শুক্রবার ১৪ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

>>

কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় দুই চরমপন্থীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ

রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :   |   শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩   |   প্রিন্ট

কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় দুই চরমপন্থীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ফিরোজ মোল্লা নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে দুই চরমপন্থী নেতার মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ তাজুল ইসলামের আদালত এবং একই সঙ্গে তাদেরকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে, অনাদায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদ্বয় হলেন-
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার মৃত্তিকাপাড়া গ্রামের আদিল উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে সজিব বিশ্বাস ও একই উপজেলার বালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত জানে আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার করিমপুর গ্রামের মৃত ওয়াহেদ জোয়াদ্দারের ছেলে জমির উদ্দিন জোয়াদ্দার, একই থানার বালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত মকছেদ আলী মন্ডলের ছেলে সদর উদ্দীন মন্ডল, আব্দুল আজিজের ছেলে আনিছুর রহমান ওরফে আনিস ও দিদার আলীর ছেলে সুমন আলী ওরফে সুমন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা চরমপন্থী দলের নেতা ও সদস্য। তারা চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডারবাজিসহ নানা সন্ত্রাসী অপকর্মে জড়িত ছিল। এ মামলার আসামি লিয়াকত ও ইয়াহিয়া খান বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জমির উদ্দিন জোয়াদ্দার আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি পলাতক রয়েছেন। অন্যরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পরপরই তাদেরকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি সকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গেটের সামনে থেকে ফিরোজ মোল্লার দেহবিহীন রক্তাক্ত মাথা উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ। নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ফিরোজ মোল্লাকে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে। হত্যার পর তার মাথা বাজারের ব্যাগে করে স্কুলের গেটে ঝুলিয়ে রাখে আসামিরা।

পরে বালিয়াপাড়ার বাবলাতলা মাঠ থেকে মাথাবিহীন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আসামিরা অত্যন্ত দুর্ধর্ষ ও প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিচার চাওয়ার সাহস পাননি নিহতের পরিবারের লোকজন। তৎকালীন কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের এসআই সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ১ এপ্রিল আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, টেন্ডার নিয়ে বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফিরোজ মোল্লাকে গলা কেটে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যার দায়ে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড ও চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

Facebook Comments Box

Posted ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

dainikbanglarnabokantha.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক

রুমাজ্জল হোসেন রুবেল

বাণিজ্যিক কার্যালয় :

১৪, পুরানা পল্টন, দারুস সালাম আর্কেড, ১১ম তলা, রুম নং-১১-এ, ঢাকা-১০০০।

ফোন: ০১৭১২৮৪৫১৭৬, ০১৬১২-৮৪৫১৮৬, ০২ ৪১০৫০৫৯৮

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

design and development by : webnewsdesign.com

nilüfer escort coin master free spins