
নিজস্ব প্রতিবেদক: | শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | প্রিন্ট
ঢাকার লালবাগ থানায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শাওন হত্যা মামলায় আসামী করা হয়েছে মোট ৪০ জনকে। ৫ ই আগস্ট পতিত সরকার শেখ হাসিনার বাহিনীর হামলায় ঢাকার লালবাগ থানা এলাকায় ১ জন নিহত হন।
শেখ হাসিনার হুকুমে তার ক্যাডার বাহিনী ও গোদাগাড়ী তানোরের সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর মদদপুষ্ট ক্যাডার মাদক সম্রাট মিজানের জড়িত থাকার বিষয়ে মামলা সূত্রে জানা গেছে। বিভিন্ন পত্র – পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে নিউজ হয়েছে একাধিক। একাধিক মামলার আসামি লালবাগ থানার ০৯ নং মামলায় মিজানুর রহমানকে ৪০ নং আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলাটি লালবাগ থানায় ১২ জানুয়ারি নথিভুক্ত হয়েছে। মিজানুর রহমান গোদাগাড়ী উপজেলার সরমংলা এলাকার আকবর আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিজানুর রহমান এক সময় আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় মাদক চোরাচালান, ভূমিদস্যুতা, এলাকায় যুব সমাজকে মাদকের বাহক হিসেবে ব্যবহার, ক্ষমতার অপব্যবহার সহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলেন। ইন্ডিয়া থেকে মাদক চোরাচালান করে কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। জমি, পুকুর, বালুঘাটের মালিক হয়েছেন মাদকের টাকায়। এই টাকায় খরচ করে কিনেছেন দলীয় নেতাকর্মীদের। পরবর্তীতে দল বদল করে সেজেছেন অন্য দলের কর্মী।
কালের ফেরে এখন অন্যান্য দলের ছায়া নিচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি একটি দলের নেতাকে মেয়র বানানোর স্বপ্ন দেখিয়ে ফায়দা লুটছেন মিজান।তাকে ছায়া দিয়েও লাভবান হচ্ছেন এলাকার প্রভাবশালীরা।তার বিরুদ্ধে গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি মাদক মামলাও রয়েছে। এই মামলায় বেশিদিন কারাবাস করতে হয়নি তাকে।অগাধ টাকা ঢেলে বেরিয়েছেন শিগগির।
কালোবাজারি মিজান এক সময় হুন্ডি ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। অবৈধ পন্থায় ইন্ডিয়ায় টাকা লেনদেন করতে গিয়ে সেখানে পরিচিতি লাভ করেন। সেখান থেকেই শুরু করেন মাদক চোরাচালান। সপ্তাহে মিজান ২০ কেজি থেকে ৩০ কেজি হেরোইন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন।এগুলো দেশের রাজধানী সহ সারা দেশে ছড়িয়ে দেন।এভাবেই কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন এই মাদক সম্রাট। মাদকের মামলা থেকে বাঁচতে একসময় আওয়ামী দোসরদের সহযোগিতা নিয়েছেন মিজান।
Posted ৭:১৯ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
dainikbanglarnabokantha.com | Shanto Banik
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।