নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের কাথম বেরাগাড়ীর সরিষাক্ষেত থেকে অজ্ঞাতনামা তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের ছয়দিন পর (১৮ জানুয়ারি) বুধবার ওই তরুণীকে নিজের মেয়ে বলে দাবি করেন এক নারী। ফরিদপুরের সদরপুর থানার ভাষাণচর এলাকার নূর নাহার নামের ওই নারী নন্দীগ্রাম থানায় এসে ছবি ও আলামত দেখে প্রাথমিকভাবে মরদেহটি নিজের নিখোঁজ মেয়ে শারমিন আক্তার বলে দাবি করেন। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে ওই তরুণী ৫-৬ মাসের অন্ত:সত্ত্বা ছিল ।
নূর নাহার বলেন, আমার মেয়ে জানুয়ারি মাসের ২ তারিখে হারিয়ে গেছে। তাঁর পরে ১০ তারিখে সদরপুর থানায় জিডি করছি। এরমধ্যে অনেক খোঁজাখুঁজি করছি। আমরা ১৫ তারিখে রাতে জানতে পেরেছি নন্দীগ্রামে লাশ পাওয়া গেছে। এরপর আমরা ছবি পাঠিয়ে দেই, এখান থেকেও ছবি পাঠিয়ে দেয়। তখন দেখি ছবি মিল খায়। তখন বুঝতে পারি এটি আমার মেয়ে। আমার এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে শারমিন বড়। সদরপুর থানার ভাষাণচর নতুন বাজার এলাকার একটি স্কুলে শারমিন অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। এলাকার এক ছেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক থাকার কারণে তার পড়াশোনা বন্ধ করে দেয়া হয়। তারপরেও সে ওই ছেলের সাথে যোগাযোগ করতো। আমার ধারণা তারাই আমার মেয়েকে মেরেছে।
এবিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ফরিদপুরের সদরপুর থানার সাথে কথা বলেছি। লাশ পরিবারের লোকজনের কাছে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ডিএনএ টেস্টের রেজাল্ট পেতে আনেক সময় লাগবে। ওসি আরও বলেন, ওই তরুণী ৫-৬ মাসের অন্ত:সত্ত্বা ছিলেন। হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ৯:০৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel