• শিরোনাম

    বাগেরহাটের রামপালে ব্যাক্তি স্বার্থে মাছের ঘেরে লবন পানি প্রবেশ করায় ফলন্ত ধানের ব্যপক ক্ষতি

    মনিরুল হক, বাগেরহাট: বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩

    বাগেরহাটের রামপালে ব্যাক্তি স্বার্থে মাছের ঘেরে লবন পানি প্রবেশ করায় ফলন্ত ধানের ব্যপক ক্ষতি

    apps

    উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের নদী অধ্যূসিত উপজেলা রামপাল। প্রায়সাড়ে ৩০০ বর্গ কিলোমিটারের এই উপজেলায় পশুর, মোংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল সহ ৫০টির বেশিনদী ও খাল রয়েছে। এসব নদী ও খালের পানি লবণাক্ত হওয়ায় এই এলাকার বেশিরভাগ ধানেরজমি অনাবাদি থাকতো।প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ দিন পরে উপজেলার পেড়িখালি ও রাজনগর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে এ বছর ইরি মৌসুমে কিছু নদী ও খাল আট কেমিষ্টি পানির সংস্কার করেধানচাষকরেছিলেনশতশত কৃষকরা। এদিকে মাছের ঘেরেচিংড়িমাছের পোনাছাড়ারসময়হওয়ায়কতিপয়প্রভাবশালী ঘের মালিকরাখালেরবাঁধ কেটে ধানেরজমিতেলবণপানি প্রবেশকরাচ্ছেন। এই লবণপানিতেপচেযাচ্ছেউপজেলার দুইইউনিয়নের কৃষকের ২০০ বিঘারধান। ফলেআশাবদি কৃষকদের অর্ধকোটিটাকারউপরে ক্ষতিহবেবলে দাবিকরেছেনক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।আর১৫-২০ দিনপরেলবণপানি প্রবেশ করালে ধানের ক্ষতি হতোনা বলে দাবি কৃষকদের। ১৫ দিনেরসময় পেতেউপজেলানির্বাহীকর্মকর্তা, স্থানীয়সংসদ সদস্য, জেলাপ্রশাসকসহবিভিন্ন দপ্তরেআবেদনকরেও কোনোসুফলপাননিবলেঅভিযোগকরেছেন দরিদ্র কৃষকরা।গুরুতরঅভিযোগ পেয়েসরেজমিনেবাগেরহাটেররামপালউপজেলাররাজনগরইউনিয়নের ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখাযায়, ওই ওয়ার্ডেরকালেখার বেড়এলাকারঘড়েরখালেরবাঁধ কেটে মৎস্য ঘেরেপানিঢুকিয়েছেন স্থানীয়জুলুহাজীসহকতিথ কতিপয়প্রভাবশালী ব্যাক্তি। শুধুকালেখারবেড়নয়রামপালউপজেলাররাজনগরইউনিয়নেরসিংগুরবুনিয়া, আড়ুয়াডঙ্গা ও রমজয়পুরএলাকায়ওএকইভাবেধানচাষকরেছেন কৃষকরা। এসবএলাকার ঘের ব্যবসায়ীরাএখনসরকারীখালেরবাঁধ কেটে লবণপানি প্রবেশকরানোর চেষ্টাকরছেনবলেঅভিয্গো কৃষকদের।কালেখারবেড়এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত সবিতারানীহালাদারবলেন, ‘গরুবিক্রি করেএবংএনজিও থেকে লোননিয়ে ৬ বিঘাজমিতেধানচাষকরেছিলাম। ১৫-২০ দিন পর ধানঘরেতুলতেপারতাম। স্থানীয়প্রভাবশালীরাবাঁধটি কেটে দেওয়ায়লবণপানিঢুকেধানগাছ সব মরতেশুরুকরেছে। অনেকঅনুরোধকরেছিকিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেনি।’একই গ্রামের কৃষকহু মাউন কবির বলেন, ‘কৃষিবিভাগ থেকেসরকারের দেয়া প্রনোদনারবিনামূল্যে বীজ ও সার দেওয়ায় কৃষকরা আগ্রহ নিয়েধান চাষক রেছিলেন। তখনলবণ পানি ঠেকাতে সবার সম্মতিনিয়েকালেখারখালেবাঁধ দেওয়াহয়েছিল। কিন্তু হঠাৎকরে ঘেরেলবণপানি প্রবেশ করাতে কিছুপ্ রভাবশালী ব্যক্তি বাঁধটি কেটে দেন। বাঁধটি কাটার আগে চেয়ারম্যান, কৃষি অফিসার ও ইউএনও কে বিষয়টি জানিয়েছি। ধান কেটে ঘরে তোলার জন্য মাত্র ১৫ দিন সময় চেয়েছিলাম।
    কিন্তু কেউ আমাদের কথা শোনেনি।’নাম প্রকাশেঅ নিচ্ছুক এক কৃষক বলেন, ‘উপজেলার অন্তত ৩০টি খাল আটকে প্রভাবশালীরা মাছ চাষকরছেন। তাতে কিছু হয়না, আমরা শুধু কয়েক দিনের জন্য আট কেধান চাষ করেছিলাম এটাই আমাদের অপরাধ। যেখানেজাতিরজনক বঙ্গবন্ধু কন্যাপ্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা ঘোষনা দিয়েছেনজমিঅনাবাদি রাখাযাবেনা। অথচ, কতিপয়কতিথ প্রভাবশালীতাদের ব্যক্তি স্বার্থে সরকারীখাল কেটে লবনপানিঢুকিয়েফলন্তধানের চরম ক্ষতিকরছে। এরাপ্রধানমন্ত্রীকেওমানেনা। তাহলে আমরা যাব কোথায় এ বিষয়ে ঘের ব্যবসায়ীজুলুহাজীবলেন, ‘এখন চিংড়ি মাছের পোনা ছাড়ার সময়। খালআটকেরাখলেআমাদের ক্ষতি। এজন্য বাঁধ কেটেছি।’রাজনগরইউনিয়নপরিষদের চেয়ারম্যানসুলতানাপালভিনবলেন, ‘ধানচাষেরজন্য সব কৃষকরাএকমতহয়েখালআটকেধানচাষশুরুকরেছিলেন। কিন্তু হঠাৎকরেকিছু ঘের ব্যবসায়ীপানিঢুকিয়েমাছচাষকরতেচান। এ কারণেমাছচাষিরাখালেরবাঁধটি কেটে দিয়েছেন। মানবিককারণেচাষিদের ১৫ দিনসময় দেওয়াউচিতছিল।’রামপাল উপজেলা নির্বাহীক র্মকর্তা নাজিবুল আলম বলেন, ‘কাউকে সরকারি খাল আটকেরাখার অনুমতি দিতে পারিনা। তবে ঘের ব্যবসায়ী ও কৃষকদের মাঝে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল সেটা সমাধানের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব দেওয়াহয়েছে তারা সমাধান করবেন।

    বাংলাদেশ সময়: ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ