
প্রদীপ কুমার দেবনাথ, বেলাব (নরসিংদী) | রবিবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
পশুর হাটের জন্য নির্ধারিত স্থানের অনেকাংশে ফাঁকা থাকলেও প্রধান সড়কসহ বাজারেও প্রায় তিনটি গলি দখল করে পশু নিয়ে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। পাইকারাও সেখানেই দামদরের মাধ্যমে কিনে নিচ্ছে কাঙ্খিত পশুটি। প্রচন্ড ভীড় আর ব্যবসায়ীদের ফুটপাতসহ গলি দখলের কারণে সংযুক্ত কার্যত বন্ধ আছে ফার্মেসী, কসমেটিকস, কাপড়ের দোকানসহ নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
পশুর হাটের জন্য লোকসানে প্রায় অর্ধ শতাধিক প্রতিষ্ঠান। তাছাড়া চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ব্যাংকের গ্রাহক, দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগী, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অনেকে। সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার হাটে গিয়ে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। দেখা গেছে, পুরো সড়কটি গোবর আর পশুর মুত্রে নিলাভ হয়ে আছে।
ভিজা এ সড়কে হেঁটে চলারও উপায় নেই। দু’পাশে সারি সারি গরু ও অন্যান্য পশু গাদাগাদি করে রাখা। প্রধান সড়কের পশ্চিম – পূর্ব, উত্তর – দক্ষিণ ও উত্তরপার্শ্বের ব্রীজ থেকে বাজার পর্যন্ত যানবাহন, পশু নিয়ে আসাযাওয়া সব মিলিয়ে এ রাস্তাটিও বন্ধ প্রায়। ঢাকা, নরসিংদী, মনোহরদী থেকে আসা বিভিন্ন মালবাহী ও যাত্রীবাহী গাড়ি আটকে যাচ্ছে বাজার থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে।
ফলে সবজি, মাছ, মুদি মালামাল ও অন্যান্য পণ্য নিয়ে নানা হয়রানি আর দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। ক্রেতাদেরও পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। তাছাড়া পশুদলের বিকট আওয়াজ, বালি আর কাঁদায় তৈরি হচ্ছে এক বিকট পরিবেশ। এ সময় সড়কে গরু নিয়ে দাঁড়ানো হাতিরদিয়ার এক বিক্রেতা আবদুল্লাহ জানায়, সব পাইকাররা সড়কেই এসে গরু কিনছে। তাই আমিও এখানে দাঁড়িয়ে গরু বিক্রি করছি। বেশি সময় লাগবে না। মনোহরদী উপজেলার পাইকান থেকে আসা খলিল মিয়া বলেন, বাজারে জায়গা কম। রাস্তায় গরুটাকে সুন্দর দেখায় তাই এখানে নিয়ে আসছি।
ভুক্তভোগী অসুস্থ জমিলা খাতুন বলেন, বাবারে অনেক কষ্টে বাজারে ঢুকছি। এহন ডাক্তারের কাছে যাইতে পারছি না। ডাক্তারের সামনে গরু থাহনে যাওনের রাস্তা বন্ধ। বাজার করতে আসা ছলমার একজন বলেন, দিন দিন বাজারের অবস্থা খারাপ অইয়া গেছে। ঠিকমতো সবখানে গিয়া বাজার করতে পারছিনা। ইজারাদার মাসুদ বলেন, ব্যবস্থা নিলেও হঠাৎ একজন রাস্তায় দাঁড়িয়ে গেলে তার দেখাদেখি অন্যরা দাঁড়িয়ে যায়। তবে চেয়ারম্যান সাহেবের নেতৃত্বে আমরা আরো কঠোর ব্যবস্থা নিব যাতে বিক্রেতারা বাজার দখল করতে না পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক ইজারাদার বলেন, কেউ কেউ ক্ষমতা, নেতাদের আত্মীয় পরিচয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে পশু বিক্রি শুরু করে আর ঝামেলা শুরু হয়। আমরাও এর সমাধান আশা করি। এ ব্যাপারে বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা জান্নাত তাহেরা বলেন, বিষয়টি অবগত হলাম। যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
Posted ৮:২৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।