মোঃ সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহী: | বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট
জোড়া পিস্তল নিয়ে ৫ আগস্ট রাজশাহীতে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো শীর্ষ সন্ত্রাসী জহিরুল হক রুবেলকে (৩৫) হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড নেওয়া হয় । আজ আরেকটি হত্যা মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সাধারণ জনতা , শিক্ষার্থী , বিএনপি নেতাকর্মী ও জামাতের নেতাকর্মীদের অভিযোগ থানায় নিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসীকে জামাই আদর করা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক ফয়সাল তারেক ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাকিব আনজুম হত্যা মামলায় পুলিশ রিমান্ড চেয়েছিল ১০ দিন সেটা ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। । এর আগে তাকে রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী ও শিবির নেতা আলী রায়হান হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। এই রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার তাকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ তোলে পুলিশ।
গত ১৩ আগস্ট রাতে কুমিল্লা থেকে রুবেলকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন। এরপর তাকে রাজশাহী আনা হয়। আজ বৃহস্পতিবার কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে রুবেলকে আদালতে নেওয়া এবং বের করার সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা তাকে ঘিরে ধরেন। তারা রুবেলকে লক্ষ্য করে ডিম, ইটপাটকেল ও জুতা নিক্ষেপ শুরু করেন।
কোটে উপস্থিত থাকা ছাত্র জনতারা বলেন, পুলিশের চরিত্র এখনো একই রয়েছে। তাদের মধ্যে থেকে বৈষম্য এখন পর্যন্ত দূর করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। রিমান্ডে নিয়ে তাকে ফুলের টোকাও দেওয়া হয়নি জামাই হিসেবে তাকে রাখা হচ্ছে। তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী ছাড়াও আওয়ামী লীগের নেতা বলে তাকে আদর, যত্নে হেফাজতে রাখা হয়েছে । গত ১৭ বছর বাংলাদেশে কোন সন্ত্রাসী থেকে থাকলে সেটা ছিল স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পুলিশ বাহিনী। যাদের একটা ধাপ নড়তো না টাকা ছাড়া। দুর্নীতি অনিয়ম মাদক ব্যবসায়িকদের কাছে মাসিক মাসোয়ারা, জুয়ার বোর্ড ও হোটেল থেকে মাসিক মাসোয়ারা, বন্দি বাণিজ্য, নির্দোষদেরকে মামলা দিয়ে ফাঁসানো এমন কোন অপকর্ম নাই যা পুলিশ বাহিনী করে নাই। একবারে নতুনভাবে নিয়োগ দিয়ে এই সমস্ত স্বৈরাচারদের চাকরি থেকে বিতাড়িত করা দরকার।
বিএনপির কর্মীদের পক্ষ থেকে সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের তানভীর আহমেদ সুইট বলেন, গত ১৭ বছর যখন আমাদের বিএনপি’র বা জামাত-শিবিরের কাউকে আটক করেছে তাকে রিমান্ডে না নিয়েই যে পরিমাণ অত্যাচার করা হয়েছে যা বলার বাইরে। পরে তাদের রিমান্ডে নিলে তারা আদালতে নিজের পায়ে হেঁটে যেতে পারে নাই। কিন্তু এই রুবেল যে রাজশাহীর শীর্ষ একটা সন্ত্রাসী মেয়র লিটনের বিশ্বস্ত খুনি তাকে একটা চড় পর্যন্ত দেওয়া হয় নাই। তার পরিবারের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে থানায় জামাই আদরে রেখেছিল। তার বিচারের স্লোগান দেওয়ায় সে কোর্ট চত্বরে পুলিশের সামনে পিজন ভ্যান থেকে বেরিয়ে জনতার বুকে লাথি দেয়। এই দৃশ্যতে বোঝা যায় কতটা যত্ন করা হচ্ছে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের। আজ তাকে আবারো সাত দিনের আপ্যায়ন করার জন্যই রিমান্ডে নিয়ে গেল। যেখানে গত ১৭ বছর আমাদের নেতাকর্মীদের শারীরিক নির্যাতন সহ আয়না ঘরের মতো জায়গায় বন্দি করে রেখেছিল । সেই হিসাবে আওয়ামী লীগের এই সন্ত্রাসীদের একটা ফুলের টোকাও দিচ্ছেনা প্রশাসন। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে জানতে নগরীর বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কে একাধিক বার ফোন করায় তিনি কল না ধরায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Posted ৬:৩৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।