রাজশাহীর পবা উপজেলার হুজুরিপাড়া ইউনিয়নে ফসলি জমিতে অবৈধ ভাবে পুকুর খননের সময় ১ জনকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত ১০ ঘটিকায় পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট অভিজিত সরকার এর নেতৃত্বে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতে বালুমহাল ও ভূমি ব্যাবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪ ধারায় হুজুরিপাড়া ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম এলাকার মোঃ আলমগীর হোসেন এর ছেলে মোঃ হাসিবুল (১৮) কে ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় হুজুরিপাড়া ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম বিলে অবৈধ ভাবে রাতের আঁধারে পুকুর খনন করছিল অবৈধ পুকুর খননকারীরা । প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে রাজনৈতিক ছত্রছায়া ব্যবহার করে এবং প্রভাবশালী ব্যাক্তির নির্দেশে এগুলো পুকুর খনন করা হচ্ছে । ইউনিয়নের যেগুলো বিলে পুকুর খনন করা হচ্ছে সেগুলো বিলের জমিতে বছরে ৩টি করে আবাদ হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। এ বিষয়ে পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট অভিজিত সরকার বলেন,”আমি পবা উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই অবৈধ পুকুর খননের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে আছি।পবা উপজেলার কোথাও কোন বিলে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করতে দেওয়া হবে না।আপনারা ইতিমধ্যে দেখতে পাচ্ছেন যে যেগুলো বিলে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে সেগুলো জায়গায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।এর আগেও পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের কয়েক জায়গায় অবৈধ পুকুর খননের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছি।পুকুর খনন কাজে ব্যবহৃত এক্সভেটর মেশিন জব্দ করেছি।পবার বড়গাছি ইউনিয়নে কয়েকদিন আগেই ১জনকে সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেছি।কিন্তু তারপরেও অবৈধ ভাবে পুকুর খনন করাবন্ধ হচ্ছে না কোনক্রমেই।
গতকাল এক বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পায় হুজুরিপাড়া ইউনিয়নে রাতের আধাঁরেই পুকুর খনন করা হচ্ছে।তাই খবর পাওয়ার সাথে সাথেই এক মুহুর্ত বিলম্ব না করে সেই মুহূর্তেই অভিযানে যায়। সেখানে গিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল স্যার এর নির্দেশনায় আমরা পবা উপজেলা প্রশাসন পুকুর খননের বিরুদ্ধে সর্বদা তৎপর আছি।কেউ যদি পুকুর খনন করে কিংবা করতে চায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।