• শিরোনাম

    কুমিল্লার গর্বিত সন্তান বীর উত্তম শহীদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া ইশমাম ইকবাল (প্রিয়ন্তী)

    ওমর ‍ফারুক, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১

    কুমিল্লার গর্বিত সন্তান বীর উত্তম শহীদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া ইশমাম ইকবাল (প্রিয়ন্তী)

    apps

    কুমিল্লার গর্বিত সন্তান বীর উত্তম শহীদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর
    মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম খেতাব প্রদান করে। কানাইঘাট
    লক্ষ্মীপ্রসাদ পুর্ব ইউপির বড়খেয়ড় গ্রামে শায়িত আছেন জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তন। সাবেক সেনা ও ইপিআরের মধ্যে
    একমাত্র বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধা। বীর উত্তম শহীদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নিজের
    জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন দেশের জন্য। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া গ্রামে। পিতার নাম
    আব্দুল লতিফ ভূঁইয়া ও মাতার নাম তাবেন্দা আখতার চৌধুরানী। বীর উত্তম শহীদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া ১৯৭১
    সালের ৪টা সেপ্টেম্বর সিলেটের কানাইঘাটের সড়কের বাজার সংলগ্ন কটালপুর ব্রীজ ধ্বংস করতে গিয়ে শহীদ হন। বীর
    উত্তম শহীদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া ১৯৪৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার মালপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। এবছর এই
    বীর সন্তানের ৭২তম জন্মদিন এবং ৫০ তম শহীদ দিবস পালিত হবে।
    ১৯৭১ সালে মাকে না বলে দেশ স্বাধীন করতে ছুটে গিয়েছিলেন যে তরুণ, তিনিই পরে নিজের জীবন দিয়ে
    বাঁচিয়েছেন ৮০০ সহযোদ্ধার প্রাণ। কোনো দিন মহসীন হল, কোনো দিন খালার বাসা এভাবেই থাকতেন খাজা
    নিজাম উদ্দিন ভুঁইয়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন এমবিএ ৩য় ব্যাচে পড়তেন নিজাম। দিনে চাকরি করেন ঢাকার
    হোটেল ইন্টারকনটিনেন্টালে, রাতে ক্লাস করেন।
    ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ হোটেলের বিদেশি সাংবাদিকের মুখেই শুনেছিলেন, রাতে ঢাকা আক্রমণ করবে পাকিস্তানি
    বাহিনী। ফলে সেদিন হলে না ফিরে চলে গেলেন পুরান ঢাকার অভয় দাস লেনের খালার বাড়িতে। রাতভর হলের বন্ধুদের চিন্তায়
    ঘুম এলো না। সকালে ঘণ্টা দু’য়েকের জন্য কারফিউ উঠলে, হলে ছুটে গেলেন। গিয়ে দেখলেন নিথর পড়ে আছে প্রিয়
    বন্ধুদের মুখগুলো, রক্তে ভেসে যাচ্ছে শরীর এ দৃশ্যই পুরোপুরি বদলে দিল তাঁকে। সেদিনই খালার পরিবারকে কুমিল্লা শহরের
    করবী বাগিচা গাঁওয়ে মা-বাবার কাছে দিয়ে বেরিয়ে গেলেন। কুমিল্লা শহরের তরুণদের ডেকে ঢাকার ঘটনা বললেন,
    বারবার অনুরোধ করলেন আপনারা কিছু করুন। ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট থেকে পাকিস্তানি সেনারা বেরিয়ে পড়তে পারে
    ভেবে দুই পরিবারকে বুড়িচংয়ে গ্রামের বাড়িতে রেখে মাকে বললেন,‘খালার বাড়িতে গিয়ে কয়েক দিন থাকি?’
    সেখানেই তো ছেলে ছিল, নিশ্চয়ই তাঁদের জন্য মন পুড়ছে তাই মা আপত্তি করলেন না। খালাতো ভাই গিয়াসকে নিয়ে
    বেরিয়ে গেলেন নিজাম। আশরাফ নামের আরেক পরিচিতকে নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরা চলে গেলেন।
    এপ্রিলের শুরুতে আগরতলা গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বীর উত্তম শহীদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া আওয়ামী লীগ
    নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গেও যোগাযোগ হলো। প্রবাসী সরকারের নানা কাজেও
    স্বেচ্ছাসেবা দিলেন। এরপর অস্ত্র হাতে লড়তে গেলেন তিনি। আগরতলার কাছে ইন্দ্রনগরের ট্রেনিং ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ শেষে
    মে মাসের শুরুতে মুক্তিফৌজের একজন হিসেবে চলে এলেন সিলেটের কানাইঘাটে। তখনো সেক্টরগুলো তৈরি হয়নি।
    ছোট ছোট দলে অপারেশন করে সিলেট মুক্ত রাখছিলেন নিজামের মতো মুক্তিসেনারা। ৪ নম্বর সেক্টর গঠিত হলে সেক্টর
    কমান্ডার মেজর সি আর দত্তের অধীনে সাব-সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত হলেন খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া। তিনিই সাবেক
    সেনা ও ইপিআরের মধ্যে একমাত্র বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধা। ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব
    পড়ল তাঁর কাঁধে। মেধাবী ও পরিশ্রমী মুক্তিযোদ্ধাটির সহকর্মীদের প্রতি মমতা দেখে সবাই খাজা নিজামউদ্দিন
    ভূঁইয়া ভালোবেসে ফেললেন। তখনো বাড়িতে কেউ জানে না, দেশ মুক্ত করতে গিয়েছেন তিনি। তাঁর পরিবারের অবস্থা
    তখন বেশ করুণ। সরকারের রাজস্ব বিভাগের সাবডিভিশনাল ম্যানেজার বাবা আব্দুল লতিফ ভূঁইয়া ছুটি নিয়ে বাড়ি
    এসেছেন। বড় ভাই সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভুঁইয়া পাকিস্তানে কর্মরত আরো অনেক বাঙালি
    অফিসারের মতো বন্দী। সেজো ভাই শাহজালাল উদ্দিন ভুঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আর দশম
    শ্রেণির ছাত্র আল্লামা ইকবাল উদ্দিন ভুঁইয়াও মুক্তিযুদ্ধে চলে গেছেন। সবই জেনেছেন পিতা। এতেদিনে নিজামের
    হদিস না পেয়ে মা তাবেন্দা আখতার চৌধুরানী বাবা আব্দুল লতিফ ভূঁইয়া দুশ্চিন্তায় অস্থির।
    অনেক দিন পর খালাতো বোনের স্বামী বাড়ি এসে জানালেন, বীর উত্তম শহীদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া মুক্তিযুদ্ধে
    গেছেন। তত দিনে অভাব তাঁদের পেয়ে বসেছে। নিজের সামান্য মাসোহারার টাকা মানি অর্ডার করে বাড়িতে
    পাঠাতে লাগলেন নিজাম। তবে দুই-তিন মাস পাঠানোর সৌভাগ্য হয়েছে তার। যুদ্ধের অবসরে মায়ের জন্য মন পোড়ে।
    একদিন সেক্টর কমান্ডারকে বলে ফেললেন ‘স্যার, আমাকে কুমিল্লায় পাঠান। যুদ্ধ করে মা-বাবাকে একবার দেখব। ঠিক
    আছে এই যুদ্ধ শেষে যেয়ো বললেন সি আর দত্ত।
    ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ৮০০ মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে এগিয়ে চলেছেন সাব-সেক্টর কমান্ডার খাজা নিজামউদ্দিন ভুঁইয়া। সিলেটের
    কানাইঘাটের কঠালপুর ব্রীজ উড়িয়ে দেবেন। পাকিস্তানি বাহিনী আর এগোতে পারবে না। রাতভর যুদ্ধ করে অসম
    সাহসী বাঙালি তরুণ দল ব্রীজ উড়িয়ে দিল। তবে যুদ্ধ থামল না। থেমে থেমে গোলাগুলি হচ্ছে। হঠাৎ তাঁরা টের পেলেন
    গুলি ফুরিয়ে আসছে। পাকিস্তানি বাহিনীও পরিস্থিতি টের পেয়ে চারদিক থেকে ঘিরে ধরার ছক কষছে। তখনই তাঁদের

    নেতা এগিয়ে এলেন। হাতে সাব-মেশিনগান। সহযোদ্ধাদের বললেন ‘তোমরা পিছে চলে যাও, আমি ওদের দেখছি।’
    নিরাপদে সরে যেতে লাগলেন সবাই। নিজাম অনবরত গুলি ছুড়ছেন। হঠাৎ একটি গুলি এসে তাঁর হাতে বিঁধল। তবুও অস্ত্র
    ফেলে দেননি। রক্ত ঝরা হাত নিয়েই দম আটকে গুলি করছেন। মুক্তিসেনারাও নিরাপদে চলে যাচ্ছেন। একটি গুলি আহত
    মুক্তিযোদ্ধার বুকে লাগল। তবুও দাঁড়িয়ে আছেন, গুলি করছেন। আরেকটি গুলি মাথায় বিদ্ধ হওয়ার পর আর পারলেন না।
    একপাশে ঢলে পড়লেন। ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ পড়ার শব্দ শুনে পেছন ফিরে তাকালেন সহযোদ্ধারা।
    মৃত্যুর ঝুঁকি উপেক্ষা করে এই বীরের লাশ নিয়ে তবেই তাঁরা ফিরেছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনী চেয়েছিল, এই
    অকৃত্রিম বন্ধুর কবর ভারতেই দেওয়া হোক। তবে মুক্তিযোদ্ধারা আপন দেশের মাটিতেই চিরদিনের জন্য রেখে দেবেন
    তাঁকে। কোনোভাবেই দুই পক্ষের সমঝোতা হলো না।
    অবশেষে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি সিলেটের কৃতি সন্তান এম এ জি ওসমানী বললেন, নিজাম বাংলাদেশে থাকবে।
    সিলেটের কানাইঘাটের মন্তাজগঞ্জ বাজারের পাশে বড়খেয়ড় গ্রামে পাতা শাহ মোকাম টিলার চূড়ায় তিন পীর হজরত
    লালশাহ, হজরত পাতাশাহ, হজরত গোলাপ শাহ (রহ.)-এর কবর। সেখানেই টিলার পার্শ্বে দাফন করা হলো খাজা নিজামউদ্দিন
    ভূঁইয়াকে। অন্যদের বিশ্বাস হবে না বলে স্মৃতি হিসেবে তাঁর গায়ের শার্টটি খুলে নিলেন সহযোদ্ধারা। সেটি পরেই
    মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন তিনি। ৪ সেপ্টেম্বর রাতেই স্বাধীন বাংলা বেতারের ঘোষণায় তার এলাকার মানুষও
    জানল, তাঁদের গ্রামের নিজাম সহযোদ্ধাদের বাঁচাতে আত্মদান করেছেন। তবে তাঁদেরও বিশ্বাস হলো না, দুই দিন
    আগেও তো তিনি মাকে চিঠি লিখেছেন! বিশ্বাস করতে পারেননি তাঁর মা তাবেন্দা আকতার চৌধুরানী।
    স্বাধীনতার পর সহযোদ্ধারা নিজামের শার্ট ও ঘড়ি বাড়িতে দিয়ে গেছেন। তার পরও নিজাম ফিরবে এ আশায় প্রতিটি
    দিন রাস্তার পাশের জানালায় দাঁড়িয়ে থাকতেন মা।
    ছেলের শোকে ১৯৭৭ সালেই তিনি ইন্তেকাল করেন। বাবা আবদুল লতিফ ভূঁইয়া আর কোনো দিন চাকরিতে যোগদান
    করতে পারেননি। তিনি মারা যান ১৯৮০ সালে। শহীদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া ‘বীর-উত্তম’র কবরকে কানাইঘাটবাসী
    ‘ক্যাপ্টেন নিজামের কবর’ নামে চিনেন। কানাইঘাটবাসী সহ মুক্তিযোদ্ধাদের মুখে মুখে এখনো খাজা
    নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া গল্প শুনা যায়। নিজামের সহযোদ্ধারা বলেন, একজন সেনা অফিসার ছাড়া এত বিক্রম সাধারণ
    মানুষের পক্ষে প্রদর্শন করা সম্ভব নয়।
    জানা যায়, ৬ ভাই ৩ বোনের মধ্যে নিজাম ছিলেন ২য় সন্তান। খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়ার বড় ভাই ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল
    (অবঃ) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূইয়া বর্তমানে ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
    ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আল্লামা ইকবাল উদ্দিন ভূঁইয়া (কানাডা প্রবাসী), আরেক ভাই হাসান মহি উদ্দিন
    ভূঁইয়া (ব্যাংকার)। নিজাম উদ্দিনের আরেক ছোট ভাই হাসান মহিউদ্দিন ভুঁইয়া জানান, ‘মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ
    বীরত্বের জন্য নিজামউদ্দিন ভূঁইয়াকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধির জন্য প্রস্তাব করা হলেও আলোচনার ভিত্তিতে ‘বীর-উত্তম’ খেতাব
    দেওয়া হয়। তিনিই মুক্তিযুদ্ধে শহীদ একমাত্র বেসামরিক বীর-উত্তম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট
    তাঁদের এই ছাত্র নিজামউদ্দিন ভূঁইয়ার স্মৃতি অম্লান রাখতে আইবিএর প্রবেশপথে তাঁর ম্যুরাল তৈরি করছে।
    মাস্টার্সের সেরা ছাত্র হিসাবে এবার তাঁর নামে স্বর্ণপদক দেওয়া হবে।’ জানালেন পরিচালক ড. একে এম সাইফুল
    মজিদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আ আ ম
    স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বিজনেস ফ্যাকাল্টির বিশতলা ভবনটি শহীদ খাজা নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া‘বীর-উত্তম’ এর
    নামে নির্মাণ করা হবে। খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়ার বড় ভাই ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল (অবঃ) মোস্তফা কামাল উদ্দিন
    ভূঁইয়া জানান, ঢাকার মালিবাগ রেলগেট থেকে খিলগাঁও ফ্লাইওভারের বিশ্বরোডটি ‘খাজা নিজামউদ্দিন
    ভূঁইয়ানামে নামকরণ করা হয়েছে। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের শহীদ মিনারটিও ‘খাজা নিজামউদ্দিন ভুঁইয়া বীর-
    উত্তম শহীদ মিনার’ নামকরণ হয়েছে।
    কথা হয় শহীদ বীর উত্তম শহীদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়ার কানাডা প্রবাসী ভাতিজা এহতেশাম ইকবাল ভূইয়া জানান,
    কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া গ্রামে ‘খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়াবীর-উত্তম নামে কিন্ডারগার্টেন স্কুল
    আছে। গ্রামের বাড়ির কবরী-বাগিচাগাঁও এবং মূল কান্দিরপাড় থেকে পুলিশলাইন সড়কের নামও ‘বীর উত্তম খাজা
    নিজামউদ্দিন ভূঁইয়াসড়ক’ রাখা হয়েছে। সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ পুর্ব ইউপির মন্তাজগঞ্জ বাজার
    সংলগ্ন বড়খেয়র এলাকায় শহীদ খাজা নিজামউদ্দিন ভুঁইয়া ‘বীর-উত্তম’র কবর কমপ্লেক্স ও স্মৃতিস্তম্বের পার্শ্বে তাঁর
    নামে একটি মসজিদ ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়া বড়খেয়র এলাকায় তার নামে একটি মাধ্যমিক
    বিদ্যালয়ের প্রস্তাব প্রক্রিয়াদিন রয়েছে। শহীদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া‘বীর-উত্তম’র নামে কানাইঘাটের মন্তাজগঞ্জ-
    বড়খেয়ড় রাস্তা এবং প্রস্তাবিত (মন্তাজগঞ্জ-দর্পনগর) সুরমা ব্রীজটি তার নামে নাম করনের জোরালো দাবী করছেন
    এলাকাবাসী। এদিকে শহীদ খাজা নিজামউদ্দিন ভুঁইয়া বীর-উত্তম’র স্মৃতি রক্ষায় প্রতি বছর ৪টা সেপ্টেম্বর তার স্বরণে
    স্মৃতি কমপ্লেক্সে মাঠে শাহাদাৎ বার্ষিকী এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি জন্মদিন পালন করে শহীদ খাজা নিজামউদ্দিন ভুঁইয়া
    ‘বীর উত্তম’ স্মৃতি পরিষদ।
    ইশমাম ইকবাল (প্রিয়ন্তী)
    শিক্ষার্থীÑমনোবিজ্ঞান এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
    টরন্টো বিশ^বিদ্যালয়, কানাডা।

    বাংলাদেশ সময়: ৬:০২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ