শুক্রবার ১৪ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

>>

কাজিপুরে যমুনা নদীর ভাঙ্গনে ১নং সলিড স্পারে ধ্বস ঝুঁকিপূর্ণ অনেক স্থাপনা

আব্দুস সোবহান চান, কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ   |   শুক্রবার, ০৭ জুলাই ২০২৩   |   প্রিন্ট

কাজিপুরে যমুনা নদীর ভাঙ্গনে ১নং সলিড স্পারে ধ্বস ঝুঁকিপূর্ণ অনেক স্থাপনা

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের মেঘাই ১ নং সলিড স্পারের সম্মুখভাগে অন্তত ৩০ মিটার এলাকায় ধ্বসে যমুনা নদীতে বিলীন হয়েছে। সময়ের সাথে বেড়ে চলেছে পরিধি।
বাধটি পুরোপুরি ধ্বসে গেলে পর্যটন কেন্দ্র, মডেল মসজিদ, থানা, খাদ্য গুদামসহ সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ঝুঁকিতে পড়বে।
স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হবে জানিয়েছেন তারা। ভাঙ্গনরোধে কাজ শুরু করেছে পাউবো।
শুক্রবার (৭ জুলাই) সকালে কাজিপুর উপজেলার যমুনা নদীর মেঘাই ১ নম্বর সলিড স্পার বাঁধ এলাকায় হঠাৎ ধ্বস নামে।
কাজিপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বিপ্লব বাঁধ ধসের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যমুনায় কয়েকদিন ধরে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রবল স্রোত ছিলো, হঠাৎ সকালে মেঘাই ১ নম্বর সলিড স্পার এলাকায় ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয়। মুহূর্তেই স্পারের প্রায় ৩০ মিটার নদীগর্ভে চলে গেছে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী বলেন, ১৯৯৭ সালে কাজিপুর উপজেলা যমুনা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের প্রচেষ্টায় মেঘাই খেয়াঘাট এলাকায় ৩০০ মিটার সলিড স্পার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এরপর ২০১২ ও ২০১৩ সালের মাঝামাঝি পর্যায়ে স্পারটির মূল অংশের ১৫০ মিটার ধসে যায়। পরে স্পারের মাটির অংশটুকু রক্ষায় সিসি ব্লক দিয়ে প্রটেকশন দেওয়া হয়েছিল। সেই অংশের ৩০ মিটার আজ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে কাজিপুর থানা, খাদ্য গুদাম, রেজিস্ট্রি অফিস, সদর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ- সহকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান জানান, ধস রোধে সকাল থেকে প্রায় ৫ হাজার বালু বোঝাই জিও ব্যাগ এবং ১২ শত কংক্রিট ব্লক ফেলা হয়েছে, জেলা প্রশাসক, পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী, স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নিশ্চিত করে বলেন জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সকল প্রস্তুতি রয়েছে।
পরিদর্শনকালে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, নদী তীর রক্ষা মূল প্রকল্পের বাইরের এই অংশ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করেছে। ভাঙ্গনরোধ সম্ভব সংশ্লিষ্টরা জানান।

Facebook Comments Box

Posted ৯:৩৩ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৭ জুলাই ২০২৩

dainikbanglarnabokantha.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক

রুমাজ্জল হোসেন রুবেল

বাণিজ্যিক কার্যালয় :

১৪, পুরানা পল্টন, দারুস সালাম আর্কেড, ১১ম তলা, রুম নং-১১-এ, ঢাকা-১০০০।

ফোন: ০১৭১২৮৪৫১৭৬, ০১৬১২-৮৪৫১৮৬, ০২ ৪১০৫০৫৯৮

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

design and development by : webnewsdesign.com

nilüfer escort coin master free spins