• শিরোনাম

    সম্পত্তির মালিক হয়েও ভূমিদস্যুদের মিথ্যা মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তা জেল হাজতে

    শরীফ আহম্মেদ, প্রতিবেদন : রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

    apps

    নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্দিরগঞ্জ থানাধীন মিজমিজি সাহেব পাড়ার বাসিন্দা সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা মো: লিয়াকত আলী পিতা: মৃত: হোসেন আলী। উক্ত ব্যক্তি ¯’ানীয় সন্ত্রাসী ও ভূমি দস্যুদের দেয়া ষড়যন্ত্র মুলোক ও মিথ্যা মামলায় জেল হাজতে আছেন। লিয়াকত আলীর পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ কর্মীদের জানায় সি.এস ১১৭ এস.এ ১৩২ আর.এস ৪২৫ নং খতিয়ান ভুক্ত এস.এ ১৮৪ ও ৪০৪ নং দাগের ষোল আনায় ১০৫ শতাংশ সম্পত্তি রেকর্ডীয় মালিক ৮ জন গত ১১/৭/১৯৬৮ ইং তারিখে ১১৩০৭ নং দলিলে ৯১ শতাংশ এবং ৫/৮/১৯৬৮ ইং তারিখে ১২৫৮৯ নং দলিলে মো: আ:ছাত্তার কামালের ১৪ শতাংশ সহ একুনে দুটি দলিলে মোট ১০৫ শতাংশ গত ১/৮/১৯৭৩ইং তারিখে সাফ-কবলা দলিল হয় যাহার দলিল নং ১৮৮৮৬ খরিদা সূত্রে জমির মালিক হন মো: লিয়াকত আলী উক্ত দলিলে শনাক্তকারী সাক্ষী মো: করিম এখনো পর্যন্ত জীবিত আছেন। ছাত্তার কামালের বিক্রি করা মুল দলিল সহ সম্পত্তির সম্পূর্ণ কাগজ পত্র লিয়াকত আলীর কাছে।

    একটি চক্র জমি গ্রাস করার তাগিদে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেন যাহার মামলা নং ২৩৭/২২ উক্ত মামলাটি সরে জমিনে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বিজ্ঞ আদালত পুলিশের বিশেষ শাখা পিবিআই কে আদেশ প্রদান করেন। আদেশ নং পি-৩৫৭/২০২২ পিবিআইর তদন্তকারী কর্মকর্তা মো: তৌহিদুল ইসলাম বিপিএম সরেজমিনে তদন্ত না করে টেবিলে বসে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোসের বিনিময়ে মামলার বাদীর পক্ষে এক তরফা রিপোর্ট প্রদান করে বিজ্ঞ আদালতে। ব্যাংক কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সংবাদ কর্মীদের জানায় পিবিআইর কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম আদালতে আমার পক্ষে প্রতিবেদন দিবে এমন আশ্রাস দিয়ে আমার কাছে নগদ ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ চায় এবং ২ শতাংশ জমি চায়। আমি নগদ ৯০ হাজার টাকা দিয়ে থাকি আর বলি আমি আর কোনো টাকা কিংবা জমি কোনটাই দিতে পারবো না। আমার কাছে ছাত্তার কামালের দেয়া দলিলের মূল কপি সহ সকল কাগজ পত্র আছে আপনি সঠিক তদন্তে যা পান তাই প্রতিবেদনে লিখবেন।

    উক্ত জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সিদ্দিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোলাম মোস্তফা অফিস কক্ষে দুবার বৈঠক হয়। সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা লিয়াকত আলী জমির যাবতীয় কাগজ পত্র ওসির কাছে পেশ করেন। কিš‘ প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী ভূমি দস্যুরা জমির দলিল কিংবা প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি। তাই নারায়ণগঞ্জের পিবিআই কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলামকে মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে বাদীর পক্ষে এক তরফা একটি প্রতিবেদন করে আদালতে পাঠায়। প্রতিবেদনটি বিজ্ঞ আদালত আমলে নিয়ে লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়। লিয়াকত আলীকে বাসা থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ গ্রেফতার এর সময় পুলিশের গ্রেফতারকৃত অব¯’ায় লিয়াকত আলীর উপর সন্ত্রাসী ও ভুমিদস্যু মো: আব্দুর রহমান বিশ্বাস, মো: পেয়ার আলী, মো: হেলাল উদ্দিন, মো: নুর ইসলাম, মো: সৌরভ সহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এতে গুরুতরভাবে আহত হন লিয়াকত আলী ও তার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া নাঈম।

    হামলাকারীদের বিরুদ্ধে গত ২১ ফেব্রুয়ারী সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিয়াকত আলীর ছেলে বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের পর অদ্যাবধি পর্যন্ত সন্ত্রাসী ও ভূমি দস্যুগংদের কাউকেই গ্রেফতার করেনি পুলিশ। সন্ত্রাসীরা এলাকায় প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়া”েছ। লিয়াকত আলীর পরিবারের সদস্যদের হত্যা সহ নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন পুরো পরিবারটি। এ বিষয়ে পিবিআই কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান “আমাকে যে লিয়াকত আলী ৯০ হাজার টাকা দিয়েছে এবং দুই শতাংশ জমি চেয়েছি এটা সঠিক নয় , আমি লিয়াকত আলীর দলিল কিংবা বাদী হ্যাপি আক্তার এর দলিল কোনটা জাল তাহা আদালতে প্রমানিত হওয়ার আগে আমি প্রতিবেদনে জাল বা ভুয়া লিখতে পারবোনা।

    আমি প্রতিবেদনে অমিল বা গরমিল লিখতে পারবো, অথচ বিজ্ঞ আদালতের আদেশের আগেই জাল বা ভুয়া লিখেই প্রতিবেদন পাঠিয়ে দিলেন। এ বিষয়ে আইনজীবী আঃ হাই এর সাথে কথা বললে তিনি জানান আদালতে যতক্ষণ পর্যন্ত দলিল জাল প্রমাণিত না হবে এর আগে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা জাল দলিল বলে আক্ষায়িত করা হলে সেটা অপরাধের সামিল ও বেআইনি বটে। “অন্য দিকে সিদ্দিরগঞ্জ থানায় কর্মরত এস আই রহিম এর কাছে সন্ত্রাসীরা ব্যাংক কর্মকর্তা লিয়াকত আলীর উপর হামলা চালানো সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান “আমি যখন ওয়ারেন্ট নিয়ে তার বাসায় গিয়ে গ্রেফতার করি ওই মুহূর্তে প্রতিপক্ষরা তার উপর হামলা চালায় ঘটনা সত্য”।

    বাংলাদেশ সময়: ৫:১২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ