বুধবার ১২ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

>>

অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম বিধান মল্লিকের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় 

নবকণ্ঠ ডেস্ক   |   বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫   |   প্রিন্ট

অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম বিধান মল্লিকের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় 

অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি, গোপালগঞ্জ জোনের ডিজিএম বিধান চন্দ্র মল্লিক সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতি বিনষ্ট করে হিন্দু মুসলিম অফিসারদের মুখোমুখি দাড় করিয়েছেন। সৎ ও নিষ্ঠাবান, মুসলিম অফিসারদের বিভিন্ন জায়গায় ট্রান্সফার করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে হিন্দু অফিসারদের সুবিধামত জায়গায় ট্রান্সফার করছে। লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময়ে হিন্দু অফিসারদের ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব দিচ্ছেন। এভাবে তিনি ইসকনের সদস্যদের একত্রিত করছেন। মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে ভারতে টাকা পাচার করছেন। যার সত্যতা আরো স্পষ্ট হবে অগ্রণী ব্যাংক গোপালগঞ্জ অঞ্চলের পূর্বের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের পেনশেনের টাকার হিসেব নিলে। বাংলাদেশ সরকারের পেনশনের টাকা নিয়ে অধিকাংশ কর্মকর্তা কর্মচারী ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন। যেমন: জনাব হিরন্ময় মজুমদার, নিরোদ চন্দ্র মন্ডল, দিক্ষিত কুমার হালদার। এভাবে সুকৌশলে জগনের টাকা ভারতে বছরের পর বছর ধরে পাচার হচ্ছে। বাংলাদেশের শতকরা ৯২ ভাগ মানুষ মুসলিম ধর্মের অনুসারী হলেও অগ্রণী ব্যাংক গোপালগঞ্জ অঞ্চলের শতকরা ৭৫ ভাগ হিন্দু কর্মকর্তা, কর্মচারী। গোপালগঞ্জ অঞ্চলের ১৪ টি শাখার মধ্যে ১০টি শাখার ব্যবস্থাপক হিন্দু সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনের দাতা সদস্য। গোপনসূত্রে জানা যায় যে, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের শাসনামলে ২০১৫ সনের নিয়োগে বলরাম পোদ্দার নামীয় একজন পরিচালক টাকার কয়েক কোটি টাকার বিনিময়ে ২০ থেকে ২৫ জন হিন্দু কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেন। যেটি পুনরায় তদন্ত করা জরুরী। যাদের অধিকাংশই এখন ইসকনের সক্রিয় সদস্য এবং মাসিক অর্থ দাতা। যাদেরকে সাথে নিয়ে মুসলিম বিদ্বেষী বিধান চন্দ্র মল্লিক ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থানে গোপালগঞ্জে কাজ করে যাচ্ছে। বৈষম্যহীন বাংলায় হিন্দু মুসলিম বৈষম্য তৈরি করছে। তার বৈষম্যমূলক কর্মকান্ড এবং অনৈতিক কাজের কয়েকটি উদাহরন হিসেবে বলা যায় যে,

বনগ্রাম বাজার শাখার ব্যবস্থাপক সঞ্জয় বাইন ইসকনের সক্রিয় সদস্য। ভারতের পাসপোর্টধারী এবং আধার কার্ড ধারী। সঞ্জয় বাইন বনগ্রাম বাজার শাখায় তার নিজের বিতরনকৃত ৫০ লক্ষ টাকা তামাদি ঋণে পরিনত করেছে। প্রচুর ঋণ বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম লংঘন করে সিএল হাইড করেছে। যে ঋনগুলো ফিরে পাবার কোন সম্ভাবনা নেই। এই অনিয়মটি ব্যাংকিং নীতিমালা অনুযায়ী সিরিয়াস ল্যাপ্সেস হিসেবে পরিগনিত। আভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা অজানা কারনে সেটি এড়িয়ে যায়। ডিজিএম তার সকল অনিয়ম, দূর্নিতীকে প্রশ্রয় দিয়ে উপহার স্বরুপ কালিগঞ্জ শাখা, কোটালীপাড়া বদলি করেছেন। তার নিজ বাড়ির কাছে থেকে ইসকনের সদস্যদের যাতে একত্রিত করতে পারে। এই সঞ্জয় বাইন ছিল স্বৈরাচার হাসিনার কোটালীপাড়ার নিজ আসনের একনিষ্ঠ কর্মি। ভারতের “র” এবং ইস্কনের সহযোগী। তার কর্মকাল ঘাটলে দেখা যাবে যে, সে প্রভাব খাটিয়ে একাধিকবার বনগ্রাম শাখায় ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিল। তার নামে পূর্বেও টিভি চ্যানেল ও পত্রিকায় তার অনৈতিক ব্যাংকিংয়ের প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছিল। বিষয়টি আওয়ামী ইস্কন প্রভাব খাটিয়ে ধামাচাপা দিয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ব্যবস্থাপক কার্তিক চন্দ্র মন্ডল তিন মেয়াদে উক্ত শাখার ব্যবস্থাপকের দ্বায়িত্ব পালন করছে। বিষয়টি অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। কার্তিক চন্দ্র জলিরপাড় শাখা, কাশিয়ানী শাখা ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দ্বায়িত্ব পালনকালে একই কায়দায় বরেন্দ্রনাথ মন্ডলকে সাথে নিয়ে ব্যাংকের আয়খাত ডেবিট করে অর্থ আত্মসাত করে ধরা পড়ে। আভ্যন্তরীণ নীরীক্ষা আপত্তিতে বিষয়টি উঠে আসলেও ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী এসএল আপত্তি হওয়া স্বত্তেও অজানা কারনে সেটি করা হয়নি। জলিলপাড় শাখায় দ্বায়িত্ব পালনকালে বিদ্যুৎ বিলের লক্ষ লক্ষ ভ্যাটের টাকা আত্মসাত করেছিল। ডিজিএম বিধান মৌলিক কার্তিক চন্দ্র মন্ডলের কাছ থেকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে ধামাচাপা দিয়েছে এবং কার্তিক চন্দ্রকে স্বপদে বহাল রেখেছে।
বিপ্রদাস বিশ্বাস কালিগঞ্জ শাখায় দায়িত্ব পালন কালে নামে বেনামে নিজ পরবারের সদসদের ৫০ লক্ষ টাকার বেশি ঋণ প্রদান করেছেন। যা অনাদায়ী অবস্থায় রয়েছে। তিনি বিদ্যুৎ বিলের ভ্যাটের টাকা বছরের পর বছর আত্মসাৎ করেছে। জলিলপাড় শাখায় দ্বায়িত পালনকালে একই কায়দায় অর্থ আত্মসাত ও তছরুপ করে ধরা পড়লে তার ব্যবস্থাপক পদ থেকে উঠিয়ে আনা হয়। তাকে পুনরায় টুংগিপাড়া শাখায় ব্যবস্থাপকের দ্বায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এখনো তাকে শাস্তির আওতায় আনা হয়নি।
আঞ্চলিক কার্যালয়ে কর্মরত রিন্টু ভক্ত ঝুটিগ্রাম শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মকালীন ব্যাংকে আয় খাতের ৩.৭০ লক্ষ টাকা আত্মসাত করে ধরা পড়ে। তাকেও পুরষ্কার স্বরুপ গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ে বদলি করা হয়। ডিজিএম তার বিষয়েও নিরব ভূমিকা পালন করছে। কাশিয়ানী শাখার ব্যবস্থাপক গোপাল সরকার কোটালীপাড়া শাখায় ব্যবস্থাপকের দ্বায়িত্ব পালনকালে বিধবা ভাতার টাকা আত্মসাত করে। স্কুল কলেজের অব্যায়িত অর্থ ১.৫০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে ধরা পড়লে তার ম্যানেজারী হতে উঠিয়ে আনা হয়। অজানা কারনে পূনরায় তাকে রামদিয়া শাখার ব্যবস্থাপকের দ্বায়িত্ব প্রদান করা হলে সেখানেও ব্যাংকের আয় খাত ৩.০৬ লক্ষ টাকা এবং বিভিন্ন খাত হতে ৫.০০ লক্ষ টাকা আত্মসাত করে ধরা পড়ে এবং অডিট আপত্তিতে উত্থাপিত হলে সামান্য অর্থদন্ড দিয়ে খালাস পেয়ে যায় কিন্তু অপরাধের বিচার হয় না। পুনরায় তাকে কাশিয়ানী শাখার দ্বায়িত্ব প্রদান করা হলে সেখানে একই কায়দায় এবং অধিক ঋন বিতরনের মাধ্যমে ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ লেনদেন করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মাচার না মেনে প্রচুর ঋণ সিএল হাইড করে। এভাবে সরকারী ব্যাংক শাখাটির কোটি কোটি টাকা ঝুকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে তার বিতরন করা ঋণসমূহের অধিকাংশই খেলাপী ও তামাদি ঋণে পরিনত হবে। ডিজিএম বিধান চন্দ্র যাবতীয় বিষয় জানার পরও নিয়মিত আর্থিক সুবিধা পাওয়ার দরুন নিশ্চুপ আছে। ভাংগারহাট শাখার ব্যবস্থাপক সুজন চন্দ্র দেউড়ি ব্রিটিশ নাগরিক নিকোলাস হালদারকে ৫০ লক্ষ টাকা ঋন দিয়ে ব্যাংকে ঝুকির মাঝে ফেলে দিয়েছে। এছাড়া তিনি ঘুষ গ্রহণ করে নামে বেনামে কোটি কোটি টাকা ঋণ বিতরন করেছে। যা কখনো আদায় হবে না। উক্ত ব্যবস্থাপকদের সাথে ডিজিএম ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে গোপালগঞ্জ অঞ্চলে। উপরিল্লিখিত যাবতীয় বিষয় সত্য, যা প্রমানিত ও ডকুমেন্টেড। অডিট করলে যার সত্যতা পাওয়া যাবে। এভাবে উল্লেখিত ব্যবস্থাপকগন প্রচুর টাকা উপার্জন করে ইস্কনকে শক্তিশালী করছে। প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা তাদের নিকট আত্মীয় যারা ভারতে অবস্থান করছে তাদের কাছে পাচার করছে। এদের অধিকাংশই ইতোমধ্যে ভারতে জমি কিনেছে। যাতে করে যে কোন সময়ে বড় অংকের টাকা নিয়ে ভারতে চলে যাতে পারে।
ডিজিএম আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ইস্কনকে শক্তিশালী করার জন্য নির্দোষ মুসলিম অফিসারদের টার্গেট করে হয়রানী মূলক ট্রান্সফার করছে। মুসলিমদের ক্যারিয়ার নষ্ট করার জন্য ছোট খাট বিষয়কে বড় করে, মিথ্যা বানোয়াট তথ্যের ভিত্তিতে উপস্থাপন করে যাচ্ছে। যাতে করে হায়ার ম্যানেজমেন্ট তাদের সম্পর্কে ভূল ধারনা পোষন করে।
জোনাল হেড দুর্নীতিগ্রস্থ হিন্দু কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপকদের কাছ থেকে বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা নিচ্ছে।
সাম্প্রদায়িক ডিজিএম বিধান চন্দ্রকে অন্যত্র ট্রান্সফার করা না হলে গোপালগঞ্জ অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে। তিনি চারিদেকে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিচ্ছে। যার ঢেঊ সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা তৈরি হয়েছে।
ইসকনের সহায়তা কারী গোপালগঞ্জ অঞ্চলের অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম বিধান চন্দ্র মল্লিক কে প্রত্যাহার করা জরুরি বলে মনে করেন জুলাই আদর্শে বিশ্বাসী ছাত্রজনতা। একইসাথে অগ্রনী ব্যাংক গোপালগঞ্জ অঞ্চলে হিন্দু মুসলিম কর্মকর্তা কর্মচারীর অনুপাত যৌক্তিক হারে পদায়ন করে সমস্ত অনিয়মের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষিদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী। হাজার তাজা প্রানের বিনিময়ে পাওয়া নব্য বাংলাদেশে শহীদের রক্তের দাগ মুছে যাওয়ার আগেই বিধান চন্দ্র মল্লিকের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে অগ্রণী ব্যাংকসহ সমস্ত গোপালগঞ্জকে রক্ষা করা জরুরী। তিনি ইস্কনের মাধ্যমে পুনরায় গোপালগঞ্জকে জাগ্রত করার প্রয়াসে নেমেছে যা সারা বাংলাদেশের জন্য অশনি সংকেত।

এ সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিজিএম বিধান চন্দ্র মল্লিকের সাথে যোগাযোগ করে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

 

Facebook Comments Box

Posted ৩:৩২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

dainikbanglarnabokantha.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক

রুমাজ্জল হোসেন রুবেল

বাণিজ্যিক কার্যালয় :

১৪, পুরানা পল্টন, দারুস সালাম আর্কেড, ১১ম তলা, রুম নং-১১-এ, ঢাকা-১০০০।

ফোন: ০১৭১২৮৪৫১৭৬, ০১৬১২-৮৪৫১৮৬, ০২ ৪১০৫০৫৯৮

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

design and development by : webnewsdesign.com

nilüfer escort coin master free spins