
মনিরুজ্জামান মনির,স্টাফ রিপোর্টারঃ | বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জলাবদ্ধতা নিরসনে শহরের বড় বড় খালগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও খালপাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভা। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার থেকে বিকেলে শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রায় ১ কিলোমিটার লম্বা (বিরাসার-পাইকপাড়া) খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হয়। বিকেল ৪টায় পৌর এলাকার পাইকপাড়া চকলেট ফ্যাক্টরির সামনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস। উদ্বোধনের পরপরই ভেকু নিয়ে খালের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার কাজ শুরু করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পৌর সভার নির্বাহী প্রকৌশলী কাউছার আহমেদ, উপ-সহকারি প্রকৌশলী সুমন দত্ত, পৌর কাউন্সিলর মোঃ মিজানুর রহমান আনসারী, জামাল হোসেন, ওমর ফারুক জীবনসহ পৌর সভার কর্মকর্তা-কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ মিজানুর রহমানআনসারী ও ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ জামাল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিনধরে খালপাড়ের বাসিন্দারা তাদের বাড়ি-ঘরের ময়লা আবর্জনা খালের মধ্যে ফেলে খালটি ভরাট করে ফেলেছে। এছাড়াও খালের বিভিন্ন অংশে অবৈধ দখলবাজরা স্থাপনা নির্মান করে খালটি দখল করে রেখেছে। ময়লা-আবর্জনা ফেলে খালটি ভরাট করে ফেলায় খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশন হয়না। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। খালটি পরিষ্কার করা হলে ও খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো হবে। ফলে ভারী বৃষ্টি হলেও শহরে কোন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবেনা। এ ব্যাপারে পৌরসভার উপ-সহকারি প্রকৌশলী সুমন দত্ত বলেন, পৌরসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পৌর এলাকার সকল খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় শহরের বিরাসার থেকে পাইকপাড়া তিতাস নদী পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার লম্বা খালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাজ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস বলেন, শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা শহরের গুরুত্বপূর্ন খালগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও খালপাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছি। তিনি বলেন, শুধু বিরাসার-পাইকপাড়া খালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদই নয়, আমরা খাল পাড়ের রাস্তাটি (র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি সড়ক) সংস্কারের জন্যও ৮০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরে
টেন্ডার করেছি। তিনি বলেন, এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর শহরের মেড্ডা শশ্মান ঘাট থেকে কবরস্থান পর্যন্ত খালটি পরিষ্কার করেছি। এ সময় খালপাড়ে থাকা ২৩ টি অবৈধ স্থাপনাও উচ্ছেদ করেছি। তিনি বলেন, খাল থেকে উঠানো ময়লা- আবর্জনা আমরা ডাম্পিংয়ে নিচ্ছি। তিনি বলেন, বিরাসার থেকে পাইকপাড়া পর্যন্ত খালটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার পর আমরা প্রায় ৫ কিলোমিকিলোমিটার টার লম্বা টাউন খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করবো। এই খালগুলো পরিষ্কার করা হলে বৃষ্টি হলে শহরে আর জলাবদ্ধতা হবেনা বলে আশাকরি।
তিনি বলেন, শুধু তাই নয় আমরা পৌর এলাকায় থাকা সকল পুকুরের পানি যাতে জনগন ব্যবহার করতে পারে সেজন্য কাউন্সিলরদের নিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডের পুকুর পরিষ্কার কার্যক্রমও শুরু করেছি। উল্লেখ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
Posted ৭:৪৭ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।