
প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তি | বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | প্রিন্ট
ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাংলাদেশ জার্নাল এর অনলাইন সংস্করণে ২০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত “স্কুলের সভাপতি হতে প্রধান শিক্ষককের বাড়িতে হামলা-ভাংচুর” শিরোনামে সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে। যা মানহানিকর ও ভিত্তিহীন সংবাদ।
সংবাদটিতে উল্লেখ করা হয়েছে মনোহরদীতে হাইস্কুলের সভাপতি পদে নামের প্রস্তাব দিতে ক্যান্সার আক্রান্ত প্রধান শিক্ষককের গ্রামের বাড়িতে তিন দফা হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তার বাড়িতে ৫টি পটকার বিস্ফোরণ ঘটানো হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে ১১টি অবিস্ফোরিত পটকা পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে মানববন্ধনও করা হয়েছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক রমিজ উদ্দীন আকন্দ জানান, স্কুল গভর্নিং বডির কমিটিতে সভাপতি পদে নাম প্রস্তাব করতে বিপ্লব নামের এক নেতা নানাভাবে তার ওপর চাপ সৃষ্টি ও হুমকি প্রদান করে আসছিলেন। এ পরিস্থিতিতে গত সোমবার রাতে একদল মোটরসাইকেল আরোহী যুবক তার বাড়ির জানালার কাঁচ ভাংচুর করে। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
প্রকৃত পক্ষে আসল ঘটনা হলো বর্তমান প্রধান শিক্ষক বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে শরিফুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক (বরখাস্তকৃত) জাল সার্টিফিকেট নিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে স্কুলে নিয়োগ দেন। যা পরিবর্তিতে তদন্তে প্রমাণিত হয়। সঠিকভাবে তদন্ত করলে আরো জাল সার্টিফিকেটধারী শিক্ষককের সন্ধান এই স্কুলে পাওয়া যাবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। এমনকি ছাত্রীদের নিকট হতে উত্তোলিত টাকার সিংহভাগই তৎকালীন গর্ভানিং বডির সভাপতি ও বর্তমান প্রধান শিক্ষক যোগসাজসে হস্তগত করতেন। যা নিয়ে স্কুলের অন্যসকল শিক্ষকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছিল। আমি এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষককের কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি আমাকে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে অনুরোধ করেন বিনিময়ে আমাকে স্কুলের গর্ভানিং বডির সভাপতি করার প্রস্তাব দেন। আমি রাজি না হয়ে বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে অবহিত করবো বলে জানালে উক্ত প্রধান শিক্ষক আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের আশ্রয় নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে মূল ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন। পরিকল্পিতভাবে নিকৃষ্ট অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সংবাদে স্কুলের প্রধান শিক্ষক রমিজ উদ্দিনের বরাত দেওয়া হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং সাজানো নাটক। শিক্ষকের বাড়ীতে ককটেল বিস্ফোরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। সেখানে অবিস্ফোরিত কিছু ফটকা পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। আর এ ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এছাড়া সংবাদে আমার বক্তব্য না নিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ স্ববিরোধী ও সাজানো মিথ্যাচারের সুস্পষ্ট প্রমাণিত। সংবাদটিতে উল্লেখিত অভিযোগের পক্ষে বিশ্বাসযোগ্য কোন তথ্য দিতে পারেনি। মূলত আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে এবং অপশক্তির ষড়যন্ত্রকে বাস্তবায়ন করতে একটি মহল পটকা রেখে শিক্ষককের নাম ব্যবহার করে নীতিহীন নিউজ করে নাটক সাজিয়েছে। বক্তব্য ছাড়া এ ধরনের মিথ্যাচার সাংবাদিকতা কোন নীতির মধ্যে পড়ে না। যা করেছে তা আমার বোধগম্য নয়।
আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
-শাহাদত হোসেন বিপ্লব, যুগ্ম সম্পাদক, জাতীয়তাবাদী কৃষকদল, কেন্দ্রীয় কমিটি
Posted ৯:৫৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
dainikbanglarnabokantha.com | Shanto Banik
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।