• শিরোনাম

    রায়পুরা পৌরসভার উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন নগরপিতা

    শাহরিয়ার আহমেদ পরাগ রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩

    রায়পুরা পৌরসভার উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন  নগরপিতা

    apps

    রায়পুরা পৌরসভার উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন দুই দুইবারের জননন্দিত সফল নগরপিতা মোঃ জামাল মোল্লা। নিজের জীবনের সুখ শান্তি তুচ্ছ করে, পৌরবাসীর উন্নয়নে সার্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ইতোমধ্যে বেশ কিছু প্রকল্পও বাস্তবায়ন করেছেন। চলমান রয়েছে অনেকগুলি প্রকল্প। আবার নতুন করে আরোও বেশ কিছু প্রকল্পের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন।
    রায়পুরা পৌরসভার যাত্রা শুরু হয় ২০০৫ সালে। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পৌরসভার আয়তন আয়তন ৭.২৫বর্গ কিলোমিটার। পৌরসভায় প্রায় ৬০ হাজার লোকের বসবাস। এর মধ্যে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ৩২ হাজার। ২০১৬সালে পৌরসভাটি ‘খ’ শ্রেণিতে উন্নীত লাভ করে। রায়পুরা পৌরসভায় মোঃ জামাল মোল্লা নগরপিতা হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর বর্তমান সরকারের ১৪ বছরের উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে পৌরবাসী। তার তা সম্ভব হয়েছে টানা দুইবারের নির্বাচিত জননন্দিত সফল নগরপিতা ও রায়পুরা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জামাল মোল্লার নিরলস প্রচেষ্টায়।

    বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও পৌরবাসীর নাগরিক সুবিধা নিয়ে নগরপিতা মোঃ জামাল মোল্লার সাথে কথা হলে তিনি বাংলার নবকন্ঠ কে বলেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরকার টানা তিনবার দেশ পরিচালনার সুযোগে গ্রাম ও শহরের অবকাঠামো উন্নয়নে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলায় একটি অন্যতম পৌরসভার ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, গুরুত্বপূণ নগর উন্নয়ন প্রকল্প, জলবায়ূ ট্রাস্ট ও এডিপিসহ বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় রাস্তা, ড্রেন,কালভার্ট, বাজারসেড, সড়কবাতি, পাবলিক টয়লেটসহ বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামো কাজ শতভাগ সম্পন্ন হওয়ায় পৌরবাসী উন্নয়নের সুফল সহ নাগরিক সুবিধা ভোগ করছে। তিনি আরো জানান, নগরপিতা হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহনকালে গত ৬ বছরে প্রায় ৮ কিলোমিটার পাকা রাস্তা, ১০ কিলোমিটার আরসিসি পাকা ড্রেন, নির্বিঘ্নে মানুষের চলাচলের জন্য ৫ কিলোমিটার রাস্তার দু’পাশে ফুটপাত নির্মাণ, নতুন করে ২১৬ টি সড়কবাতি, বাঁধ নির্মাণসহ স্মাট আধুনিক পৌরসভা গড়ার লক্ষ্যে নানান উন্নয়ন কর্মকান্ড চলমান রয়েছে।

    রায়পুরা পৌরসভাটি দুই দিক দিয়ে নদী বেষ্টিত হওয়ায় প্রতি বর্ষা মৌসুমে অধিকাংশ এলাকায় বন্যার পানিতে প্লাবিত থাকে। এতে রাস্তা ঘাটসহ ফসলের ক্ষয়ি সাধিত হতো। এসব চিন্তা করেই বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। ময়লা-আবর্জনা মুক্ত পরিচ্ছন্ন নগর উপহার দেওয়ার জন্য প্রতিটা ওয়ার্ড মহল্লা থেকে পরিচ্ছন্ন কর্মীর মাধ্যমে ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করে নিয়মিত অপসারণ করা হয় এবং অধিকাংশ সড়কে সড়ক বাতি স্থাপন করা হয়েছে। বিগত ১০ বছরে যা হয়নি তা বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের যে রূপরেখা দিয়েছেন সে লক্ষ্যে কাজ করে করছি। যার উন্নয়নের সুফল পৌরবাসী ভোগ করছেন।

    পাশাপাশি পৌরসভাকে শতভাগ বিদ্যু ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের প্রকল্পের আওতায় এনেছি। শহরের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি এবং তা বর্তমানে চলমান রয়েছে। উন্নয়নের পাশাপাশি নাগরিক সেবা নিতে সরকারি ছুটি ব্যতিত প্রতিদিনই মানুষ পৌরসভা থেকে সেবা গ্রহন করছেন। যেমন, নাগরিক সনদ, জন্ম-মৃত্যু সনদ, ওয়ারিশ সনদ, ই-সেবা সহ সকল সেবা। নগরপিতা মোঃজামাল মোল্লার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অপপ্রচার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা বর্তমান সরকারের উন্নয়ন চায় না এমনকিছু নামধারী নেতারা আমার পেছনে লেগে আছে।

    তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে পৌর এলাকার কোন উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যাহত হলে দলীয় ভাবে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার লিখিত আবেদন পাঠাবো।স্বার্থন্বেষীদের কারণে পৌরসভার কোন উন্নয়ন থেমে থাকবে না। শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ফুটপাত দখলদারদের উচ্ছেদ, ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য ডাম্পিং স্টেশন কার্যক্রম হাতে নেওয়া সহ পৌরবাসীর নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে আমার জনসেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সকল বাঁধা বিভক্তি পেরিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি, শতভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে পৌরসভাকে পরিচালিত করতে। পৌরবাসীর নাগরিক সুবিধা, করোনাকালীন মানুষে পাশা থাকাসহ সবসময় বঞ্চিত, অসহায় মানুষের অভিযোগসহ কোন অনিয়মের অভিযোগ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। নিজেদের দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করে থাকি।

    সর্বোপরি পৌরসভার মানন্নোয়নে আমার এবং আমার পরিষদের কাউন্সিল, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের আন্তরিকতার কমতি নেই। রাতদিন কাজ করে যাচ্ছি। শুধু মানুষের ভালোবাসা পেতেই এই আমার ছুটে চলা। জনগণই আমার শক্তি।“
    পৌর কার্যালয়ে সেবা নিতে আসা একব্যক্তি বলেন, পৌরসভার উন্নয়নমূলক কাজ ও নাগরিক সেবায় আমি সন্তুষ্ট। বর্তমান নগরপিতার আন্তরিকতার কমতি নেই। তিনি দিন-রাত আমাদের ডাকে সাড়া দিচ্ছে। যেকোনো সুবিধা-অসুবিধা তার কাছে বললে তিনি তা আমলে নিয়ে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করেন। যার কারণে ওনার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কিছু কুচক্রী মহল উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যাহত করতে অপচেষ্টায় লিপ্ত বলে জানান।

    বাংলাদেশ সময়: ৬:৫৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ