শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

>>

মার্কিন নির্বাচনে ইলেক্টরাল ভোট যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

  |   শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২০   |   প্রিন্ট

মার্কিন নির্বাচনে ইলেক্টরাল ভোট যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

নবকন্ঠ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কিছু প্রদেশে জোরকদমে চলছে আগাম ভোট। সাত কোটিরও বেশি ভোট এরই মধ্যেই পড়েছে। চলতি বছরের ৩ নভেম্বরের ভোট শেষ হলেই শুরু হবে চূড়ান্ত ভোটগণনা। জানা যাবে সে দেশের মানুষের রায়।

 

এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নানা কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক। জো বাইডেন জিতলে তিনিই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবীণ প্রেসিডেন্ট। তাঁর সঙ্গী কমলা হ্যারিস ভাইস প্রেসিডেন্ট হলে, সেটাও হবে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। শুধু যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী বলে নয়, কমলার ভারতীয় পরিচয় তথা শ্বেতাঙ্গ না-হওয়াটাও উল্লেখযোগ্য বিষয়।

 

আর যদি ট্রাম্প জিতে যান! তাহলে তিনিই হবেন ইমপিচমেন্টের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়া প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি জনপ্রিয়তার নিরিখে বহু পিছিয়ে থেকেও পুনর্নির্বাচিত হবেন।

 

২০১৬ সালে পপুলার ভোটে হেরেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন ট্রাম্প। তার পরের এই চার বছরে মানুষ দেখেছে, কিভাবে প্রেসিডেন্ট লাগাতার আক্রমণ করে চলেছেন নাগরিক অধিকার, জনকল্যাণ এবং গণতন্ত্রের ওপর।  প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শুরু করে পরিবেশ রক্ষা, এমনকি চলতি মহামারির আবহেও কিভাবে বিজ্ঞানের ওপর চরম আক্রমণ শানাতে হয়, তা-ও দেখিয়েছেন ট্রাম্প।

 

নিজের বিপদ আঁচ করেই মেল-ইন ব্যালট কেলেঙ্কারি নিয়ে মুখ খুলেছেন ট্রাম্প। এতে নাকি ব্যাপক কারচুপি হবে। অথচ নেচার পত্রিকায় এ সপ্তাহে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন বলছে, এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। এতে ভোটদানের হার আরও বাড়তে পারে। এরই মধ্যে অনেকে জো বাইডেনের সমর্থনে কথা বলছেন।

 

পপুলার ভোট

 

একজন প্রার্থী যে প্রদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট নিজের দিকে টানতে পারবেন, সেই রাজ্যের সবগুলো ভোট তার হয়ে যাবে।  যেমন, ক্যালিফর্নিয়ায় ৫৫ জন ইলেক্টর রয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প বা জো বাইডেন, যিনি এই প্রদেশে বেশি ভোট পাবেন, তিনি-ই ক্যালিফর্নিয়ার সব ইলেক্টরকে জিতে নেবেন।

 

১৪ ডিসেম্বর ইলেক্টরেরা প্রাদেশিক রাজধানীতে জমায়েত হয়ে দলের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। তবে এই পর্যায়টি নেহাতই আনুষ্ঠানিক। কারণ তার আগেই জানা যাবে, কোন প্রদেশ গেছে কোন দলের কাছে।

 

এভাবে কোনো প্রার্থী কমপক্ষে ৫৩৮-এর  মধ্যে ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট যোগাড় করলেই জয়ী হবেন।

 

অনেক সময়ে পুরো দেশের জনমত (পপুলার ভোট) আর ইলেক্টর সংখ্যায় ফারাক থেকে যায়। যেমন হয়েছিল গতবারের নির্বাচনেই।

 

২০১৬ সালে ট্রাম্প যত ভোট পেয়েছিলেন, তার থেকে অন্তত ৩০ লাখ ভোট বেশি পেয়েছিলেন হিলারি ক্লিনটন।

 

একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল ২০০০ সালে। সে বার ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যাল গোর পেয়েছিলেন ৪৮.৩৮ শতাংশ  ভোট, আর রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ বুশ ৪৭.৮৭ শতাংশ ভোট। ইলেক্টোরাল ভোটে কিন্তু জিতে যান বুশ।

Facebook Comments Box

Posted ১:০৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২০

dainikbanglarnabokantha.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক

রুমাজ্জল হোসেন রুবেল

বাণিজ্যিক কার্যালয় :

১৪, পুরানা পল্টন, দারুস সালাম আর্কেড, ১০ম তলা, রুম নং-১১-এ, ঢাকা-১০০০।

ফোন: ০১৭১২৮৪৫১৭৬, ০১৬১২-৮৪৫১৮৬

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

design and development by : webnewsdesign.com

nilüfer escort coin master free spins