
রংপুর ব্যুরো: | রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে বৃহত্তর রংপুর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ (ইআইআর) শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রম বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে আরডিআরএস বাংলাদেশ মিলনায়তনে বিএমডিএ রংপুর সার্কেরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী।
সভায় বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ ওবায়দুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক),এ ডাব্লি¬উ এম রায়হান শাহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রেজাইল করিম, বিএমডিএ নির্বাহী প্রকৌশলী মশিইর রহমান প্রমূখ। রংপুর সার্কেরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান খান বলেন, রংপুরে ইআইআর প্রকল্প শুরু হয় ২০১৯ সালে। এরপর থেকে জেলার ১২০ কিলোমিটার খাল, ৬টি বিল, ৫০টি পুকুর পূণঃখনন করা হয়েছে। নদী ও খালে ৪টি ক্রসড্যাম, ৫টি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। সেচের জন্য ৬৫টি বিদ্যুৎ চালিত ও ৩০টি সৌরচালিত সেচযন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে।
প্রতিটি সেচযন্ত্রের সঙ্গে দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত বারিক পাইপ মাটির নিচ দিয়ে বসানো হয়েছে। এতে করে কৃষকের পানি ও ভূমির অপচয় রোধ হচ্ছে। পূণঃখনন করা খালের দুই পাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে স¤পূরক সেচ, হাঁস চাষ, মাছ চাষ ও পাট পঁচানোসহ বিভিন্ন গৃহস্থলির কাজ হচ্ছে। নদী-খাল খননের ফলে পানি নিস্কাশনের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এতে ১০ হাজার হেক্টর জলাবদ্ধ জমিতে এখন একাধিক ফসল চাষ করা হচ্ছে। ফলে বছরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হচ্ছে। যার বাজারমূল্য ১২৫ কোটি টাকা। এছাড়াও নদী, খাল-বিলের দুধারে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ফলদ, বনজ, ঔষধি ও শোভাবর্ধনকারী গাছের চারা লাগানো হয়েছে।
Posted ১২:৪১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।