
জসীম উদ্দীন, জেলা প্রতিনিধি, মাগুরা: | মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ | প্রিন্ট
মাগুরার শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবন দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার করা হয়নি। এতে সেবা গ্রহীতা ও কর্মচারীদের সামনেই খসে পড়ছে পুরাতন ভবনের ছাদের পলেস্তরা। ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এর মধ্যেই হাসপাতালের প্রতিদিন সেবা নিচ্ছে শতাধিক মানুষ। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন হাসাপাতালের ডাক্তার-কর্মচারীরা। এদিকে হাসপাতালের বাউন্ডারি প্রাচীর পার্শ্ব রাস্তা থেকে নিচু হওয়ায় প্রায়শই ঘটছে চুরির ঘটনা। রাস্তা থেকে প্রাচীরের উচ্চতা কম থাকায় দেওয়ালের পার্শ্বের দোকান থেকে ময়লা ফেলা হচ্ছে হাসপাতালের মধ্যে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের পুরাতন ভবনে ল্যাব, টেকনিক্যাল ও জরুরী বিভাগ অবস্থিত।
ভবনের বিভিন্ন অংশের ছাদ ও দেয়াল থেকে পলেস্তরা খসে পড়ছে। এর মধ্যেই চলাচল করছেন সেবা নিতে আসা শতাধিক ব্যক্তিসহ হাসপাতালের কর্মচারীরা। ল্যাব ও মেকানিক্যাল বিভাগের তিনটি কক্ষের দেয়াল এবং ছাদের অধিকাংশ জায়গা রয়েছে ড্যাম। অনেক জায়গায় রয়েছে ছোট-বড় ফাটল। এর নিচে বসে কাজ করছেন মেকানিক্যাল বিভাগের বেশ কয়েকজন কর্মী। এ ছাড়াও শিশু ও প্রসূতি বিভাগের হলরুমে মাঝে মাঝেই খসে পড়ছে পলেস্তরার বড় বড় অংশ। নবজাতক নিয়ে হাসপাতালে সেবার জন্য আসা এক মায়ের সঙ্গে কথা হলে। তিনি বলেন, ‘দুদিন আগে আমার একটি কন্যা সন্তান হয়েছে। তাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য এসে আমরা খুব ভয়ে আছি। মনে হচ্ছে যেকোনো সময় মাথার ওপর পলেস্তরা খসে পড়তে পারে।’
সেবা নিতে আসা আরেক জন প্রসূতি মা জানান, হাসপাতালের সেবা ভালো হলেও ভৌত কাঠামোর অবস্থা খুবই খারাপ। অনেক স্থানে অবকাঠামোর অবস্থা বিপদজনক। সরেজমিন হাসপাতাল ঘুরে আরো দেখা যায়, পুরাতন ভবনের রান্না ঘর, শিশু, মহিলা এবং পুরুষ ওয়ার্ডসহ হাসপাতালের মূল ভবনটাই ঝুঁকির মধ্যে। এছাড়াও হাসপাতালের পূর্ব পার্শ্বের সীমানা প্রাচীর নিচু হওয়ায় সেখানের দোকানগুলো থেকে ময়লা ফেলা হচ্ছে হাসপাতালের মধ্যে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) আব্বাস উদ্দিন বলেন, সীমানা প্রাচীর পার্শ্ববর্তী রাস্তা অপেক্ষা নিচু হওয়ায় প্রায়ই হাসপাতালে ছোট বড় চুরির ঘটনা ঘটছে। হাসপাতালের পূর্ব পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানগুলো থেকে হাসপাতালের মধ্যে ময়লা ফেলা হচ্ছে, অপরদিকে প্রাচীর হেলে পড়ছে। অতিসত্বর অবৈধ দোকানগুলো উচ্ছেদ করার পাশাপাশি হাসপাতালের ভৌতিক কাঠামোর সংস্কার জরুরী।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাইমুন নেছা বলেন, হাসপাতালের পুরোনো ভবনের সংস্কার না করায় দেয়াল ও ছাদের নিচে ড্যাম হয়ে পলেস্তরা খসে পড়ছে। এছাড়াও সীমানা প্রাচীর নিচু হওয়ায় আবাসিক হলে মাঝে মাঝেই চুরির ঘটনা ঘটেছে ফলে এখানে সেবাদানকারী ডাক্তার ও কর্মচারীরা বড় ধরনের ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছে।
Posted ৪:৪২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।