপরোক্ত বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন কামনা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১২:১০ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৬ জুন ২০২১
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel