• শিরোনাম

    সাদুল্লাপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ১০৬ টি পূজামন্ডপে শুরু হয়েছে দূর্গাপূজা

     সাদুল্লাপুর থেকে লাবলু মাষ্টার ---- রবিবার, ০২ অক্টোবর ২০২২

    সাদুল্লাপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ১০৬ টি পূজামন্ডপে শুরু হয়েছে দূর্গাপূজা

    apps

    ধর্ম যার উৎসব অনুষ্ঠান সবার এই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের হিন্দুদের তথা সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গাপূজা ১ অক্টোবর শনিবার মহাষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে ৫ দিনের দুর্গাউৎসব নিয়ে শুরু হয়েছে। গাইবান্ধা সাদুল্লাপুর উপজেলার ১০৭ পূজা মন্ডপ থাকলেও এবারে ১০৬ টিতে শুরু হয়েছে পূজা উৎযাপন। স্বাস্থ্য বিধি মোতাবেক সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষদের সবচেয়ে বড় শক্তি ধর মা দুর্গার আরাধনা শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মনের অপেক্ষাকৃত সময় ধরে সুন্দর সাজে নানান রংতুলি দিয়ে সাজানো হয়েছে ভালবাসার মাটি দিয়ে মা দুর্গতিনাশিনী কে।অশুর শক্তি কে বিনাশ করতেই মায়ে মর্তে আগমন। তাইতো এবার মা আসছেন তার হাতিতে।হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বী পুজারীরা ও ভক্তগনরা হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা দিয়ে তৈরি করেছেন মা দূর্গার পূজামন্ডপ। সেহেতু যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পূজামণ্ডপ এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সাদা পোশাকধারী পুলিশ মোতায়েন করেছে জেলা উপজেলা পুলিশ। সাদুল্লাপুরের পূজা মন্ডপের শনিবার পূজার প্রথমদিনে ইউনিয়নের রসুলপুরে ৮টি, নলডাংগা ৯ টি,দামোদরপুরে ১১ টি, জামালপুরে ৭ টি,ফরিদপুরে ১২ টি,ধাপেরহাটে ৭ টি, ইদিলপুরে ২ টি, ভাদগ্রামে ১৩ টি,বনগ্রাম ১৫ টি, কামারপাড়া ১৫ টি, খোদ্দকোমরপুরে ৭ টি ছোট বড় সব মিলে সর্বমোট ১০৬ টিতে শহর ও গ্রামের মধ্যে বেশ কয়েকটি ঘুরে দেখা গেছে বিশ্বে বিভিন্ন প্রসিদ্ধ মন্দিরগুলোর প্রকৃতি ও আদলে সজ্জিত করে সাজানো হয়েছে মণ্ডপগুলো। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এসব মণ্ডপে সপরিবারে এসে দেবীদূর্গার কাছে পূজা করে মনের অব্যক্ত কথা বলে প্রার্থনা করছেন। তবে শৃঙ্খলা রক্ষায় মণ্ডপে মণ্ডপে কমিটি গঠনের পাশাপাশি বৈরি আবহাওয়ার কথা চিন্তা করে অনেক মণ্ডপে টিন সেট সহ অতিরিক্ত ত্রিপলের ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুঞ্জিকা মতে গত রবিবার ( ২৫ সেস্টেম্বর) ছিল শারদীয় দুর্গোৎসবের পূণ্যলগ্ন, শুভ মহালয়া পিতৃপক্ষের শেষে দেবীপক্ষের শুরু। চন্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া। বাঙ্গালি হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে এ হচ্ছে দুর্গা দেবীর আগমনী বার্তা। মহালয়ার ছয় দিন পর শুরু হয়েছে দেবী দুর্গার আরাধনা। সেই হিসেবে শনিবার (১ অক্টোবর) দুর্গতিনাশিনী দশভুজা দেবীর মহাষষ্ঠী পূজা দিয়ে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গাপূজা। ২ অক্টোবর রবিবার আজ সপ্তমিপূজা। বিজয়া দশমী দিনে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ৫ দিনের এ ধর্মীয় উৎসব শেষ হবে। এবার দেবী দুর্গার আগমন করছে গজে চড়ে। অর্থাৎ হাতিতে চড়ে মা দুর্গা পা রাখবেন মর্ত্যে। শাস্ত্র মতে, গজে দেবীর আগমনে শস্যপূর্ণ বসুন্ধরা দেখা যায়। অর্থাৎ চারিদিকে শস্যের উৎপাদন বেড়ে সুখ, সমৃদ্ধি, ও শুভ ফল আসবে। আর দেবীর ফিরে যাবেন নৌকায় করে, যার অর্থ শস্য ও জলবৃদ্ধি। দেবীর এই আগমন ও গমনে সনাতন ধর্মের যারা বিশ্বাস করেন, তাদের জন্য এ বছরটা সত্যিকার অর্থেই কল্যাণকর। দুর্গোৎসবে মণ্ডপে মণ্ডপে বাজছে ঢাকের ঢোল, কাঁসার ঘণ্টা ও শাঁখের ধ্বনি। ভক্তদের আরাধনায় থাকবে অশুভ শক্তি বধের প্রার্থনা। জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার (১ অক্টোবর) দুর্গাদেবীর বেলষষ্ঠী পূজা, রবিবার(২ অক্টোবর) মহাসপ্তমী বিহিত পূজা, সোমবার (৩ অক্টোবর) মহাষ্টমী ওইদিন অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা, মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) এক দিনে মহানবমী বিহিত পূজা এবং বুধবার (১৫ অক্টোবর) মহাদশমীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপন সম্পন্ন করতে প্রত্যেকটি মণ্ডপে শৃঙ্খলা কমিটির পাশাপাশি থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এবারের দুর্গোৎসবে র‌্যাব ও পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। উপজেলার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার রায় বলেন ১০৬ পূজা মন্ডপের জন্য আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে কোন অপৃতিকর ঘটনায় আমরা হতে দেব না এব্যাপারে সবার সহযোগিতা চাই। সাদুল্লাপুর এবং ধাপেরহাট পূজা উৎযাপন কমিটির শ্রী বিপ্লব কর্মকার এবং নয়ন সাহা বলেন- প্রতিমা তৈরি, পূজা উৎযাপন এবং প্রতিমা বিসর্জনসহ দুর্গাপূজার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিষদের সদস্যরা কাজ করছেন। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলার পক্ষ থেকে পূজা নির্বিঘ্নে পালন করতে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পূজা উদযাপন পরিষদের উপজেলা কমিটির নেতাদের সাথে শান্তিপূর্ণ ভাবে পূজা উদযাপনের বিষয়টি নিয়েও মতবিনিময় করা হয়েছে। আশা করছি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দুর্গোৎসব উদযাপন সম্পন্ন করতে পারবে। ধাপেরহাট ইউনিয়ন শাখা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জালাল উদ্দীন মন্ডল হিরু ও সাংগঠনিক সম্পাদক লাবলু মাষ্টার বলেন বিশেষ করে রাতে মণ্ডপগুলোতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে উপজেলা ও ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রকে সতর্কভাবে দায়িত্ব পালনের বিষয়টি বলা হয়েছে।

    বাংলাদেশ সময়: ৮:২০ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০২ অক্টোবর ২০২২

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ