• শিরোনাম

    মাতুয়াইলে মেডিকেলে আশে পাশে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে চাঁদা আদায়ে অভিযোগ ”পর্ব-০১”

    শরীফ আহমেদ প্রতিবেদনঃ রবিবার, ২১ মে ২০২৩

    মাতুয়াইলে মেডিকেলে আশে পাশে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে চাঁদা আদায়ে অভিযোগ  ”পর্ব-০১”

    apps

    বিদ্যুৎ সংকটে সরকারে ঘোষণা দিয়ে লোড শেডিংয়ে হলেও ঢাকার রাজধানী যাএাবাড়ী অর্ন্তভুক্ত ডিএসসিসি ৬৫ নং ওর্য়াডে অবস্হিত মাতুয়াইলে সরকারী প্রতিস্ঠান মা ও শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সামনে মাতুয়াইল মেডিকেল ফুটওভার ব্রিজের নিচে সরকারী জমিতে ফুটপাত চঁকি বসিয়ে ভ্রাম্যমাণ দোকান সহ অর্ধ শতাধিক ট্রং দোকানে লাইট,ফ্যান,ফ্রিজ ব্যবহারে জন্য অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে স্থানীয় চাঁদাবাজরা ও মাতুয়াইল ডিপিডিসির অসাধু কর্মকর্তাদের প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা পকেটে যাচ্ছে। এই কারনে প্রতি মাসে সরকারের রাজস্ব হারাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এই টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে স্হানীয় ফুটপাতে চাঁদাবাজরা ও মাতুয়াইলে ডিপিডিসি অসাধু কর্মকর্তারা।

    অবৈধ বিদ্যুৎ দিয়ে নিয়ম করে ফুটপাতে অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে বিদ্যুৎ চুরির মহোৎসব চলছে। সংঘবদ্ধ একটি চক্র বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এতে করে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব অন্যদিকে বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছে স্হানীয় এলাকাবাসী ও বৈধ গ্রাহকরা। মাঝে মধ্যে কেন্দ্রীয় ডিপিডিসি এসব অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনার পরেও ফের বেশী টাকা দিয়ে আবারো অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে থাকে পুনরায় ফুটপাতে দোকান বসাচ্ছে স্হানীয় সরকার দলের নামধারী স্হানীয় চাঁদাবাজরা।

    সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,যাএাবাড়ী মাতুয়াইল মেডিকেল রোডে উভয় পাশে ফুটপাতে চা দোকান,খাবার দোকান,ভাম্যমান ফলমূলের দোকান ও সড়কের বিপনী বিতানে প্রতিদিন শত শত অবৈধ বিদ্যুৎ বাতি ও ফ্যান,ফ্রিজ চলে। একটি বাতি থেকে দিনে গড়ে ২৫ টাকা আদায় করা হয়। ফ্যান ব্যাবহার করলে ৫০ টাকা,ফ্রিজ ব্যাবহার করলে ১০০ টাকা করে প্রতিদিন চাঁদা দিতে হয়। সে হিসাবে প্রতিদিনে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে স্হানীয় প্রভাবশালী একটি চাঁদাবাজ চক্র।

    অনুসন্ধানে আরো জানা যায়,মাতুয়াইল মেডিকেল ফুটওভার নিচে ফুটপাতে দোকানের জন্য অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে জন্য প্রতি দোকান দারদের কাছ থেকে বেশ কিছু দিন এককালীন ১০ থেকে ১৫ হাজার করে অবৈধ বিদ্যুৎতে জন্য টাকা নিয়েছে স্হানীয় চাঁদাবাজ গংরা। এই চক্রের সঙ্গে রয়েছে মাতুয়াইল জোনাল বিদ্যুৎ অফিসের অসাধু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী।

    অন্যদিকে সরাসরি সরকারী প্রধান সড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে বিদ্যুৎ চুরি করে ব্যবহার করায় জন্য সরকার হারাচ্ছে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব। আর পকেটভারী হচ্ছে স্হানীয় চাঁদাবাজ গংদের ও সরকারী মাতুয়াইল ডিপিডিসি বিদ্যুৎ অফিসের অসাধু চক্রের কর্মকতাদের।

    স্হানীয় সূত্র জানা যায়, যদিও সরকারীভাবে সারাদেশে বিদ্যুৎ সংকট সমাধানে পুরো দেশের ন্যায় মাতুয়াইল মেডিকেল ফুটওভার ব্রিজে আশে পাশে দোকানপাট ও মার্কেট রাত ৮ টার পর বন্ধ রাখাসহ একাধিক নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। কিন্তু এসব ট্রং দোকান ও ভ্রাম্যমাণ ফুটপাতে চঁকি বসিয়ে নির্ধারিত সময় পার করেও দোকানদারি করছে। পরে বন্ধ হলেও বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে অবাধে দোকান চালায় সড়কের দুই ধারের বিপনী বিতানগুলো। বিদ্যুৎ জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সকল নির্দেশনা পালনে মাতুয়াইল ডিপিডিসির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ! তাদের নাকের ডগায় চলছে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের উৎসব! স্হানীয় এলাকাবাসী একটাই চাওয়া অবৈধ ব্যবহারকারীদের দৃস্ঠান্ত মুলক শাস্তি দাবী জানিয়েছে।

    বাংলাদেশ সময়: ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২১ মে ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ