• শিরোনাম

    কোহিনুর হত্যার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন

    স্টাফ রিপোর্টার রবিবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩

    কোহিনুর হত্যার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন

    apps

    রাজধনীর কদমতলী থানাধীন কোহিনুর (২৫) নামের এক নারীর হত্যাকাণ্ডের আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন নিহতের পরিবার ও স্হানীয় এলাকাবাসী।
    রাজধানীর শ্যামপুর থানা প্রেসক্লাবে আজ ২৯ শে জানুয়ারী রোজ রবিবার দুপুর ১:০০ টার সময় সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

    এ সময় নিহত কোহিনুরে বাবা দাদন মিয়া বলেন দৈনিক বাংলার নবকণ্ঠকে বলেন, আমার মেয়ে কোহিনুর সাথে প্রায় আড়াই বছর আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় রমজান আলী(৩০) সাথে এবং বিয়ের কয়েক বছর পর কোহিনুর রমজানের সংসারে মাহাবিল নামে ২ বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে এবং তাকে যখন হত্যা করা হয় তখন কোহিনুর পুনরায় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানান মৃত্যু কোহিনুরের বাবা মোঃদাদন মিয়া।

    মৃত কোহিনুরে বাবা অনুসন্ধানী টিমকে জানান আমার মেয়ে জামাই রমজান গত ০৯/০১/২০২৩ তারিখ মালয়েশিয়া যায় এবং মেয়ে জামাই বিদেশে যাওয়ার পর থেকেই সাংসারিক সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে মৃত কোহিনুর কে শারিরীক মানসিক নির্যাতন করতো কোহিনুর শশুর বাড়ী লোকজন।

    আরো বলেন গত ইং২২/০১/২০২৩ আমার মোবাইল ফোনে ফোন দিয়ে জমির নামের একলোক আমাকে বলেন আপনি সিলেট থেকে তাড়াতাড়ি ঢাকায় আসেন আপনার মেয়ে অসুস্থ বলে ফোন কেটে দেয়,
    কিছুক্ষণ পরে পুনরায় ফোন আসে যে,আমার মেয়েকে হসপিটাল নিতে হবে। দিশেহারা
    দাদন মিয়া তার মেয়ে কোহিনুরের শশুর শাশুড়ীকে মুঠোফোনে ফোন দিলে রিসিভ করেন না বলে জানান দাদন মিয়া।

    বেশ কিছুক্ষণ পরে জমির নামের এক লোক মুঠো ফোনে কোহিনুর বাবা দাদন মিয়াকে ফোন করে বলেন আপনার মেয়ে কোহিনুর মারা গেছে মেয়ের লাশ দেখতে আসেন।এই খবর শুনে দিশেহারা হয়ে
    তাৎক্ষণিক ভাবে আমি ঢাকায় উদ্দেশ্য রওনা হই।

    গত ২৩/০১/২০২৩ ইং সকাল নাগাত আমি মিটফোর্ড হাসপাতালে চলে আসি মেডিকেলে এসে আমার মেয়েকে আমি পাগলের মতো খুজতে থাকি এমতাবস্থায় হাসপাতালের বারান্দায় আমার মেয়ের লাশ দেখতে পাই কিন্তু লাশের পাশে আমার মেয়ের শশুর বাড়ির কাউকে পাননি বলে জানান কোহিনুরের বাবা।

    মেয়ের লাশ পোস্ট মর্ডেম করে আমি রাজধানীর কদমতলী থানায় পাঁচ জনকে আসামি করি যাহার মামলা নং ৩২/২০২৩।

    উক্ত মামলার আসামি মোঃজাহাঈীর(৬০)পিতাঃমৃত হাসেম মুন্সী,২/মোসাঃপারভীন বেগম(৫১) পিতা মৃত্যু মোবারক,স্বামী জাহাঙ্গীর ৩/মোঃকাউসার(৪০) পিতা মোঃজাহাঙ্গীর,মাতা পারভীন ৪/ফাতেমা বেগম(২৮) পিতা মোঃজাহাঙ্গীর,মাতা পারভীন,স্বামী রোকন ৫নং রোমানা(২৪)পিতা মোঃজাহাঙ্গীর,মাতা পারভীন,স্বামী মোঃমিজান ৬/মোসাঃসোমা(১৮)পিতা মোঃজাহাঙ্গীর,মাতা পারভীন সর্ব সাং বাড়ি নং ১০ রোড নং-০২ বালুর মাঠ,থানা কদমতলী ঢাকা।

    মৃত্যু কহিনুরের বাবা দাদন মিয়া বলেন আসামী ও হত্যা কারীদের বাঁচানোর জন্য শিল্পপতি মোঃসিরাজুল ইসলাম(সিরাজ) সহ-সভাপতি কদমতলী থানা আওয়ামী লীগ,ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।তার ছত্রছায়ায় ঘুরছেন হত্যাকারীরা।
    আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে পরিকল্পিত ভাবে আমার মেয়েকে এ আসামীরা হত্যা করেন এবং তারা কোহিনুর কে মেরে তারা নিজেরাই তাৎক্ষণিক ভাবে কোহিনুর কে আজগর আলী হাসপাতাল গেন্ডারিয়া ঢাকায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেন।

    ১নংবিবাদী মোঃজাহাঙ্গীর আমাকে লোক মারফত আমার মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ জানায় এবং কদমতলী থানা পুলিশ আমাকে মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ প্রদান করিয়া জানান যে,আমার মেয়ের মৃত দেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করিয়া লাশ ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল ঢাকায় প্রেরণ করেছেন।

    আমি উক্ত সংবাদ পাইয়া আমি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে গিয়ে আমার মেয়ের মৃত দেহ সনাক্ত করি।

    পরবর্তীতে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার মেয়ের ফ্ল্যাটে সাবলেট ভাড়াটিয়া,নাসিমা বেগম(৩০) ও তার স্বামী আলমগীর হোসেন এবং তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া, আতাউর রহমান খোকন(৪৬) এর নিকট উপরক্ত ঘটনা বিষয়ে বিস্তারিত শুনিয়া আমার নিকটতম আত্মীয় স্বজনদের সহিত আলোচনা করিয়া,থানায় আসিয়া একটি অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হই।

    মৃত কোহিনুরের বাবা দৈনিক বাংলার নবকণ্ঠ সাংবাদিকদের জানান যে,আমার মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে, আমি কোহিনুরের বাবা হয়ে কদমতলী থানায় একটি মামলা করা সত্ত্বেও,পুলিশ হত্যা মামলার আসামিদের কে আইনের আওতায় নেননি বলে জানান মৃত কোহিনুরের বাবা দাদন মিয়া।

    মৃত কহিনুরের বাবা দাদন মিয়া সাংবাদিক সম্মেলন বলেন, বাংলাদেশ সরকার দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার আকুল আবেদন,কহিনুরকে যারা হত্যা করেছে তারা প্রকাশে ঘোরাঘুরি করতেছে,তাই আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হোক।

    বাংলাদেশ সময়: ৮:৩৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ