• শিরোনাম

    বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ”ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা ঘূর্ণিঝড় “মোখা”ভোলা থেকে কক্সবাজার জেলার মধ্যবর্তী স্থান নিয়ে উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা আছে

    মোঃ ওমর ফারুক : মঙ্গলবার, ০৯ মে ২০২৩

    বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ”ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা ঘূর্ণিঝড় “মোখা”ভোলা থেকে কক্সবাজার জেলার মধ্যবর্তী স্থান নিয়ে উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা আছে

    apps

    বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর৷ লঘুচাপটি এখন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি দক্ষিণ আন্দামান সাগরে অবস্থান করছে৷ এটি আরও ঘণীভূত হতে পারে৷

    আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুননেছা দৈনিক বাংলার নবকন্ঠে বলেন, “বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি” মঙ্গলবার (৯ মে) নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে৷ এর গতি-প্রকৃতি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে৷

    কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, “ঘূর্ণিঝড় মোখা ভোলা থেকে কক্সবাজার জেলার মধ্যবর্তী স্থান নিয়ে উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা আছে৷ ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের অগ্রভাগ উপকূলে আঘাত শুরু করার সম্ভাব্য সময় ১৪ মে (রবিবার) দুপুরের পর থেকে মধ্য রাতের মধ্যে৷ ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাব্য সময় ১৪ মে দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা৷ ঘূর্ণিঝড় মোখার পেছনের অর্ধেক অংশ উপকূলে অতিক্রম করার সম্ভাব্য সময় ১৫ মে ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত৷ উপকূলে আঘাত করার সময় এটি অত্যন্ত তীব্র হতে পারে৷

    আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, “সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হতে পারে৷ আর মঙ্গলবারই এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে৷

    ভারতীয় আবহাওয়া অফিস তাদের পূর্বাভাসে বলেছে, মঙ্গলবার নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর বুধবার ঘূর্ণিঝড়ের রূপ পেতে পারে। প্রথম দিকে উত্তর উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হলেও ১১ মে ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে বাঁক নিয়ে উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে৷

    এদিকে মঙ্গলবার দেশের আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, নেত্রকোনা, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা এবং কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ এবং দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে৷ আরও দুদিন এমন তাপপ্রবাহ থাকতে পারে৷ শনিবারের পর থেকে তাপমাত্রা কমতে পেতে পারে এবং বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
    দেশের অধিকাংশ এলাকায় বইছে তাপপ্রবাহ এদিকে সাগরে যখন ঝড়ের জন্ম হচ্ছে। দেশের অধিকাংশ এলাকায় বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ৷

    এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নামজুল হক দৈনিক বাংলার নবকন্ঠে বলেন, “তিনটি কারণে তাপমাত্রা বাড়ছে। এক হচ্ছে এপ্রিল ও মে মাস দেশের উষ্ণ মাস৷ গত এপ্রিলে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে৷ এ দুই মাসের বৈশিষ্ট্যের কারণেই এখন গরম বেশি৷ গরম হওয়ার দ্বিতীয় কারণ হলো কম বৃষ্টি হওয়া,মে মাসের শুরুতে দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু কিছু বৃষ্টি হলেও গত দুই দিন বৃষ্টি একেবারেই কম হওয়ায় গরম বাড়ছে৷ তৃতীয় কারণ সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ। এখন সাগর থেকে হাওয়া আসছে না,বরং ভূপৃষ্ঠের হাওয়া সাগরের দিকে ছুটছে,আর এ কারণে গরম বেশি৷

    এদিকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬ টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, রাজশাহী, নেত্রকোনা, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে৷ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে

    বাংলাদেশ সময়: ৮:০৫ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৯ মে ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ