নরসিংদীর বাজারে বেলের চাহিদা ও দাম বেড়েছে। পাকা বেল ৩০ থেকে ৫০ টাকা, বড় বেল ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নরসিংদী পৌর শহরের হাটে বেলের চাহিদা বেশি। দেশি ও হাইব্রিড বেল পাওয়া যাচ্ছে। রমজান আসার আগে অনেকেই বেল কিনে রাখছেন। শীতের শেষে গরমে বেলের শরবতের চাহিদা বাড়ছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, বেলের শরবত হজমশক্তি বাড়ায়। এটি শরীরের জন্য উপকারী।
বেল ক্রেতারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন জেলা থেকে বেল এই শহরে আসে। দেশীয় বেলের সঙ্গে হাইব্রিড বেলও বাজারে পাওয়া যায়। তবে দেশীয় বেলের স্বাদ ভিন্ন। এর দামও বেশি। বেলের চাহিদা বাড়ায় তার দামও কিছুটা বেড়ে গেছে। রমজান আসার আগে অনেক পরিবার বেল কিনে রাখছেন। কারণ রমজানে সব পণ্যের দাম চড়া থাকে।
নরসিংদীর বটতলা হাটে বেল কিনতে আসা আবুল হোসেন লিটন নামে এক দিনমজুর বলেন, গ্রামে মাটি কাটতে যাচ্ছি। বেলগুলো দেখে ভালো লাগল। তাই চারটি বেল ১৬০ টাকায় কিনে নিয়েছি। এই বেল খেতে বেশ সুস্বাদু। এটি শরীরের জন্য উপকারী।
শীত শেষে ফাল্গুনে গরমের প্রভাব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেলের শরবতের চাহিদা বেড়েছে। শরবত বিক্রেতারা জানিয়েছেন, তাদের বাড়তি দাম দিয়ে বেল কিনতে হচ্ছে। নরসিংদী শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রতি গ্লাস শরবত ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে রমজানে বেলের শরবতের চাহিদা আরও বেড়ে যায়।
মাধবদী হাটে বেল বিক্রি করছেন ষাটোর্ধ্ব মোশাররফ হোসেন ও চাচাতো ভাই রফিকুল ইসলাম। মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রায় ৩০ বছর ধরে বেল বিক্রি করছি। রমজানে বেলের চাহিদা থাকে। তবে আজকের দিনে বেল বিক্রি বেশি হলেও সরবরাহ কম, চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। রফিকুল ইসলাম জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি সোনারগাঁ। বেলগুলো বাগেরহাট থেকে নারায়ণগঞ্জে ট্রাকে আসে। পাইকাররা তা কিনে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেলের শরবত হজমশক্তি বাড়ায়। এটি বলবর্ধক। বেলের পাতার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে চোখের ছানি ও জ্বালা উপশম হয়। পাতার রস, মধু ও গোল মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে পান করলে জন্ডিস রোগ নিরাময় হয়। বেল পেট খারাপ, আমাশয় ও শিশুর স্মরণশক্তি বাড়ানোর জন্যও উপকারী। রমজান এলে বেলের চাহিদা বেড়ে যায়।