নীলফামারীতে নানা আয়োজনে আধুনিক নার্সিং পেশার রূপকার ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের ২০৪তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে ‘আন্তর্জাতিক নার্স দিবস’ পালিত হয়েছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নীলফামারী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স ও নার্সদের আয়োজনে তত্ত্বাবধায়কের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়। পরে হাসপাতাপলের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও জন্মদিনের কেক কাটা হয়।
অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় হাসপাতালের উপসেবা তত্ত্বাবধায়ক শিখা রানী দেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু আল হাজ্জাজ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সহকারী পরিচালক (এডি) আরিফুজ্জামান ও আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. সালাউদ্দিন আহমেদ খাঁন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নাসিং সুপারভাইজার আনোয়ারা খাতুন, মির্জা আকতার বানু, গীতা রানী পাল, রেডিওলজিষ্ট নূরজ্জামান সরকার, সিনিয়র ষ্ট্যাপ নার্স আব্দুর রাজ্জাক, নার্গিস বেগম ও রিমন প্রমুখ। এছাড়াও সিনিয়র-জুনিয়রসহ ১৪২ জন নার্স র্যালীতে অংশ গ্রহন করেন।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক তার বক্তব্যে বলেন, ১৮২০ সালের ১২ মে ফ্লোরেন্স শহরে এক সভ্রান্ত পরিবারে জন্ম হয় নাইটেঙ্গল নামের এক মহিয়শি নারীর। ফ্লোরেন্স শহরের নাম অনুশারে তাঁর নাম রাখা হয় ফোরেন্স নাইটেঙ্গল। মানবসেবায় অসামান্য অবদানের জন্য তাকে উপাধি দেয়া হয় ‘লেডি ইউথ দ্য ল্যাম্প’। যিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করেছেন নাসিং পেশা।
তিনি বলেন, এটি পেশা নয় একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা। আজকার দিনে আমরা সবাই শপথ নিবো অসুস্থ্য মানুষের পাশে থেকে সেবা করার। একজন প্রশিক্ষিত নার্সই পারে রোগের অর্ধেক কমাতে। তাই চিকিৎসকের পাশাপাশি একজন নার্সের গুরুত্ব অপরিশিম।
‘এই মহিয়শি নারী একাধারে যেমন সমাজসেবক, লেখিকা, পরিসংখ্যানবিদ ও ‘দ্য লেডি ইউথ দ্য ল্যাম্প’ নামে আর্ন্তজাতিকভাবে পরিচিতি লাভ করে। তাঁর পিতার নাম উইলিয়াম এডওয়ার্ড নাইটিঙ্গেল ও মাতার নাম ফ্রান্সিস নাইটিঙ্গেল। তিনি মৃত্যু বরণ করেন ১৯১০ সালের ১৩ আগষ্ঠ। উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালের ১২ মে থেকে আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস হিসেবে পালন করা হয়।’