• শিরোনাম

    হবি-সাইফুদ্দি সন্ত্রাসী বাহিনীর দাপটে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

    টি,এম,এ হাসান, সিরাজগঞ্জ: বৃহস্পতিবার, ০৩ জুন ২০২১

    হবি-সাইফুদ্দি সন্ত্রাসী বাহিনীর দাপটে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

    হবি-সাইফুদ্দি সন্ত্রাসী বাহিনীর দাপটে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

    apps

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের বেত বাড়ি এলাকার ত্রাস হিসাবে খ্যাত চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী হবি-সাইফুদ্দি’র পরিচালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর হত্যা, গুম, ধর্ষণ, ডাকাতি, চাঁদাবাজি সহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দাপটে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন আশে পাশের এলাকাবাসী। নিরাপত্তা ও শান্তির আশায় পুলিশ হেড কোয়ার্টাস, প্রশাসন সহ অসংখ্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেও এই শালা-দুলাভাই সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে মিলছেনা সমাধান। প্রতি মুহুর্তেই যেন একটা ভয় ও অজানা শংকা নিয়ে নিরাপত্তা হীনতায় কাটছে তাদের জীবন ও সময়। এদিকে এলাকায় হাতুড়ি বাহিনী নামে পরিচিত এই হবি-সাইফুদ্দি সন্ত্রাসী বাহিনীর দাপটে নির্ঘুম কাটে এই দিন মজুর সাধারন মানুষগুলোর প্রতিটি রাত। চাঁদা না পেলেই শুরু হয় হাতুড়ি দিয়ে পিটানো অথবা বাড়িঘর দোকান পাটে আগুন দেয়া। আর রাতের আধার নামলেই ডাকাতি, ধর্ষণ, ছিনতাই যেন তাদের নিত্যদিনের সঙ্গি। কথা গুলো বলছিলেন ভুক্তভোগী বেত বাড়ি ও পূর্ব সাত বাড়িয়া এলাকার অসংখ্য নির্যাচিত সাধারন নারী পুরুষ ও এলাকাবাসী। কিন্তু এবিষয়ে পুলিশ হেড কোয়ার্টার, সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার, র‍্যাব-১২ সহ নানান সময়ে নানান জায়গায় অসংখ্য অভিযোগ করলেও কোনও সমাধান মেলেনি বলেও দাবি করেন তারা।

    এলাকাবসীরা বলেন, উল্লাপাড়া থানার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের বেত বাড়ি এলাকার মৃত তাহের সরকারের ছেলে মো. হাবিবুর রহমান হবি (৪৫)। সে এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী, খুনি, চাদাবাজ, ভূমিদস্যু, ডাকাত ও ত্রাস হিসাবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে খুন, গুম, ডাকাতি, চাঁদাবাজি সহ নানান সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগে প্রায় দেড় ডজন মামলা আছে। যার মধ্যে কয়েকটি মামলায় একাধিকবার জেলও খেটেছেন।

    তারই একান্ত সহযোগী হবি’র দুলাভাই (বোনের স্বামী) একই এলাকার মৃত মতলব প্রামাণিকের ছেলে সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইফুদ্দি (৬৫)। যে হবি’র ডান হাত হিসাবে কাজ করে থাকেন তার বিরুদ্ধেও প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষন, শিশু অপহরন, ডাকাতি সহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এই সাইফুদ্দিও জেল খেটে বেরিয়েছেন সম্প্রতি। তিনিই মুলত হাবিবুর রহমান হবি’র হয়ে সকল কাজের নেতৃত্ব দেন ও বাস্তবায়ন করেন বলেও দাবি করেন এই ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। তারা জানান, এই সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইফুদ্দি, একই এলাকার মৃত কামাল হোসেনের ছেলে ইমন (২৫), ও সোহেল (৩২), মো. তছু মন্ডলের ছেলে জহুরুল (৪২), মজনু খা’র ছেলে নিজামুল সহ অন্তত ২০থেকে ২৫জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ তাদের। যাদেরকে এলাকার সবাই হাতুড়ি বাহিনী নামেই চেনেন।

    একই গ্রামের মো. আবজাল হোসেনের ছেলে মো. সাগর আলী (২৫) বলেন, ৪মাস আগে সন্ত্রাসী হবি ভুয়া পুলিশ দিয়ে আমাকে ধরিয়ে মাদক ব্যাবসায়ী বানিয়ে ৩০হাজার টাকা দাবি করেন। তখন ১৫হাজার টাকা দিলেও বাকি ১৫হাজার টাকা না দিতে পারায় ঘর বাড়িতে আগুন দেয় ও হামলা চালিয়ে দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করেন। এছাড়াও এসময় ঘরে রাখা ১লক্ষ ২০হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় তারা। পরেরদিন থানায় অভিযোগ করে আমার শ্বশুর জাহাঙ্গীর মন্ডল ও চাচা শ্বশুর দুলাল মন্ডল বাড়িতে ফেরার পথে রাস্তাতেই ধরে হাতুড়ি দিয়ে হবির নেতৃত্বে অন্তত ২০-২৫জন এলোপাতাড়ি মারধর করেন। পরবর্তীতে আমরা শুধু সবকিছু সহ্য করে আইনের প্রতি আস্থা রেখে যাচ্ছি। প্রশাসন ব্যাবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করলে এসব কিছু চাপা দেওয়ার চেষ্টায় উলটো উল্লাপাড়া থানার ওসির বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা করে এই সাইফুদ্দি।

    মৃত আব্দুল আজিজ সরকারের ছেলে মো. কামরুল ইসলাম বলেন, প্রায় ৩-৪বছর আগে এই সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইফুদ্দি একসময় উল্লাপাড়ায় নাইট গার্ডের চাকরি করা অবস্থায় হামিদ সাইকেল স্টোরে একটি বড় ডাকাতির ঘটনা ঘটে, যেটারও মাস্টারমাইন্ড ছিল এই সাইফুদ্দি।

    নজর আলী মন্ডলের ছেলে মো. দুলাল মন্ডল বলেন, গত ২৩মে রাত ৮টার দিকে আমার ভাস্তি জামাই সাগর ধানের খড়ের আটি কাটছিলেন পরেরদিন শুকানোর জন্য। এমতাবস্থায় সাইফুদ্দি ও হবি সহ তাদের এই সন্ত্রাসী গ্রুপের প্রায় ২০-২৫জন এসে রামদা ও হকিস্টিক সহ আক্রমণ করে মারধর করে সাগরকে। পরেরদিন মামলা করায় রাতে আবারও নানান রকমের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করতে বাড়িতে আসলে গ্রামবাসী মিলে নিজেদের রক্ষার তাগিদে তাদের ধাওয়া করে সাইফুদ্দি ও চান মিয়াকে ধরে ফেলে। পরে উল্লাপাড়া থানা পুলিশকে জানালে তারা এসে তাদের আটক করে নিয়ে যায়।

    মো. গোলাম মোস্তাফা সরকারের ছেলে মুরগি ব্যাবসায়ী মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রায় ৪মাস আগে হবি ও সাইফুদ্দি বাহিনী আমার কাছে ৫০হাজার টাকা চাদা দাবি করে। আমি টাকা না দিলে তারা আমার মুরগির দোকানটাই আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।পার্শবর্তী পূর্ব সাত বাড়িয়া গ্রামের মৃত হায়দার সরকারের ছেলে বুলবুল সরকার (৩৫) বলেন, আমার বাড়িতে গিয়ে হবি, সাইফুদ্দি, মনিরুল, নিজামুল সহ ১৫-২০জন মিলে দেড় লক্ষ টাকা চাদা দাবি করেন। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার বাড়িতে আগুন দেয় ও সলপ রেল স্টেশন এলাকায় আমাকে আটকিয়ে মারধর করে।

    মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গত ১৬জুন ২০১২ তারিখে এলাকার ফসলের মাঠ থেকে পুরো শরীরে পোড়া মবিল লাগানো অবস্থায় একটি অজ্ঞাত যুবতী নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে উল্লাপাড়া থানা পুলিশ। অজ্ঞাত নারীর আনুমানিক বয়স হবে ২৪-২৬বছর। পুরো শরীরে পোড়া মবিল লাগানো ্থাকায় তার পরিচয় নশ্চিত হওয়া যায়না। পরবর্তীতে প্রকৃত ঘটনা জানা যায়, নারীটাকে খুন করে প্রথমে সাইফুদ্দির প্রতিবেশী মৃত আজাহার মাষ্টারের ছেলে আসাদুলের বাড়ির টয়লেটে রাখা হয়। পরবর্তীতে সন্ত্রাসী হবি’র নির্দেশে মৃতদেহটি সাইফুদ্দি তার ছেলেদের নিয়ে গ্রামের ফসলের মাঠে ফেলে দিয়ে আসে। তিনি আরও বলেন, কিছুদিন পরে সাইফুদ্দির ছেলে মোমিন আমার সেই জমিতেই কাজ করার সময় আমার কাছে বলছিলো, এই লাশটা তারাই ফেলে দিয়ে গিয়েছিল। এবং হবি সাইফুদ্দিকে ফোন দিয়ে নাকি এই কাজটি করতে বলেছিলো। সাইফুদ্দি ও তার ছেলে মোমিন নিজেরাই এই কথা একাধিকিবার স্বীকার করেছেন ও এলাকাবাসী সবাই এটা জানেন বলেও জানান সাবেক এই পুলিশ সদস্য। এখন পর্যন্ত সত্য ঘটনা উম্মোচন না হওয়ায় সেই মৃতের পরিচয় টা নিশ্চিত করার জন্যও অনুরোধ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, উল্লাপাড়া থানার ওসি হিন্দু ধর্মের অনুসারী হলেও তিনি একজন মানবিক মানুষ। তিনি যখন আমাদের মত নিরীহ মানুষদের পাশে দাড়িয়েছেন তখন এই চক্রটি তাকে নানান ভাবে হয়রানি ও মানহানির চেষ্টা করছেন বলেও জানান।

    এলাকাবাসীর মধ্যে, মৃত ময়দান আলী মন্ডলের ছেলে নজর আলী মন্ডল, মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান আলো, মৃত মহেস ফকিরের ছেলে আমজাদ ফকির, আলহাজ্ব আ. জলিল মাষ্টার, মো. গোলাম মোস্তাফা, নজরুল খন্দকার, আনিসুর রহমান, রহিস উদ্দিন মোল্লা, দুলাল মন্ডল, রফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর মন্ডল, শফিকুল ইসলাম, মহির উদ্দিন, সাধনা বেগম, জবেদা বেগম, তাহমিনা খাতুন, লাকী খাতুন সহ এলাকার অসংখ্য নারী পুরুষ বলেন, কয়েক বছর আগে এলাকার নূর মোহাম্মদ মাষ্টারের বাড়িতে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি, বছর খানেক আগে স্থানীয় সাত বাড়িয়া ঘাট থেকে ট্রলার ডাকাতি, দূর থেকে এক মহিলাকে অপহরণ করে নিয়ে এসে খুন করে পাশের বাড়ির টয়লেটে রাখা, ঘাটিনা সেতু এলাকায় এক ব্যাক্তিকে জবাই করে লাশ ফেলে রাখার ঘটনায় জেলও খেটেছেন এই হবি।

    তারা আরও বলেন, সাইফুদ্দিরও অসংখ্য সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও খারাপ কাজের ইতিহাস রয়েছে। এর মাঝে অন্যতম হলো, একই গ্রামের সোরহাব মোল্লার প্রতিবন্ধী মেয়ে হাওয়া (৩০)(হাওয়া পাগলি) কে ধর্ষন ও গর্ভবতী করে সন্তান অস্বীকার করার চেষ্টা করে।গত ২০১০ সালে তখন মেয়েটির বয়স হবে ১৯ কি ২০ বছর। মেয়েটি আলাদা ঘরে থাকার সুবাদে সাইফুদ্দি কৌশলে মেয়েটি প্রতিবন্ধী হওয়ার সুযোগ নিয়ে অসংখ্যবার ধর্ষণ করলে এক পর্যায়ে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে সাইফুদ্দির খারাপ কাজের বিষয়টি সবার সামনে আসে। মেয়েটি নিজেই এঘটনায় সাইফুদ্দিকে দায়ী করে। পরবর্তীতে সাইফুদ্দি বিষয়টি অস্বীকার করলে মেয়ের মা আলেয়া খাতুন (৫৭) বাদি হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এঘটনায় সাইফুদ্দি আটক হয়ে কিছুদিন জেলও খাটেন। জেল খাটার পরে তার পরিবার প্রতিবন্ধীর পরিবারকে হুমকি দিয়ে মামলা তুলে নিতে বাধ্য করেন। পরবর্তীতে প্রতিবন্ধী মেয়েটির জন্ম দেয়া শিশুকে গুম করারও চেষ্টা করেন এই সাইফুদ্দি। তখন তার বিরুদ্ধে আবারও অপহরনের মামলা হয়। জন্ম নেওয়া সেই শিশু মেয়েটি এখন প্রায় ১০বছরের কিন্তু এখনো মেলেনি শিশুটির পিতৃ পরিচয়। পরবর্তীতে মেয়েটির পরিবার শিশুটিকে অন্য কারও কাছে পালক দিয়ে দেয় বলেও জানান এলাকাবসী। তারা আরও বলেন, এসুল এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার, র‍্যাব-১২ বরাবর সহ নানান সময়ে নানান জায়গায় অসংখ্য অভিযোগ করলেও কোনও সমাধান মেলেনি বলেও দাবি করেন তারা। এসময় তারা উল্লাপাড়া থানার ওসি’র বিরুদ্ধে দায়ের করা ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

    এবিষয়ে কথা বলার জন্য হবি-সাইফুদ্দি বাহিনীর প্রধান মো. হাবিবুর রহমান হবি (৪৫) ও তার একান্ত সহযোগী সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইফুদ্দি (৬৫) এর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা পলাতক থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।এবিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক কুমার দাস বলেন, আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি এই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে। কিন্তু তারা পালিয়ে থেকে হঠাত করে রাতের যেকোন মুহুর্তে ৮থেকে ১০টি মোটরসাইকেল নিয়ে ঢুকে পড়ে পুলিশ সেখানে পৌছানোর আগেই তারা আবার পালিয়ে যায়। আইন শৃঙ্গলা রপক্ষার্থে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ায় তারা তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঠিক মতো পরিচালনা না করতে পারায় ও এলাকাসীর নিরাপত্তা দিয়ে যাবার জন্য কাজ করে যাওয়ায় তারা আমাকে প্রতিনিয়ত নানান ভাবে হয়রানি ও নানান রকমের ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনায় সমস্যায় পড়ে এর আগে আমার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মিথ্যে তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে। এখন আবার ষড়যন্ত্র মূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে একটা মামলাও দায়ের করেছে।

     

    এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উল্লাপাড়া সার্কেল) মো. মাহফুজ হোসেন বলেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে আসা প্রতিটি অভিযোগ অনুযায়ী প্রয়জনীয় ব্যাবস্থা নিচ্ছি। কিছু মামলার তদন্ত প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে পেশ করেছি ও আরও কিছু অভিযোগের তদন্ত চলছে। এছাড়াও ওই এলাকাটি দূর্গম এলাকা হওয়ায় আমরা পৌছানোর আগেই তারা সুযোগ বুঝে গভীর রাতে এই সকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে থাকে। এমনকি তাদের নেটওয়ার্ক এতোটাই শক্ত যে আমরা পৌছানোর আগেই তারা খবর পেয়ে যায়। এছাড়াও আগে ওই এলাকার মানুষেরা এই হাতুড়ি বাহিনীর ভয়ে অভিযোগ করতে ভয় পেতো। আমরা বীট পুলিশিং সহ কিছু পুলিশি কার্যক্রম পরিচালনার পরে এখন তারা অভিযোগ করার সাহস পেয়েছে। এছাড়াও ওই এলাকায় সার্বক্ষনিক পুলিশের একটি টহল দল দেওয়ারও চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।

    এবিষয়ে সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বিপিএম বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে আমার কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে ও আমার সিনিয়র কর্মকর্তারাও এটা নিয়ে কাজ করছেন। এদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার ঘটনায় ৫ ও ৭নং আসামীকে আটকও করা হয়েছে। হাতুড়ি বা অন্য কোনও নামে কোন সন্ত্রাসী বাহিনী থাকবেনা জানিয়ে তিনি বলেন, বাহিনী হিসাবে শুধু থাকবে আইন প্রয়োগ করা বাহিনী। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া আছে। এছাড়াও এদের নির্মুলে আপনাদের গণমাধ্যকর্মীদের সহযোগিতা দরকার বলেও জানান পুলিশের এই উর্ধতন কর্মকর্তা।

    বাংলাদেশ সময়: ৭:৫৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৩ জুন ২০২১

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ