
আলী হোসেন রুবেল, স্টাফ রিপোর্টার ভোলা: | রবিবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
গত ১১ অক্টোবর ২০২৩ থেকে ০২ নভেম্বর রাত মধ্যে রাতও পর্যন্ত ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার পর ভোলার মেঘনা তেঁতুলিয়ায় কাঙ্খিত ইলিশ মাছ পাওয়া না পাওয়া নিয়ে জেলেদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। যে জেলেদের ভাগ্যে মিলছে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ তারা অত্যন্ত খুশি এবং বলছে,এভাবে পেলে আমরা অতীতের ধার-দেনা, ক্ষতি,এবং লোকসান পুষিয়ে খুব দ্রুত সময় ঘুরে দাঁড়াতে পারব আশা করি ইনশাআল্লাহ। অপরদিকে মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় যে জেলেরা পাচ্ছে না কাঙ্খিত ইলিশের দেখা তারা কি না বলছে ভিন্ন সুর। তারা বলছে কাঙ্খিত ইলিশ না মিললে কিভাবে আমরা এনজিওর ধার-দেনা ও ক্ষতি পুষিয়ে নেব, আর কিভাবে বা আমরা আমাদের সংসার চালাবো। নিষেধাজ্ঞার পর গত ০৩ নভেম্বর শুক্রবার থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত দুই দিনে মেঘনা তেতুলিয়ায় ইলিশ পাওয়া না পাওয়া নিয়ে কেউ খুশি আবার কেউ হতাশ যা নিয়ে রীতিমতো জেলেদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
এদিকে, মাছ ধরা শুরু হওয়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে জেলে পাড়ায়। সরগরম হয়ে উঠেছে মাছের আড়ৎ। ইলিশ ধরার উৎসবে মেতে উঠেছেন জেলেরা। ভোলার উপকূলের বিভিন্ন ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, কারো যেন বসে থাকার সময় নেই, সবাই ছুটছেন নদীতে। জেলেদের আহরিত মাছ বিক্রি হচ্ছে আড়তে। জমে উঠেছে কেনাবেচা। জেলে, পাইকার এবং আড়ৎদারদের হাঁকডাকে সরগরম আড়ৎ। এমনি চিত্র ভোলার বিভিন্ন ইলিশের আড়তগুলোয়।
২২ দিনের দীর্ঘ অপেক্ষার পর নদীতে নেমেছেন জেলেরা। প্রথম দিনে যে পরিমাণ মাছ পেয়েছেন তা আড়তে বিক্রি করছেন। জেলেদের স্বপ্ন মাছ বিক্রির টাকায় বিগত সময়ের ধার-দেনা শোধ করে ঘুরে দাঁড়াবেন। জেলে কাঞ্চন, মফিজ ও সিরাজ জানান, নদীতে নেমে খুশি তারা। ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ধরা পড়ছে জালে। আড়তের দাম ভালো থাকায় ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা তাদের। দু’একদিন পর আরও বেশি মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তারা।
এদিকে, সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে প্রথম দিনে ইলিশ আহরণ নিয়ে বেশিরভাগ জেলে সন্তুষ্ট হলেও অনেকেই আবার হতাশ। কয়েকজন জেলে জানান, নিষেধাজ্ঞার পর যে পরিমাণ মাছ ধরা পড়ার কথা সে পরিমাণ পড়ছে না। তবে কিছুদিন পর ইলিশের উৎপাদন বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন তারা।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে নদীতে মাছের উৎপাদন আরও বাড়লে ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে মনে করছে জেলার মৎস্য বিভাগ। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেলেরা নদীতে ছুটছেন, মাছও পাচ্ছেন। তবে কয়েকদিন পর আরও বেশি মাছ ধরা পড়বে। উল্লেখ্য, দ্বীপ জেলা ভোলায় ইলিশ ধরার ওপর জীবিকা চলে এমন জেলের সংখ্যা তিন লাখের অধিক।
Posted ৭:৩১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৩
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।