• শিরোনাম

    আকম মোজাম্মেল হক ইউপি চেয়ারম্যান থেকে মন্ত্রী: প্রতিনিধিত্বের ৫০ বছরের সাফল্য

     কালিয়াকৈর (গাজীপুর) থেকে জীবন চৌধুরী বুধবার, ০৩ জানুয়ারি ২০২৪

    আকম মোজাম্মেল হক ইউপি চেয়ারম্যান থেকে মন্ত্রী: প্রতিনিধিত্বের ৫০ বছরের সাফল্য

    apps

    আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-১ আসনে  আওয়ামীলীগ মনোনিত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট আকম মোজাম্মেল হক এমপি বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী । তিনি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে মন্ত্রী হওয়ার গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেন। তিনি জনপ্রতিনিধিত্বের ৫০ বছর যাবত জনগণের সেবক হিসেবে নিরলশ ভাবে দায়িত্ব পালনের ঐতিহাসিক ভাবে গাজীপুর বাসীর এক উজ্জল নক্ষত্র হিসেবে পরিচিত । বীরমুক্তিযোদ্ধা আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের বিশাল অর্জন। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।

    তিনি ১৯৭৩ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ৩ বার জয়দেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ১৯৮৯ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৪ বার গাজীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আ.ক.ম মোজাম্মেল হক ১৯৮৩ সালে শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, এবং ১৯৯৫ সালে ও ২০০৩ সালে শ্রেষ্ঠ পৌর চেয়ারম্যান হিসেবে বিদেশে শিক্ষা সফর করেন। অ্যাডভোকেট আ. ক.ম মোজাম্মেল হক ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য ওই বছরের ১৯ নভেম্বর গাজীপুর পৌরসভার মেয়র থেকে পদত্যাগ করেন। এবং নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর -১ আসন ( কালিয়াকৈর, বাসন, কোনাবাড়ী ও কাসিমপুর) থেকে এমপি নির্বাচিত হন।

    দশম (২০১৪ সাল) ও একাদশ (২০১৮ সাল) জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি একই আসন থেকে পূন:নির্বাচিত হন। ২০১৪ সাল থেকে তিনি সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।বর্ণিল রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক মাত্র ২৭ বছর বয়সে ১৯৭৩ সালে জয়দেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সেই থেকে দীর্ঘ ক্লান্তিহীন ও নিরলশ পদযাত্রা। টানা ৫০ বছর যাবত তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি। এরমধ্যে ৩৫ বছর স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি ও ১৫ বছর জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে রাষ্ট্রের আইন প্রণেতা।প্রথমবার (২০০৮ সাল) সংসদ সদস্য হয়ে তিনি ভূমি মন্ত্রনালয়
    সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

    গত ২০১৪ ও ২০১৮ সালে টানা দুই সরকারের তিনি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী। এছাড়াও আ. ক. ম মোজাম্মেল হকের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রয়েছে। গাজীপুরে ১৯৭১ সালে ১৯ মার্চ প্রথম সশস্র প্রতিরোধ যুদ্ধের মহানায়ক হিসেবে কৃতিত্বের অধিকারী। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনি "গকুলনগর যমুনা ইয়ুথ ট্রেনিং ক্যাম্পের ডেপুটি চীফ পরে ক্যাম্প চীফ "হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের জন্য আ. ক. ম মোজাম্মেল হক ২০১৯ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব "স্বাধীনতা পুরস্কার" লাভ করেন।আ. ক. ম মোজাম্মেল হক দীর্ঘ অর্ধশত বছর যাবত জনপ্রতিনিধি হিসেবে গাজীপুর-১ আসন জুড়ে সর্বত্র নানামুখী উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের জন্য জনগণের নিকট ব্যাপক সমাদৃত হয়েছেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতিকের প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করীম রাসেল ট্রাক প্রতিকের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। তারপরও আ. ক. ম মোজাম্মেল হক এবারও বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার আশাবাদী।

    বাংলাদেশ সময়: ১০:১৫ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৩ জানুয়ারি ২০২৪

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ