
রিপোর্টার মোঃ জহিরুল ইসলাম | বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | প্রিন্ট
সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, বাংলাদেশের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ভবিষ্যতের করণীয় বিষয় ক্যাশ প্লাসসহ, এমআইএস সিস্টেমের মাধ্যমে নিবিড় পরিবীক্ষণ দ্বারা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য থেকে পরিত্রাণ সম্ভব বলে মনে করেন।
তিনি আজ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে consultative workshop “The future of social protection in Bangladesh: Taking stock of key innovations” শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর (অন্তবর্তীকালীন) মিস গেইল মার্টিন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এনডিসি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ মহিউদ্দিন, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র সামাজিক সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ মিস শ্রায়ানা ভট্টাচার্য, অর্থ বিভাগের যুগ্মসচিব আবুল বাশার মোঃ আমির উদ্দিন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ও প্রকল্প পরিচালক নাজমুল আহসান, পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর দীলিপ কুমার চক্রবর্তী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের যুগ্মসচিব নাজমুল আবেদিন, সিরাজগঞ্জ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক কানিজ ফাতেমা এবং ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের পলিসি অফিসার মামুনুর রশিদ সামাজিক নিরাপত্তার সমস্যা ও আশু করণীয় বিষয়ের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সাইদুর রহমান খানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ন্যাশনাল সোশ্যাল সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি (INSS) দ্বারা পরিচালিত সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অগ্রগতি করছে। কিন্তু আমি বলতে চাই, আমার দৃষ্টিকোণে শিশু ও মহিলাদের আত্মনির্ভরশীল করা এবং তাদের নিরাপত্তা, শিক্ষা দেওয়া ও সুস্থ রাখা যেমন রাষ্ট্রের দায়িত্ব, তেমনি যারা খুব বয়স্ক তাদের প্রতিও রাষ্ট্রের একটি বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে।
তিনি বলেন, শারীরিকভাবে সক্ষম অথচ দরিদ্র জনগোষ্ঠী, তরুণ, যুবক ও দরিদ্র মহিলাদের শুধু ভাতাভিত্তিক সহায়তার ওপর নির্ভর না রেখে তাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতার জায়গায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বিশ্বব্যাংক এবং অন্যান্য অংশীদারদের এই প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এ কর্মশালায় উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশে সামাজিক সুরক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়ে এই পরামর্শমূলক কর্মশালার উদ্বোধন করতে পেরে আমি আনন্দিত।” তিনি বিশ্বব্যাংককে এই সময়োপযোগী উদ্যোগ এবং ক্যাশ প্লাস পরিষেবা ও অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি কর্মসূচিতে বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরও বলেন, “হাজার হাজার কোটি টাকা অপচয় এবং বিদেশে পাচারের বিপরীতে রাষ্ট্রের যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে। শুধুমাত্র যদি সেই অর্থ ভালোভাবে, সুপরিকল্পিতভাবে কাজে লাগানো যায়। সামাজিক সুরক্ষা বৃদ্ধিতে অর্থের অভাব প্রধান সমস্যা নয়, বরং পরিকল্পনা ও কৌশলগত পরিবর্তন আনাটাই মূল বিষয়।”
তিনি বিদ্যমান ক্যাশ প্লাস প্রোগ্রামগুলোর নকশাকে শক্তিশালী করার জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করা এবং বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত মডেল ও সরকারী অগ্রাধিকার অনুযায়ী আর্থিকভাবে কার্যকর স্কেল-আপ পরিকল্পনাকে সংহত করার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, ডেটা ও উপযুক্ত প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করাই সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি।
Posted ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।