বুধবার ৯ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

>>

স্বামী পরিত্যক্তা নারীর সংঘবদ্ধ প্রতারণায় তছনছ বেলাবোর যুবক পুলিশ সদস্য নাঈমের জীবন

প্রদীপ কুমার দেবনাথ,   |   শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩   |   প্রিন্ট

স্বামী পরিত্যক্তা নারীর সংঘবদ্ধ প্রতারণায় তছনছ বেলাবোর যুবক পুলিশ সদস্য নাঈমের জীবন

নরসিংদী জেলার বেলাবো উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের নাঈম নামক এক যুবক (পুলিশ সদস্য) ফৌজিয়া ইসলাম ফাতেমা নামক একাধিক স্বামী পরিত্যক্তা নারীর প্রতারণার শিকার , মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন । নাঈম জানায় গত ৭ ফ্রেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখে Fawzia Islam নামক ফেসবুক আইডি থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায় তার আইডিতে । উক্ত আইডি থেকেই পুলিশ সদস্যের আইডিতে স্বেচ্ছায় মেসেজ পাঠাতে থাকে । এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্য মেসেজের রিপ্লাই করলে তাদের কথোপকথন শুরু হয় এবং আস্তে আস্তে বন্ধুত্ব তৈরি হয় । বন্ধুত্বের রেশ ধরে তাদের মধ্যে বিভিন্ন রকম কথা চলতে থাকে । কিছুদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মেসেঞ্জারে কথা বলার পর ফৌজিয়া নাঈমকে জানায় সে লন্ডন যাবে তার আত্মীয় আল মমিন নামক এক ব্যক্তির কাছে তাই ভিসা প্রসেসিং করার জন্য সে ঢাকায় আসবে শীঘ্রই । ভিসা প্রসেসিং এর সময়কালীন ঢাকা থাকার জন্য একটা বাসা দেখে দিতে নাঈমকে অনুরোধ জানায় সে । নাঈম তাকে সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দেয় এবং বাসা খুঁজতে শুরু করে । কয়েকদিন পেরোতেই ফৌজিয়া নাঈমকে জানায় লিলন নামের এক খালাতো ভাইয়ের সহযোগিতায় লিলনের খালাতো ভাইয়ের বাসায় উঠেছে । এবার ফৌজিয়া নাঈমকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখাতে থাকে । এরই মধ্যে ফৌজিয়া তার কয়েকজন আত্মীয়ের সাথে নাঈমকে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং প্রস্তাব করে স্বল্প খরচে আমেরিকা নিয়ে যাওয়ার । ফৌজিয়া ও তার পাতানো খালাতো ভাই লিলন এবং আরো কয়েকজন নিয়মিত নাঈমের সাথে যোগাযোগ করতে থাকে । নাঈম তাদের আচরণ ও ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে যায় এবং তাদের বিশ্বাস করতে শুরু করে । ফৌজিয়া ও তার আত্মীয়দের প্রস্তাবে এবং আমেরিকার উন্নত জীবনযাপন ব্যবস্থা ও অধিক টাকা ইনকামের আশায় তাদের প্রলোভনে সায় দেয়। নাঈমকে তারা জানায় আমেরিকা ভিসা ও সকল কার্যক্রম শেষ করে তারা ১৫ লক্ষ টাকা নিবে এবং আমেরিকা পৌঁছানোর পর চাকরি করে ওখান থেকেই ১৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ করতে হবে । এমন সহজ শর্তে সে প্রলোভিত হয় । নাঈম সরল মনে এসব বিশ্বাস করে এবং নিয়মিত তার সাথে যোগাযোগ করতে শুরু করে । এ সময় প্রতারক ফৌজিয়া তার কথাবার্তা বিশ্বাস করানোর জন্য বিভিন্ন ভিআইপি লোকদের নাম্বার দেয় এবং তাদের সাথে নাঈমকে মুঠোফোনে কথা বলায় । ভিআইপি লোকদের মধ্যে পুলিশ কর্মকর্তা, বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, ব্যবসায়ী, জার্নালিস্ট ও সাংবাদিক এমন অনেক ব্যক্তির এবং নাঈম তাদের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রাখার ফলে ধরে নেয় তারা সঠিক । এরই মধ্যে ফৌজিয়া ও তার পাতানো খালাতো ভাই মিলে নাঈমকে কয়েকবার ঢাকায় বাসায় যেতে আমন্ত্রণ জানায় । ছুটি পেয়ে একদিন নাঈম ঢাকার বসুন্ধরায় ফৌজিয়ার দেওয়া বাসার ঠিকানায় পৌঁছায় । সেখানে আরো দুইজন নারীসহ ফৌজিয়া আগে থেকেই অপেক্ষা করতে থাকে! নাঈম ফৌজিয়ার কাছে জানতে চান লিলন ভাই কোথায়? ফৌজিয়া জানান গুরুত্বপূর্ণ কাজে বাহিরে গেছে কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবে । তারপর নাঈমকে তারা বাসায় নিয়ে যায় এবং খাওয়া দাওয়া করতে অনুরোধ করে । নাঈম মানিব্যাগ এবং মোবাইল রেখে ওয়াশরুমে ফ্রেশ হতে যায় । ওয়াশরুম থেকে ফিরে এসে দেখে মোবাইল এবং মানিব্যাগটি নেই । কিছুক্ষণের মধ্যেই সে লক্ষ্য করে রুম থেকে তিনজন মেয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় নাঈমের সামনে এসে উপস্থিত হয় । নাঈম ঘটনা আন্দাজ করে সেখান থেকে পালাতে চাইলে তাকে পথরোধ করে এবং নানা ভয় দেখিয়ে সেখানে থাকতে বলে। নাঈম তখন বুঝতে পারে সে সঙ্গবদ্ধ চক্রের ফাঁদে পড়েছে । কিছুক্ষণের মধ্যে ফৌজিয়া সহ অন্য মেয়েরা মদ এনে তাকে পান করতে বলে এবং মদ্যপান না করলে লোকজন ডেকে এনে তাকে অপদস্ত করে মেরে ফেলার হুমকি দেয় । পরিস্থিতি ভয়াবহতা চিন্তা করে নাঈম মদ পান করে । অভ্যাস না থাকায় সেখানেই বমি করে দুর্বল হয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে পড়ে । জ্ঞান ফিরার পর নাঈম দেখে সেও বিবস্ত্র অবস্থায় আছে এবং ফৌজিয়ার সঙ্গীরা তার ভিডিও করছে । কিছুক্ষণের মধ্যে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ছেলে এসে নাঈমকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে এবং নাঈমের সামনে একজন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা কে ফোন দেয়, উক্ত পুলিশের কর্মকর্তাকে নাঈমের মোবাইল নাম্বার দিয়ে সকল তথ্য বের করে দিতে বলে এবং কিছুক্ষণ পর উক্ত পুলিশ কর্মকর্তা তাদের ফোন দিয়ে জানান ইমেইলে সিডিআর পাঠিয়ে দিয়েছে তখন চক্র তাদের সাথে থাকা ল্যাপটপ চালু করে পুলিশ সদস্য নাঈমের যাবতীয় ঠিকানা কল লিষ্ট এবং অন্যান্য তথ্য নাঈমকে বলতে থাকে । নাঈমের ব্যবহৃত ফেসবুক একাউন্ট পূর্বেই হ্যাকিং করে ফেলে এবং ফেসবুকের যাবতীয় তথ্য নাঈমকে দেখায় । পূর্বে চক্রটি যাদের ফাঁদে ফেলেছিলো এবং কিভাবে শারীরিক নির্যাতন করেছিলো এমন কিছু ভিডিও স্থির চিত্র তাদের নিকট থাকা ল্যাপটপ ও মোবাইলে নাঈমকে দেখায় । এইসব দেখে ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্য নাঈম ভয়ে ভীত হয়ে যায় । চক্র জানায় তাদের কিছুই করার ক্ষমতা নেই নাঈমের কেননা পুলিশের অনেক কর্মকর্তা এবং কোর্ট তাদের ইশারায় চলে । তারা দিনকে রাত ও রাতকে দিন বানাতে পারে বলেও হুমকি প্রদর্শন করে এবং বেশি চালাকি করলে ভবিষ্যতে বিপদ আছে বলে নাঈমকে জানায় । নাঈম ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হবার জন্য তাদের হাতে পায়ে ধরে কান্নাকাটি শুরু করে এবং বাড়িতে এসে তাদের চাহিদা মত টাকা পরিশোধ করে দিবে বলে জানায় । একপর্যায়ে ফৌজিয়া ইসলাম তার প্রতি একটু বিনয় হয় এবং সাথের সবাইকে নিয়ে একটি কক্ষে মিটিং করে এসে তাঁকে কয়েকটি শর্তে ছাড়তে রাজি হয় । নাঈম জীবন রক্ষার্থে সকল শর্ত মানতে রাজি আছে বলে তাদের জানান । পরক্ষণে আরো অজ্ঞাতনামা দুইজন কিছু কাগজপত্র নিয়ে আসে । তারা তাকে ১০০ শত টাকার তিনটা সাদা ষ্টাম্প ও অন্যান্য কিছু কাগজে স্বাক্ষর দিতে বলে তখন সে বাধ্য হয়ে স্বাক্ষর দেয় । একপর্যায়ে ফৌজিয়া ইসলাম সহ অন্যরা তাকে পাঠিয়ে দেয় এবং থানায় গেলে কোনো লাভ হবেনা বলে হুঁশিয়ারি করে দেন । নাঈম ওখান থেকে বের হয়ে সরাসরি বাড়িতে চলে আসে এবং তাদের সমস্ত কিছু ব্লক করে দেয় মোবাইলের সিম পাল্টে ফেলে । চক্রটি নাঈমের সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হলে এক মাস পর তার মোবাইল ট্র্যাকিং করে তার মায়ের নাম্বার ও মামার নাম্বার এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংগ্রহ করে তাদের হুমকি দিতে থাকে এবং নাঈমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানান । নাঈম বিষয়টিকে প্রথমে গুরুত্ব দেয়নি। পরে বিষয়টি নিশ্চিত হয় সিরাজগঞ্জ কোর্টে তার বিরুদ্ধে তারা পর্ণগ্রাফি আইনে মামলা করে। নাঈম জানায়, তার মানিব্যাগ থেকে ০১৭৯৪৪৪১১১৯ নাম্বারের সিম কৌশলে রেখে দেয় এবং পরবর্তীতে এই সিম দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমু আকাউন্ট খোলে বিভিন্ন মানুষদের কাছে টাকা দাবি করে । সে সময় নাঈম কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানায় কর্মরত ছিলো । চক্রটি কিশোরগঞ্জ জেলার এসপি মহোদয়ের সাথে স্বাক্ষাত করার জন্য শাহিনুর রহমান শাহিন নামের পিবিআইয়ের একজন এডিশনাল এসপি মাধ্যমে তদবির করে । চক্রটি এসপি মহোদয়ের কাছে শাহিনুর রহমান শাহিন এডিশনাল এসপির নির্দেশনা মতো চলে যায় এবং নানান অভিযোগ করে আসে । এসপি মহোদয় পুলিশ সদস্য নাঈমকে ডেকে এনে ঘটনা বিস্তারিত জানতে চান এবং এটা সমাধান করার নির্দেশ দেন । এসপি মহোদয়ের নির্দেশনা মতো নাঈম চক্রের সাথে সমাধান এর জন্য যোগাযোগ করলে তারা দশ লাখ টাকা দাবি করে নয়তো তাদের কাছে থাকা ভিডিও ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে দিয়ে সম্মানহানি করার হুমকি দেয় । লন্ডনে অবস্থান করা চক্রের আরেক সদস্য মমিন নামক এক ব্যক্তি নাঈমকে এসপি পরিচয়ে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে কিছু দিক নির্দেশনা দেয় হয়তো টাকা নয়তো ফৌজিয়াকে বিয়ে করতে হবে বলে জানায় । ইতিমধ্যে চক্রটি নাঈমের ফেসবুকের ফ্রেন্ড লিষ্ট থেকে কয়েকজন বন্ধু ও এলাকার কয়েকজনকে ফেসবুকে যুক্ত করে নেয় এবং নাঈমের সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য ও ভুয়া তথ্য প্রেরণ করতে থাকে । নাঈমের এলাকার পরিচিত কয়েকজন চক্রের সাথে মিলে নাঈমের পারিপার্শ্বিক তথ্য চক্রের কাছে আদান-প্রদান করতে থাকে যা এখনো অব্যাহত আছে । ফৌজিয়া ইসলাম তার ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে আবার হুমকি ধমকি দিতে থাকে এমনকি কুকুরের মতো রাস্তায় রাস্তায় ঘুরাবে বলে হুমকি দেয় । তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে ঘটনা স্থল অনত্র হওয়ার অজুহাতে বেলাব থানা থেকে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয় উপায়ান্তর খোঁজে না পেয়ে সম্মান বাঁচানোর জন্য চক্রের কথা মতো টাকা দিতে রাজী হয় পুলিশ সদস্য । পরবর্তীতে নরসিংদীতে এসে টাকা নিতে রাজী হয় চক্রটি । ফৌজিয়া ও চক্রের সদস্যরা নরসিংদীতে পরিচিত নেতা ও প্রভাবশালী ব্যক্তির মাধ্যমে ঘাঁটি তৈরি করে ১০/৫/২০২৩ ইং তারিখে নরসিংদীতে নাঈমকে ডাকে । পুলিশ সদস্য নাঈম তার এলাকার পরিচিত দুইজনকে নিয়ে নরসিংদীতে গিয়ে চক্রের কাছে আড়াই লাখ টাকা দিয়ে আসে । বাকি সাড়ে সাত লাখ টাকা সময় মতো দিতে না পারায় চক্রটি আবার ঝামেলা করতে শুরু করে এবং ফৌজিয়াকে বাদি করে সিরাজগঞ্জ কোর্টে ভুল তথ্য দিয়ে পরপর দুটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে দেয় এবং সমন গোপন করে রাখে । পাটুলি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইফরানুল হক ভুঁইয়া জামান ও বিন্নাবাইদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সুলতানা রাজিয়া স্বপ্না বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান রেজা কিবরিয়া ও জামতৈল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মকবুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তারা সমাধানের আশ্বাস দেন কিন্তু ফৌজিয়া ইসলাম ফাতেমা কোনো জনপ্রতিনিধিদের কথায় সাড়া দেননি বরং বিভিন্ন সময় চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেন । পরবর্তীতে পুলিশ সদস্যের পরিচিত মানুষদের কাছে ভুয়া কাবিন বানিয়ে কাবিনের ছবি প্রেরণ করতে থাকে এবং নাঈমের ছবি ইডিট করে চলো গড়ি বেলাব নামক ফেসবুক গ্রুপ সহ বিভিন্ন গ্রুপে পোষ্ট করতে থাকে । পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করবে নয়তো পত্রিকায় ছবি সহ সংবাদ প্রকাশ করবে বলেও হুমকি প্রদান করে আসছে । তবে যে তারিখ মামলাটিতে উল্লেখ করা হয়েছে ঐ তারিখে পুলিশ সদস্য নাঈম চাকরিতে ডিউটিরত ছিল। সে একজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ায় স্বেচ্ছায় হাজিরা দিতে কোর্টে গিয়ে উপস্থিত হয় এবং মিথ্যা মামলার জামিন প্রার্থনা করলে ম্যাজিস্ট্রেট জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয় । পরবর্তীতে জামিন হলে সিরাজগঞ্জ জেলখানা থেকে আনতে সেখানে যাওয়া তার চাচাতো ভাই সাহান ও মামা অহিদুজ্জামানকে ফৌজিয়ার ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা তাড়া করলে তারা প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরে আসে । ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্যের সাথে যোগাযোগ করলে আমাদের জানায় চক্রটি মামলাতে যে তারিখ ও ঘটনার স্থান উল্লেখ করেছে সেই তারিখে সে কিশোরগঞ্জ তাড়াইল থানায় ও কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইনে উপস্থিত ছিল। প্রয়োজন হলে হাজিরাশীট ও সিসি ক্যামেরা ফুটেজ চেক করার অনুরোধ জানায় সে । কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানায় খোঁজ নিয়ে মামলার উল্লেখিত তারিখ ও ঘটনার তারিখগুলো মিলিয়ে দেখা যায় পুলিশ সদস্য ঐদিন থানাতেই কর্মরত ছিলো এবং আরেক মামলার উল্লেখিত তারিখে সে কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইনে উপস্থিত ছিল। কিন্তু কামরখন্দ থানার মামলার তদন্তকারী এস আই মোঃ হাফিজুর রহমান রিপোর্ট দিয়েছে ঘটনার সময় পুলিশ সদস্য জামতৈল বাজারে এসে বাদীর সাথে বাকবিতন্ডা করে এবং অপরাধ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে বলে কোর্টে রিপোর্ট প্রদান করে । মামলার বাদী ফৌজিয়া ইসলাম ফাতেমা সম্পর্কে এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তাঁর পূর্বে একাধিক বিয়ে করেছিল এবং নানা কারণে বিচ্ছেদ ঘটেছিল। সিরাজগঞ্জ কোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা যায় পূর্বেও ফৌজিয়া ইসলাম অনেকের নামে মামলা করেছে । মামলা মুকদ্দমা করে বিপাকে ফেলে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়া । পুলিশ সদস্য নাঈম বর্তমানে মামলার জামিনে থাকলেও সিরাজগঞ্জ কোর্টে গিয়ে হাজিরা দিতে পারছে না কেননা সিরাজগঞ্জ আসলে চক্রটি আক্রমণ করবে বলে মোবাইল ফোনে বারবার হুমকি দিচ্ছে এবং আরো মামলা করবে বলেও হুঁশিয়ারি করছে । এমতাবস্থায় পুলিশ সদস্য সহ তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন । পুলিশ সদস্য নাঈম আরো জানান সাজানো মামলার কারণে আমি খুবই আতঙ্কিত হয়ে আছি এবং লজ্জায় কারো সাথে মুখ দেখাতে পারছি না । সম্মানহানি হচ্ছে তাই কর্মস্থলেও যোগদান করতে পারছি না । এ অবস্থায় মিথ্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আমি মুক্তি চাচ্ছি এবং আমাকে হয়রানি ও সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সহযোগিতা কামনা করছি ।

Facebook Comments Box

Posted ১১:২০ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩

dainikbanglarnabokantha.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক

রুমাজ্জল হোসেন রুবেল

বাণিজ্যিক কার্যালয় :

১৪, পুরানা পল্টন, দারুস সালাম আর্কেড, ১০ম তলা, রুম নং-১১-এ, ঢাকা-১০০০।

ফোন: ০১৭১২৮৪৫১৭৬, ০১৬১২-৮৪৫১৮৬

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

design and development by : webnewsdesign.com

nilüfer escort coin master free spins