
মোঃআব্দুস সালাম- চিরিরবন্দর ( দিনাজপুর ) প্রতিনিধি | বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলায় মানব সেবার শপথ নিয়েই চিকিৎসকদের চিকিৎসা পেশায় প্রবেশ করতে হয়। চিকিৎসকরা মানুষের জীবন রক্ষায় কাজ করেন। রোগীর পাশে বিশ্বস্ত বন্ধুর মতো দাঁড়াতে হয় চিকিৎসকদের। গ্রামীণ জনপদে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে বদলে গেছে চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দৃশ্যপট।
চিরিরবন্দরে বেশির ভাগ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র কেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির সার্বিক অবকাঠামোর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি, নিয়ম শৃঙ্খলার উন্নতি ও সেবার মান ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে হাসাপাতালের সেবা নিয়েও সন্তোষ্ট আগত রোগীরা।
জানা যায়, চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ তানভীর হাসনাত এর দক্ষ ব্যবস্থাপনায় অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়েও রোগীরা এখন আন্তরিকতাপূর্ণ সেবা পাচ্ছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মানসম্মত চিকিৎসা সেবা পাওয়ায় চিরিরবন্দর ও আশপাশের উপজেলা থেকে আগত প্রতিদিন প্রায় গড়ে ৭০ থেকে ৮০ বেডের রোগী ইনডোরে ভর্তি হয়ে সেবা নিচ্ছেন। ইনডোরে ভর্তিকৃত রোগীদের জন্য ২৪ ঘন্টা রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য জরুরী বিভাগের মেডিকেল অফিসার ছাড়াও ইনডোর মেডিকেল অফিসার সার্বক্ষনিক সেবা প্রদান করছেন। এ ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে আসা প্রতিদিন ৩শত থেকে ৪শত রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর জরুরী ও বহির্বিভাগে সেবা নিয়ে থাকে।
প্রতিমাসে ৫০ থেকে ৬০টি গর্ভবতী মায়ের নরমাল ডেলিভারি হয় । হাসপাতলে আগে গেলে ঔষধ পাওয়া যেত না এখন প্রায় ৮০ থেকে ৯০ ভাগ ঔষধ হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হয়ে থাকে এবং ভর্তিকৃত রোগীদের ঔষধ সরবরাহ করা হয়। আল্ট্রাসনো গ্রাম,রক্ত পরীক্ষাসহ সকল প্রকার পরীক্ষা সেবা প্রধান করে থাকে। ইনডোরে শিশুদের জন্য শিশু সেবা,মহিলা রোগীদের জন্য ভায়া পরীক্ষা,যক্ষা রোগীদের জন্য কফ পরীক্ষা ও জিন এক্সপার্ট ,সার্বক্ষণিক নরমাল ডেলিভারি করা হচ্ছে এবং ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম নিয়মিত চালু রয়েছে।
চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ তানভীর হাসনাত যোগদানের পর পর এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে বিভিন্ন কার্যক্রম ও আগত রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা শতভাগ নিশ্চিত করতে কয়েকটি কমিটি গঠন করে ও সকল কমিটির সঠিক তদারকিতে অল্প সময়ে সেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছেন। হাসপাতালের রোগীর খাবার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, সুবিধা-অসুবিধাসহ সার্বিক বিষয়ে নানামুখী সৃজনশীল কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তাছাড়াও রাত অবধি এই কর্মকর্তাকে হাসপাতালের কর্মব্যস্থ সময় পার করতে দেখা যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের আউটডোরে এএনসি-পিএনসি কর্নার,টেলিমেডিসিন কর্নার,আই এম সি আই কর্নার,ব্রেসট ফিডিং কর্নার, স্থাপন করে সেবা প্রধান করে আসছে। এনসিডি কর্নার চালু করে ওয়ান স্টপ সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ ডায়েবেটিক ও উচ্চ রক্তচাপ জনিত রোগে যারা ভোগেন তাদের একই সাথে নিয়মিত চেকআপ ও ফ্রি ঔষধ দেওয়া হচ্ছে।এছাড়া ও সম্প্রতি মনঃসাস্থ্য কেন্দ্র চালু হবার পর মন বিষয়ক বিশেষ সাস্থ্য সেবা মানুষ পাচ্ছে ঢাকা থেকে সরাসরি অডিও ভিসুয়াল কনসালটেশন এর মাধ্যমে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক স্বাস্থ্যকর্মী জানান, কিভাবে আরো সহজে প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও গ্রাম পর্যায়ে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা যায় এ ব্যাপারে প্রতিনিয়ত সভা-সমাবেশের মাধ্যমে তাদের সঠিক দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সূত্রে জানা যায়, করোনাকালে এখানে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা,করোনা আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি করে চিকিৎসা প্রধান, নিয়মিত করোনা টিকা দান কার্যক্রমের পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় গণটিকা প্রদান ও উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন সকল নাগরিককে প্রথম ডোজ,দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে।
লেবার ওয়ারড এ সিনডিকেট ভেঙে জরুরী প্রসুতি সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে।
চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ তানভীর হাসনাত বলেন, ‘মুজিব বর্ষে স্বাস্থ্য খাত, এগিয়ে যাবে অনেক ধাপ’। এই স্লোগানের মাধ্যমে একটি পরিকল্পনা করি কীভাবে এই হাসপাতালের পরিবর্তন আনা যায়। আমি চাই সেবার মান উন্নত হোক এবং মানুষ সেবা পাক।পরিকল্পনার অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।
Posted ১০:০৪ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।