পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠী প্রনব আশ্রমের পাশে একটি ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে ২টি গাছের মূল কান্ড কেটে বহুতলা ভবন নির্মান কাজ চলছে। অবসর প্রাপ্ত প্রাইমারী প্রধান শিক্ষক দিলিপ বড়াল নতুন ভবন নির্মাণ করতেই এ গাছের মূল কান্ড কেটেছে বলে জানা গেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাজিরপুর টু শ্রীরামকাঠী মেইন সড়কের পাশে প্রনবানন্দ মঠ সংলগ্ন উপজেলা পরিষদ ও বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে প্রায় ৫০ বছর পূর্বেই এ গাছ রোপন করা হয়। দিলিপ কুমার বড়াল নামের এক ব্যক্তি সরকারি কোন অনুমতি না নিয়েই এ গাছের মূল কান্ড কর্তন করেন। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে সরকারি গাছ কর্তন করার অনুমতির জন্য একটি আবেদন করেণ। অপরদিকে গাছ কাটার খবর পেয়ে বনায়ন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কর্তনকৃত গাছের মূলকান্ড শ্রীরামকাঠী বন্দরস্থ বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী আবুল কালাম (ডালিম) শেখ এর জিম্বায় রেখে আসেন।
অভিযুক্ত দিলিপ বড়ালের ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মেয়ে মৌ মিতা বড়াল জানান, আমরা অফিসে গাছ কাটার জন্য আবেদন করেছি । আমরা গাছ কাটার অনুমতি এখনও পাই নাই।
নাজিরপুর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এম খোকন কাজী জানান উপজেলা বন বিভাগ অফিস থেকে লোক এসে দিলিপ বড়ালের কাটা গাছগুলো জব্দ করে। এবং তিনি আরো জানার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের পালাতক চেয়ারম্যান উত্তম কুমার মৈত্রের চাচাত ভাই শংকর কুমার মৈত্র উপস্থিত থেকে এ গাছ কাটান। এ ব্যাপারে বন কর্মকর্তা আবু বকর ছিদ্দিকের নিকট জানতে চাইলে, তিনি বলেন আমি খবর পেয়ে আমার অফিস স্টাফদের ঘটনাস্থলে পাঠাই, সে ১৪.৯ ঘনফুট ৬ টুকরা কর্তন করা গাছ জব্দ করে স্থানীয় আবুল কালাম (ডালিম) শেখের জিম্বায় রেখে আসে, তবে দিলিপ বড়াল যে দিন গাছ কাটে সেদিনই তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি আবেদন করেণ। নির্বাহী অফিসার মহোদয় ঐ দিনই আমাদের উপর তদন্ত দেন। আমি বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ মত বন আইনে মাললা করিব। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান জানান, দিলিপ বড়াল তার ভবন নির্মানে বধাগ্রস্থ হওয়ায় গাছের মূল কান্ড কাটার জন্য আমার নিকট আবেদন করেছে। আমি বন কর্মকর্তাকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দিয়েছি। তবে আবেদন করার পূর্বে যদি গাছ কেটে থাকে তাহা তদন্তে প্রমানিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।