• শিরোনাম

    পর্যটকদের যাতায়াতের প্রধান সড়কটির পাশে ময়লার স্তূপ

    আফজল হোসেইন(শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি) বুধবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪

    পর্যটকদের যাতায়াতের প্রধান সড়কটির পাশে ময়লার স্তূপ

    apps

    শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভানুগাছ রোড ফরেস্ট অফিসের দেয়ালের সম্মুখে যত্রতত্র ভাবে ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখা হয়েছে এতে নষ্ট হচ্ছে ভানুগাছ রোডের সৌন্দর্য এবং দূষণ হচ্ছে পরিবেশ

    শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ রোডটি পর্যটকদের যাতায়াতের প্রধান সড়ক হিসেবে বিবেচিত এ সড়ক দিয়েই বধ্যভূমি৭১,চা-বাগান,লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান,রাবার-বাগান,লাল পাহাড়,বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউট,মহাজিরাবাদ লেবু বাগান,গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট,লেমন গার্ডেন রিসোর্ট সহ বিভিন্ন রেস্ট হাউজ,গেস্ট হাউস,হোটেল,রেস্টুরেন্টে এবং দর্শনীয় স্থানগুলোতে যাতায়াত করে থাকে

    এমন একটি চিত্র দেখা যায় সরেজমিনে গিয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভানুগাছ রোড ১০নম্বর এলাকার পর্যটকদের যাতায়াতের প্রধান সড়কটির পাশে ময়লার স্তূপ এ সড়কটির পাশে রয়েছে বিভাগীয় শ্রমদপ্তর,খাদ্য গুদাম,ফরেস্ট অফিস,বিজিবি ক্যাম্প,আর একটু পথ পেরোলেই বধ্যভূমি৭১ এ সড়ক দিয়েই ছুটির দিন অগণিত দর্শনার্থীদের যাতায়াত এ ময়লার স্তূপের কারণে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরতে হয় দর্শনার্থীদের পাশাপাশি দূষণ হচ্ছে পরিবেশ।

    পর্যটন শিল্পের সংশ্লিষ্টব্যক্তিরা বলেন দেশের সব অঞ্চল থেকে পর্যটকরা চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে ভ্রমণ আসে তাদের উৎসাহ ও আগ্রহ বাড়াতে পর্যটকদের অসুবিধা গুলি চিহ্নিত করতে হবে এবং পর্যটকদের যাতায়াতের সড়কগুলোর আশপাশে ময়লা আবর্জনার স্তূপ যাতে না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে নিয়মিত ভাবে পরিচ্ছন্নকর্মী দ্বারা সড়কগুলোর আশপাশ পরিষ্কার রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

    এবিষয়ে জানতে চাইলে অত্র এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো.আলকাছ মিয়া বলেন শ্রীমঙ্গল পৌরসভার নির্ধারিত গাড়ি এবং লোক রয়েছে যা প্রত্যেক বাসায় গিয়ে ময়লা আবর্জনা তুলে নিয়ে আসে এর মধ্যে কিছু বাসা বাড়ির লোক নিজ ইচ্ছায় সড়কের পাশে যত্রতত্র ভাবে ময়লা আবর্জনা ফেলে রেখে যায় শ্রীমঙ্গল পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা প্রত্যেক বাসা বাড়ি থেকে মাসিক ৫০ বা ১০০ টাকা তুলে থাকে কিছু কিছু বাসা বাড়ির লোকেরা পরিচ্ছন্নকর্মীদের টাকা দিতে চায়না যার কারণে সড়কের পাশে ময়লা আর্বজনা ফেলে রেখে যায় পরিশেষে ওর্য়াড কাউন্সিলর মো.আলকাছ মিয়া বলেন শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সম্মানিত মেয়র মহসিন মিয়া মধু মহোদয় শ্রীমঙ্গল পৌরসভাকে স্মার্ট নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন,আমি মেয়র মহোদয়ের সাথে কথা বলে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

    অত্র এলাকার বাসিন্দা মো.স্বপন মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন পরিচ্ছন্নকর্মীরা ময়লা তুলে নিতে নিয়মিত আসেনা এবং কি অনেক পরিবার পরিচ্ছন্নকর্মীদের টাকা দিতে চায়না যার ফলে অত্র এলাকার বাসিন্দারা যত্রতত্র ভাবে ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখে এতে আমাদের যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে পাশাপাশি পরিবেশের জন্য ক্ষতি হচ্ছে।

    বাংলাদেশ সময়: ৪:২২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ