
রাজিবপুর উপজেলা প্রতিনিধি: | শনিবার, ১০ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট
ভারত বাংলা যৌথ বাজারের ব্যবসায়ীদের দীর্ঘ দিনের দাবি একটি ব্রিজ । ব্রীজ এর অভাবে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে হটের ব্যাবসায়ীরা। রাজিবপুর সীমান্ত ঘেঁষা গ্রামের মানুষ প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে ডিঙি নৌকা দিয়ে। সীমান্ত ব্রিজ নির্মাণ না করায় দুর্ভোগের শিকার জনসাধারণ। রাজিবপুর উপজেলার পূর্বদিকে অবস্থিত বালিয়ামারী ব্যাপারীপাড়া গ্রামের সামনে জিঞ্জরাম নদীতে বছরে নয় মাস পানি থাকে। এখানে ১টি ব্রিজ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের। এ নিয়ে এলাকায় বিভিন্ন সময় মিছিল, মিটিং ও সমাবেশ হয়েছে। তবুও কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে ২০১১ সালে মহাজোট সরকারের একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ ছিল সীমান্তহাট। ২০১১ সালে ২৩ জুলাই কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর উপজেলার সাড়ে ৪ কিলোমিটার পূর্বদিকে ভারতের কালাইরচর সীমান্তের বিপরীতে আন্তর্জাতিক পিলার ১০৭২-৪ এস জিঞ্জিরাম নদীর পারে এ সীমান্তহাট চালু হয়। বর্ডারহাটের উদ্দেশ্য ছিল দু দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমানো,স্বপ্ন ছিল পণ্য কেনাবেচার মাধ্যমে সীমান্তের দু দেশের মানুষের মাঝে বন্ধুত্ব আচরণ ও জনগণের দৈনন্দিন জীবনমান উন্নয়ন। হাটে ৮টি টিনশেড ঘর, ৩টি টয়লেট আছে। এতে বাংলাদেশের ২৫ জন এবং ভারতের ২৫ জন ভেন্ডার কেনাবেচা করবে। ৬৯টি পণ্য এ হাটে চলবে এবং ২০০ ইউএস ডলার সমান ১৬ হাজার ৯শ টাকার মালামাল ক্রয় করতে পারবে। সপ্তাহে দুদিন হাট বসবে যথাক্রমে বুধবার এবং সোমবার। হাটটি জমজমাট হয়ে উঠছে। নদীতে ব্রিজ না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ব্যাবসায়ীরা।
রাজিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আকবর হোসেন (হিরো) বলেন, যাতায়াতের সুবিধার্থে বর্তমানে সেখানে গ্রামবাসীর উদ্যোগে ২০টি ডিঙি নৌকার খেয়াই একমাত্র ভরসা।
Posted ৯:৩৪ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১০ জুন ২০২৩
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।