
| শনিবার, ০৮ মার্চ ২০২৫ | প্রিন্ট
শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে ঢাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “যেহেতু রাত পর্যন্ত শপিং সেন্টারগুলো খোলা থাকবে এবং আমাদের পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে।
ঢাকার বিভিন্ন শপিংমল ও বিভিন্ন আবাসিক এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বেসরকারি কর্মীদের ‘অক্সিলারি ফোর্স’ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, যারা পুলিশের মতই গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনবলে অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স নিয়োগের ক্ষমতা আমার আছে। আমি সেই মোতাবেক অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে যারা প্রাইভেট নিরাপত্তার লোকেরা আছে ওনাদেরকে নিয়োগ দিচ্ছি।”
শপিংমল ও আবাসিক এলাকার বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের নিয়োগ দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে যে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা। আইন মোতাবেক উনি আমি বা আমার পুলিশ অফিসার যে দায়িত্ব পালন করেন, সেই একইরূপ দায়িত্ব পালন করবেন। যেকোনো ব্যক্তিকে উনারা গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাবেন এবং সাথে সাথে পুলিশ অফিসারকে আইনগতভাবে যে প্রোটেকশান দেওয়া হয়েছে উনারা সেই প্রোটেকশানটা পাবেন। এ কার্যক্রমটি আমি শুরু করেছি।”
এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “উনি যখন পুলিশ কমিশনার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন, তিনি সিম্পলি পুলিশ অফিসার। পুলিশ অফিসার যে দায়িত্ব পালন করে, উনি একই দায়িত্ব পালন করবে। উনি যেকোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা বা সক্ষমতা প্রাপ্ত হবেন।
“একটা বসুন্ধরা শপিংমল, এখানে হয়তো ৫০ জন আছে। উনাদেরতো একজন নেতা আছে। আমরা উনাকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়ে দিব।”
তারাবির সময় মুসল্লিরা দেড়-দুই ঘণ্টার জন্য নামাজে যান জানিয়ে তিনি বলেন, “সে সময়টাতে একটু জনশূন্যতা বিভিন্ন রাস্তাঘাটে দেখা যায়। এ সময় আপনাদের বাড়ি, ফ্ল্যাট, দোকান একটু সযত্নে রেখে আসবেন, নিরাপত্তা খেয়াল করবেন।
ঈদের সময় রাজধানীর নিরাপত্তায় পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হলেও ঢাকাবাসীকে গ্রামে যাওয়ার সময় নিজেদের বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ‘নিজ দায়িত্বে’ নিশ্চিত করে যেতে অনুরোধ করেছেন তিনি।
সাজ্জাত আলী বলেন, “আশা করছি ১৫ রোজার পরেই ঢাকাবাসী অনেকেই গ্রামে তাদের নিকটজনের সাথে ঈদ উদযাপনের জন্য চলে যাবে। আমি পুলিশ কমিশনার হিসেবে ডিএমপির পক্ষ থেকে আপনাদেরকে জানাতে চাই, অনুরোধ করতে চাই, দয়া করে যখন আপনি বাড়ি যাবেন তখন দয়া করে আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট, দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, এটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিজ দায়িত্বে করে যাবেন।”
ঢাকায় ‘বড় অপরাধের’ সংখ্যা খুবই কম মন্তব্য করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “আপনারা যদি বিগত বছরের পরিসংখ্যান দেখেন, অথবা অন্য দেশের বড় বড় শহরের অপরাধচিত্রের সাথে একটি তুলনামূলক চিত্র দেখেন, সেই চিত্রে ঢাকা শহরে অপরাধের সংখ্যা কমই দেখতে পাবেন।”
বর্তমানে অপরাধের বেশিরভাগই ‘স্ট্রিট ক্রাইম’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “ইদানিং কিছু স্ট্রিট অপরাধ হয় আপনারা জানেন। ৮০-৯০ ভাগ ক্ষেত্রে সেটি মোবাইল নিয়ে টান দেয় উঠতি বয়সের ছেলেরা। আমরা যাদেরকে কিশোর গ্যাং বলি তারা। বাসের, প্রাইভেটকার, মোটরবাইকের যাত্রী হয়ত কথায় মনোনিবেশ করেন, তখন পেছন থেকে এসে মোবাইলটা টান দিয়ে দৌড় মারে। এমন কিছু স্ট্রিট ক্রাইম হয়।
“ঢাকাবাসীকে আশ্বাস দিতে চাই, এরূপ একটি বড় শহরে নানা পেশার, নানা গোষ্ঠী এবং প্রচুর ভাসমান লোক। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিনিয়ত লক্ষ লোক আসে, লক্ষ লোক চলে যায়। এরূপ একটি শহরে কিছু একটি ঘটনা ঘটলে আপনারা অবশ্যই আতঙ্কিত হবেন না। ডিএমপি আপনাদের পাশে আছে। আমরা কাজ করে যাচ্ছি, ঘটনা ঘটলে আমরা সেটি উদঘাটনের জন্য চেষ্টা করি।”
Posted ৮:৫৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৮ মার্চ ২০২৫
dainikbanglarnabokantha.com | Fahim Farhan
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।