• শিরোনাম

    সেবার মান নিয়ে বিস্তর অভিযোগ মমেক  হাসপাতালে রোগীর পাশে গরু-কুকুরের অবাধ বিচরণ

    সালাহ্ উদ্দীন  ময়মনসিংহ মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

    সেবার মান নিয়ে বিস্তর অভিযোগ মমেক  হাসপাতালে রোগীর পাশে গরু-কুকুরের অবাধ বিচরণ

    apps

    ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম ভেঙ্গে পড়েছে। হাসপাতালে ওয়ার্ড এবং বারান্দায় চলছে গরু-কুকুরের অবাধ বিচরণ। দেখে মনে হবে হাসপাতালে গরু-কুকুর ও মানুষ একসাথে চিকিৎসা নিতে আসছে। হাসপাতালের সেবার মানের পাশাপাশি চিকিৎসক, নার্স এবং স্টাফদের আচরণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রোগি এবং তাদের স্বজনরা। তবে তা মানতে নারাজ হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ।

    তিনবার দেশ সেরার খ্যাতি অর্জন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।দেশ সেরার খ্যাতি অর্জনকারী হাসপাতাল এখন গরুও কুকুরের অবাদ বিচরণ।

    রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গরু কুকুরের অবাধ বিচরণের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ভাইরাল হয়েছে। ওই ছবিগুলোতে দেখা যায়, হাসপাতালে রোগির সাথে কুকুর শুয়ে আছে। দেখলে মনে হবে যেন কুকুরের পাল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। আবার অপর একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, গরু রোগির সাথে হেটে হেটে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকছে।

    জানা গেছে, হাসপাতালটিতে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার রোগী ভর্তি হয়ে থাকেন। এতে শয্যা সংকটের কারণে মেঝে ও বারান্দায় শুয়ে সেবা নিতে হচ্ছে অনেককে।চিকিৎসা সেবার মান নিয়েও রয়েছে জনমনে নানা প্রশ্ন। এতে করে সরকারি হাসপাতালের সেবা নিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই। জরুরি সেবা ছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোতেই যেন স্বস্তি রোগীদের। এদিকে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বারান্দা এবং শয্যাগুলোতে অবাধেই ঘোরাফেরা করছে কুকুর। সিঁড়ির কোনায় কোনায় জমে আছে ময়লার স্তূপ। হাসপাতাল ভবনের ভেতরে কুকুরের অবাধ বিচরণের কারণে রোগী এবং স্বজনদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীন ভূমিকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা রয়েছেন চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা জানান, সরকার যখন পুরো দেশবাসীকে সচেতন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে নানামুখী কর্মসূচি নিচ্ছে সেই মুহূর্তে হাসপাতালের ভেতরে গরু ও কুকুরের অবাধ আনাগোনা কাম্য নয়। কারণ কুকুর জলাতঙ্ক রোগ বহন করে। সেই কুকুরগুলো হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে রয়েছে। হাসপাতালটি কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

    Abdulla Al Amin নামে একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ছবিগুলো পোষ্ট করে লিখেছেন, মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ময়মনসিংহ ৪ সদর আসনের সংসদ সদস্য, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এশিয়া মহাদেশের মাঝে নামকরা উল্লেখযোগ্য একটি প্রতিষ্ঠান, আজ হাসপাতালের এই হাল কেন? যেখানে টেন্ডার নিয়ে মারামারি হয়, পুলিশ পাহারা দিতে হয়। হাসপাতাল নিরাপত্তায় কতজন সরকারি বেসরকারি (আউটসোর্সিং) নিরাপত্তা রক্ষী রয়েছে! অভ্যন্তরে টয়লেটগুলোর কি হাল সরেজমিন পরিদর্শন করুন।

    সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম তরফদার এর একটি ফেসবুক আইডি থেকে রোগির পাশে কুকুর শুয়ে আছে, এমন ছবি পোষ্ট করে লিখেন, হায়রে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ, হাসপাতালের দৃশ্য।
    Mymensingh Helpline পেজে হাসপাতালের ভিতরে কুকুরের ছবিগুলো পোষ্ট করে Rezwan Bidhuth নামে একজন লিখেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিতরে, বিস্তারিত আপনারাই বলেন??

    এক হাজার শয্যার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছয় জেলার মানুষ ছাড়াও কুড়িগ্রাম, সুনামগঞ্জ এবং গাজীপুর থেকে রোগিরা সেবা নিয়ে থাকেন। প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার রোগি ভর্তি থাকেন। এছাড়াও আউটডোরে চার থেকে সাড়ে চার হাজার রোগি চিকিৎসাসেবা নেন। প্রতিদিন গড়ে প্রায় আট হাজার রোগির চাপ সামলিয়ে সেবার মান নিশ্চিত করে বিগত পরিচালনা প্রশাসনের নেতৃত্বে ২০১৮, ১৯ এবং ২০২০ সালে ‘হেলথ মিনিষ্টারস’ এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছিল এই প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নানা অব্যবস্থাপনা দিয়ে ক্ষুব্ধ রোগি তাদের স্বজন এবং নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দরা।

    সম্প্রতি লক্ষ্য করা যায়, নোংরা অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে মেঝে এবং বারান্দায় গাদাগাদি করে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগিদের। দেড় দুই বছর আগে নিয়মিত ওষুধ পাওয়া গেলেও এখন প্রকট সংকট দেখানো হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষায়ও ভূলের অভিযোগ। আবার অনেক চিকিৎসক বাহিরে তাদের পছন্দের প্রাইভেট হাসপাতালে বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন রোগিদের।

    হার্টের সমস্যা নিয়ে গত ফেব্রুয়ারী মাসে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৭১ শয্যা কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি হন জেলার হালুয়াঘাটের মোশারফ হোসেন। শয্যা না পেয়ে বারান্দায় সেবা নিচ্ছেন তিনি। ভর্তি হওয়ার পরপরেই কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ পেলেও ইকো বা ইকোকার্ডিওগ্রাফি পরীক্ষার সময় বেঁধে দেয়া হয় দুই মাস। বাধ্য হয়ে তিনি ইকোসহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষা বাহিরে করান।

    মোশারফ হোসেন বলেন, আমি হার্টের রোগি হওয়ায় অন্যান্য পরীক্ষার সাথে ডাক্তার বলছে ইকো পরীক্ষা করাতে; কিন্তু তারা পরীক্ষার জন্য সিরিয়াল দিয়েছে দুই মাস পর। বাধ্য হয়ে তা বাহিরে করিয়েছি। মেশিন নষ্ট থাকার কারণে অনেক পরীক্ষা তাদের এখানে হচ্ছে না। তাই ডাক্তাররা অন্য ক্লিনিকে করার পরামর্শ দিচ্ছেন। আমরা গরীব বলেই এই হাসপাতালে সেবা নিতে আসি; কিন্তু সেখানে এসে ভোগান্তির পাশাপাশি ফতুর হচ্ছি।

    একই অবস্থা আট মাস আগে ভর্তি হওয়া অনতি পালের। তাকে ঢাকায় গিয়ে ইকো এবং এনজিওগ্রাম করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। আক্ষেপ করে অনতি পাল বলেন, আমার যদি ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা করার মতো অবস্থা থাকত তাহলে কি এখানে এতদিন থাকতাম। তাদের পরামর্শে বাহিরের ক্লিনিক থেকে অনেক পরীক্ষা করিয়েছি। এখন হাত খালি ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার খরচও জোগাড় করতে পারছি না। মনে হচ্ছে মরলেই বাঁচি। আর আপনাদের কাছেই বা বলে কি লাভ হবে?

    একই ওয়ার্ডে মাকে ভর্তি করিয়েছেন তারাকান্দার যুবক রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ওয়ার্ডে ডাক্তার নার্স পাওয়া গেলেও ওয়াশ রুমের অবস্থা একেবারেই খারাপ।
    হাসপাতালে ঔষধ সংকট রোগীদের বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে ঔষধ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা।ক্লিনিক দালালদের দৌড়াতে বেড়েছে  হাসপাতালে।
    ভালো মানুষ সেখানে গিয়েও অসুস্থ হচ্ছে। দেশ সেরা হাসপাতালের এই অবস্থা ভালো লক্ষণ নয়।

    প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে তিনশো থেকে চারশো রোগির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কারণে তিনটি ইকো মেশিনের মধ্যে দুটিই অকেজো হওয়ায় পরীক্ষার সময় লাগছে বলে জানিয়েছেন কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. গোবিন্দ কান্তি পাল বলেন, বেড ৭১টি কিন্তু রোগি ভর্তি থাকে প্রায় সাড়ে তিনশো থেকে চারশো। তাদের প্রত্যেকের সাথে আত্মীয় স্বজন আসে তিন থেকে চারজন করে। তাহলে ওয়ার্ডের পরিবেশটা কেমন হবে আপনারাই বলেন? তা রোধে এবং সেবার মান নিশ্চিত করতে এ্যাটেনডেন্স কার্ড করা হয়েছে। একজন রোগির সঙ্গে সবোর্চ্চ দুইজনকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আমরা ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছি।
    অকেজো ইকো মেশিন মেরামত এবং নতুন মেশিনের চাহিদার কথা জানিয়ে ২০২১ সাল থেকে গত তিন বছরে কার্ডিওলজি বিভাগ থেকে সাত দফা হাসপাতালের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

    গাইনী ওয়ার্ডে স্ত্রীকে ভর্তি করিয়ে ক্ষোভ ঝরালেন অ্যাড. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, পরিচালক নাসির উদ্দিনের সময়ে হাসপাতালে একটা শৃঙ্খলা ছিল। এখন তার কিছুই নেই; অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের মধ্যে রোগিরা সেবা নিচ্ছে। নার্স এবং চিকিৎসকরাও আত্মরিক না। তারা রোগি এবং তাদের স্বজনদের সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করে। তিনটির মধ্যে একটি ওষুধ হাসপাতালে পাওয়া গেছে বাকি দুটি বাহির থেকে কিনেছি। বছরের শুরুতে যদি এমন অবস্থা হয় তাহলে শেষে কি হতে পারে আপনারাই বলুন?

    ফরিদুল ইসলাম নামে একজন বলেন, আমার এক রোগিকে নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেশ কয়েকদিন ধরে ভর্তি রয়েছি। আলট্রা করানোর পর এখানকার চিকিৎসকরা এক ধরণের রিপোর্ট দিয়েছে; আর বাহিরের চিকিৎসকরা অন্যধরণের রিপোর্ট দিয়েছে। পরে বাহিরের রিপোর্টটাই সঠিক হয়েছে। আমরা যে হাসপাতালটিকে নিয়ে গর্ববোধ করি তার যদি এমন অবস্থা হয় তাহলে যাওয়ার জায়গা নেই। কয়েকদিন এখানে ঘুরাঘুরি করে বুঝতে পারছি মেডিসিন রোগিদের জন্য বরাদ্দ থাকলেও তা দেয়া হচ্ছে না। এক্ষেত্রে নজরদারী বাড়ানো প্রয়োজন।

    ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি খায়রুল ইসলাম নামে এক রোগি বলেন, হাসপাতালটিতে রোগির অতিরিক্ত চাপের কারণে মানুষ মেঝে এবং বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছে। কিন্তু সেখানে অপরিচ্ছন্ন। ভেতরে অনেকগুলো গেট অতিক্রম করে কুকুর এবং গরু প্রবেশ করছে; তাহলে দারোয়ান রেখে লাভ কি? চিঠি লিখেই বা এমপিকে বললে সমাধান হবে। আমরা সবাই নিজে বড় হতে চাই কারো দিখে না থাকিয়ে।

    হাসপাতালের নানা অসংগতির বিষয় জানার পাশাপাশি রোগিদের ভোগান্তি নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্তর নির্দেশে জরুরী বিভাগের সাথে অনুভূতির বাক্স স্থাপন করেছেন মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগ।

    পরপর তিনবার দেশ সেরার খ্যাতি অর্জন করা হাসপাতালের এমন চিত্রে ক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দরা। জনউদ্যোগ ময়মনসিংহের আহবায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, স্থানীয় সংসদের অনুভূতির বাক্স স্থাপনকে অন্তত সম্মান দেখিয়ে হলেও রোগিদের প্রতি চিকিৎসকদের আত্মরিক হওয়া প্রয়োজন। আমরা পুরুস্কার না পেলেও চাই রোগিরা যেনো তৃপ্তি নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারে।

    এ ব্যাপারে বাংলাদেশ টেক্স লইয়ার্স এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এডভোকেট সাদিক হোসেন বলেন- এই যদি হাসপাতালে অবস্থা হয় কুকুর এবং মানুষ কি একসাথে বসবাস করতে পারে। এটাতো একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি। এটা নিয়ে মন্তব্য করার কোন ভাষা নেই।
    অব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রশ্ন করায় রেগে যান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক প্রশাসন মোহাম্মদ মাইনউদ্দিন খান। তিনি বলেন, নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও যে আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি তা তো বলেন না। সেবার মান যদি খারাপ হতো তাহলে কি ১ হাজার শয্যার হাসপাতালে ৪ হাজার রোগি ভর্তি থাকতো। অবাধে কুকুর এবং গরুর প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে বলেন, কার্ডিওলজি বিভাগের দুভোর্গ নিরসনে পরবতীর্ অর্থবছরে নতুন ইকো মেশিন কেনা হবে। এছাড়াও সেবার মান নিশ্চিতে অন্যান্য সমস্যা নিরসনে কাজ হচ্ছে।

    ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. জাকিউল ইসলাম বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলো নজরে এসেছে। সিটি কর্পরোরেশনে বলা হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। রোগিদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার যে পরিমান ওষুধ আসে, সব ওষুধই আমরা রোগিদের দিয়ে দেই।

    বাংলাদেশ সময়: ৪:০৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ