পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোহরদী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১-১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের দায়িত্বে থেকে সংগঠনকে এগিয়ে নেন, পরে ১৯৯৯-২০০৮ সাল পর্যন্ত যুবদল মনোহরদী উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন, ২০০৪-২০০৮ সাল পর্যন্ত যুবদল নরসিংদী জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক, ২০০৯-২০১৪ সাল পর্যন্ত বিএনপি মনোহরদী উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০১৫-২০১৮ সালে বিএনপি নরসিংদী জেলা শাখার সদস্য এবং মনোহরদী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি নরসিংদী জেলা শাখার সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা গেছে, তার রাজনৈতিক জীবনে একাধিকবার তিনি বিএনপি মনোনীত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন কিন্তু প্রতিবারই আওয়ামী সন্ত্রাসী হামলা, ভোট ডাকাতি ও কারচুপির কারণে প্রকৃত ফলাফল থেকে বঞ্চিত হন।
২০০০ সালের ২৬ নভেম্বর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে, মোটরসাইকেল শরীরের উপর দিয়ে চালিয়ে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে যায়, যা সে সময়ের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তার বিরুদ্ধে অসংখ্য রাজনৈতিক ও গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবুও তিনি দলের প্রতি অনুগত থেকে আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রেখে গেছেন। বিশেষ করে ১/১১ সময় মনোহরদী উপজেলায় অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল হান্নান শাহ, খায়রুল কবির খোকন, শিরিন সুলতানা, আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে থেকে আন্দোলন পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি আন্দোলনে মাঠে ছিলেন এবং ধানের শীষের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নরসিংদী জেলা শাখার সহ-প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং শিক্ষকতা পেশার পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতির মাঠে একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে অবিচল রয়েছেন।
এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট নরসিংদী জেলা শাখার আজীবন সদস্য, হাতিরদিয়া রাজিউদ্দিন ডিগ্রি কলেজের বিদ্যুৎসাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিভিন্ন সামাজিক কাজে জড়িত আছেন।