শরীফ আহমেদ প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
গতকাল সন্ধ্যা হতে গভীর রাত পর্যন্ত র্যাব-১০ এর একটি দল রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইল শ্যামপুর জুরাইন সহ বিভিন্ন এলাকায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর অভিযান চালিয়ে দেশের বহুল আলোচিত অপরাধ মূলক আতংক “কিশোর গ্যাং” এর ১৪ জন সদস্যকে আটক করে। আটককৃতদের নাম ১। মোঃ সম্রাট ২০/২। মোঃ শান্ত ১৯/৩। মোঃ সোহাগ ১৯/৪। মোঃ ফারুক ১৫/৫। মোঃ রবিন ১৭/ ৬। অর্নব ১৬/৭। বিবেক (১৫), ৮। মোঃ তুহিন (১৬), ৯। রিফাত ১৬/১০। মোঃ রাব্বি ১৬/১১। জিসান ১৬/১২। মোঃ এহেমাদ ১৬/১৩। ইসমাম হোসেন (১৭) ও ১৪। রবিউল ইসলাম ১৫/বলে জানা যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আটককৃতরা “কিশোর গ্যাং” এর সক্রিয় সদস্য। তারা রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও শ্যামপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় জনবিরল এমনকি জনসমাগমপূর্ণ স্থানে একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে আশেপাশের কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল হ্যান্ডসেট, ল্যাপটপসহ সাথে বহন করা দ্রব্যসামগ্রীর ব্যাগ প্রভৃতি ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়, আটককৃত কিশোর অপরাধীরা স্বীকার করে যে, তারা চুরি/ছিনতাই ছাড়াও তারা মাদক সেবন, খুচরা মাদকের ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, পাড়া-মহল্লায় সিনিয়র জুনিয়র নিয়ে মারামারি করে আসছিল। প্রায়শঃই তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তারকল্পে দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে সাধারন মানুষের চলাচলে ব্যাপক সমস্যা সৃষ্টি করে আসছিল বলে জানা যায় ।
আটককৃত ১৪ জন কিশোর গ্যাং এর মধ্যে মোঃ সম্রাট ২০/ মোঃ শান্ত সোহাগ ১৯/ দের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় ছিনতাই মামলায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া বাকী ১১ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে র্যাব-১০ তাদের নিকট হতে মুচলেকা গ্রহণ করে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। র্যাব-১০ আগামী দিনগুলোতে তাদেরকে সার্বক্ষনিক নজরদারীতে রাখবে, যাতে তারা আর কখনো এধরনের অপরাধমূলক কাজে যোগ দিতে না পারে। এছাড়া র্যাব-১০ এর আওতাধীন এলাকায় কিশোর গ্যাং এর সাথে জড়িত অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুদের সনাক্ত করে তাদের সুস্থ্য ও সুন্দর জীবন উপহার দেওয়ার জন্য র্যাব-১০ বদ্ধপরিকর ।
বাংলাদেশ সময়: ১:৩২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel