শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

>>

গাজীপুরস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজী এন্ড জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং এর অধ্যাপক ড. মোঃ তোফাজ্জল ইসলাম-এর বিতর্কিত কর্মকান্ড ও আর্থিক দুর্নীতির চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক:   |   রবিবার, ১৮ আগস্ট ২০২৪   |   প্রিন্ট

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিচারের প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যখন বিবৃতি দেন ঠিক সেই সময়ে উক্ত বিবৃতির প্রতিবাদে এবং বর্তমান মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিচার প্রক্রিয়া চালু করার পক্ষে বাংলাদেশের তথাকথিত আওয়ামী দোসর ২০১ জন কৃষিবিদ যে বিবৃতি প্রদান করেন তার মধ্যে প্রফেসর ড. মোঃ তোফাজ্জল ইসলাম অন্যতম।

প্রফেসর ড. মোঃ তোফাজ্জল ইসলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত সুবিধাদি এবং গবেষণা সক্ষমতা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় ৮৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার রাসায়নিক দ্রব্যাদি ক্রয় না করে তা আত্মসাৎ করেন। ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজী এন্ড জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং এর তৎকালীন পরিচালক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তাকে লিখিত পত্র প্রদানের পরও তিনি আওয়ামী পন্থী শিক্ষক সংগঠন “গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের” জেনারেল সেক্রেটারী হিসাবে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে উক্ত চিঠির কোন জবাব দেননি এবং আওয়ামী প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। এই বিষয়টি আর্থিক নীতিমালা ভঙ্গের ক্ষেত্রে অতীব গুরুত্বপূর্ন অপরাধ।

প্রফেসর ড. মোঃ তোফাজ্জল ইসলাম ২০১৯ সালে ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজী এন্ড জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং এর পরিচালক থাকা অবস্থায় ৭ কোটি ৩০ লক্ষ ২০ হাজার টাকার বৈদেশিক বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের দূর্নীতির সাথে জড়িত। উক্ত বিশাল পরিমাণ টাকার বৈদেশিক বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের কার্যাদেশ প্রদান থেকে শুরু করে যন্ত্রপাতি বুঝে নেয়া এবং বিল পরিশোধ মাত্র ১০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করেন যাহা সম্পূর্ন বিধি বহির্ভূত এবং বাস্তবতার নিরিখে কখনও সম্ভব নয়।

প্রফেসর ড. মোঃ তোফাজ্জল ইসলাম আওয়ামীপন্থি প্রভাবশালী শিক্ষক হিসাবে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্যায়ভাবে প্রভাব বিস্তার করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় তার নিজের ইনস্টিটিউটের অত্যন্ত মেধাবী জনৈক ছাত্রর সাথে ব্যক্তিগত আক্রোশের ফলশ্রুতিতে নিয়োগ কমিটিতে সিলেকশন পাওয়ার পরও উক্ত ছাত্রকে ইসলামি ছাত্র শিবিরের ট্যাগ দিয়ে তার নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেন। এখানে উল্লেখ্য এই বিশ্ববিদ্যিালয়ে কোন ছাত্র রাজনীতি চালু নেই। ঐ ছাত্র বর্তমানে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত আছেন।

প্রফেসর ড. মোঃ তোফাজ্জল ইসলাম আওয়ামী প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে অনৈতিকভাবে বিভিন্ন কর্মকান্ডে প্রভাব বিস্তার করেন। তিনি বর্তমানে বশেমুরকৃবি’র পরিচালক (আন্তর্জাতিক বিষয়ক) হিসাবে কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের সদস্য, বর্তমান ভাইস-চ্যান্সেলর মনোনীত শিক্ষক সমিতির প্রেসিডেন্ট হিসাবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন, বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ উদযাপন উপ-কমিটির আহবায়ক এবং মূল কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ৬মাস পূর্বে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরো অনেক অভিযোগ আছে। তিনি একজন সৈরাচারী আওয়ামী শিক্ষক নেতা তার প্রমানসরূপ কিছু ছবি সংযুক্ত করা হল।

এহেন বিতর্কিত ও দূর্নীতিবাজ আওয়ামী ফ্যাসিবাদ শিক্ষক ক্ষমতার পট পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজের খোলশ পরিবর্তন করে নিরপেক্ষ সাজার অভিনয় করছেন।

এমতাবস্থায়, এই ধরণের বর্ণচোরা শিক্ষক কোনভাবে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে ঐ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা, গবেষণা, আর্থিক ক্ষতিসহ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার সমূহ
সম্ভাবনা আছে।

Facebook Comments Box

Posted ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৮ আগস্ট ২০২৪

dainikbanglarnabokantha.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক

রুমাজ্জল হোসেন রুবেল

বাণিজ্যিক কার্যালয় :

১৪, পুরানা পল্টন, দারুস সালাম আর্কেড, ১০ম তলা, রুম নং-১১-এ, ঢাকা-১০০০।

ফোন: ০১৭১২৮৪৫১৭৬, ০১৬১২-৮৪৫১৮৬

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

design and development by : webnewsdesign.com

nilüfer escort coin master free spins