বুধবার ১২ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

>>

দারুশা কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার   |   রবিবার, ২৫ আগস্ট ২০২৪   |   প্রিন্ট

দারুশা কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন

রাজশাহীর পবা উপজেলাধীন দারুশা কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। গতকাল রবিবার (২৫ আগস্ট) সকালে ছাত্র-জনতার ব্যানারে পালিত এই মানববন্ধনে কলেজের অধ্যক্ষ সাহনাজ পারভিন এর নিয়োগ অবৈধ বলে দাবি তোলেন আন্দোলনকারিরা। মানববন্ধন শেষে আন্দোলন ও মানববন্ধনে অংশ নেয়া ছাত্ররা কলেজের মিলনায়তনে শিক্ষকদের সাথে আলাপ আলোচনা শেষে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) এর মধ্যে অধ্যক্ষের অপসারণ চেয়ে আল্টিমেটাম দেন।

আন্দোলনকারিরা অধ্যক্ষের অপসারণের ব্যানারে আন্দোলন করলেও কলেজের বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ ও পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অযৌতিক অর্থ আদায়ের বিষয়গুলো বন্ধের দাবি জানান। আন্দোলনকারিরা বলেন, কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও অধ্যক্ষ মিলে এই কলেজের বেশকিছু বিষয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। সাবেক এমপি আয়েন উদ্দিনের আমলে তিনিই ছিলেন সভাপতি। তার আমলে এই কলেজে বর্তমান অধ্যক্ষ সাহনাজ পারভীন নিয়োগ পায়। এছাড়াও মোটা অর্থের বিনিময়ে তিনি আরো কয়েকজন শিক্ষককে নিয়োগ দিতে বিভিন্ন ধরনের সহোযোগিতা করেছেন বলে দাবি আন্দোলনকারিদের।

কলেজের ব্যাংক হিসাবা ও কলেজ ফান্ডের অর্থ নিয়েও ছয়-নয় করার অভিযোগ উঠেছে গভর্নিং বডিসহ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। বৈষমের স্বীকার হয়েছেন অনেক সিনিয়র শিক্ষক। কলেজের শিক্ষক-কর্মচারির একাংশ এই আন্দোলনের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করে বলেন, গভর্নিং বডি যেভাবে কলেজ চালাতেন, আমরা সেভাবেই চলকে বাধ্য হতাম। তাই কোন প্রকার দুর্নীতির কথা জেনেও আমরা ভয়ে মুখ খুলতে পারিনি।

অধ্যক্ষের অপসারণের দাবির আন্দোলনে অন্যতম ভূমিকা রাখেন প্রধান সমন্বয়ক পরিচয়দানকারি মুসফিকুর রহমান ফুয়াদ, সমন্বয়ক পরিচয়দানকারি রাসিদুল ইসলাম জয়, কাউসার হোসেন রিফাত, সুইট হাসান, হাবিব, হাফিজুর রহমান সোহেল, আশিকুল ইসলাম, আতিক ইসলাম, নাঈম, মাহফুজ সহ অন্যান্য শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তি।

জানতে চাইলে অধ্যক্ষ সাহনাজ পারভীন বলেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর কলেজের সিনিয়র শিক্ষকদের বিশেষ অনুরোধে আমি অধ্যক্ষ পদে আবেদন করি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আমি অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেছি। যেহেতু আমি ঐকলেজে কর্মরত ছিলাম তাই নিয়ম মোতাবেক আমি অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই নিঅেগ পেয়েছি। আর্থিক দুর্নীতির বিষয়ে তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, আমার কাছে সকল প্রকার ডকুমেন্ট আছে। আমি কোনপ্রকার আর্থিক দুর্নীতি করিনি।

Facebook Comments Box

Posted ৮:১৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৫ আগস্ট ২০২৪

dainikbanglarnabokantha.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক

রুমাজ্জল হোসেন রুবেল

বাণিজ্যিক কার্যালয় :

১৪, পুরানা পল্টন, দারুস সালাম আর্কেড, ১১ম তলা, রুম নং-১১-এ, ঢাকা-১০০০।

ফোন: ০১৭১২৮৪৫১৭৬, ০১৬১২-৮৪৫১৮৬, ০২ ৪১০৫০৫৯৮

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

design and development by : webnewsdesign.com

nilüfer escort coin master free spins