• শিরোনাম

    পানগুছির জোয়ারের পানিতে প্লাবিত  মোরেলগঞ্জ পৌর শহর, ২০ গ্রাম হুমকিতে

     শেখ সাইফুল ইসলাম কবির  : রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১

    পানগুছির জোয়ারের পানিতে প্লাবিত  মোরেলগঞ্জ পৌর শহর, ২০ গ্রাম হুমকিতে

    পানগুছির জোয়ারের পানিতে প্লাবিত  মোরেলগঞ্জ পৌর শহর, ২০ গ্রাম হুমকিতে

    apps

    সাগরের সৃষ্ট লঘুচাপ ও পূর্নিমার অতিরিক্ত জোয়ারে পানিতে প্লাবিত বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌর বাজার সহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের পানগুছি নদীর  ভাঙ্গনের মুখে ২০ টি গ্রাম রয়েছে ফসলি জমি বসবাড়ি কাচা-পাকা রাস্তা ও ভেরিবাঁধ। লকডাউনে বিপাকে রয়েছে ব্যবসায়ীরা। গত দু’দিনে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধি হয়েছে ৩/৪ ফুট। আজ সকাল থেকে দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি মোরেলগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র কাপুড়িয়া পট্টি, লঞ্চঘাট, পাদুকা পট্টি, ফল পট্টি, কেজি স্কুল রোড, বারইখালী ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকা ও উপজেলা চত্ত¡র সহ ১৬ টি ইউনিয়নসহ পৌর শহরে পানিতে প্লাবিত হয় ২০টি গ্রাম। দিনে দু’বার পানিতে ভাসতে হয় প্রতিনিয়ত এ মৌসুমে প্রায় ১৫ হাজার পরিবারের।খোজ নিয়ে জানাযায়, প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ সিডর-আইলা ফনি, আম্পান, বুলবুলসহ একাধিক দুর্যোগের সাথে মোকাবিলা করে বেঁচে থাকতে হচ্ছে এ উপকূলীয় অঞ্চলের সাধারণ মানুষের।উপজেলার পানগুছি নদীর তীরবর্তী ১৬ টি ইউনিয়নসহ পৌর শহরে প্রতিবছর পূর্নিমার মৌসুমে অতিরিক্ত জোয়ারের পানি বৃদ্ধিতে দিনে দু’বার প্লাবিত হচ্ছে মোড়েলগঞ্জ বাজারসহ প্রত্যন্ত অঞ্চল।
    নদীর তীরবর্তী বারইখালীর উত্তর সুতালড়ী, পঞ্চকরনের দেবরাজ কুমারিয়া জোলা, বহরবুনিয়ার পশ্চিম বহরবুনিয়া, উত্তর ফুলহাতা, হোগলাবুনিয়ার পাঠামারা, সানকিভাঙ্গা, বদনিভাঙ্গা, মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের গাবতলা, কাঠালতার একটি অংশ, খাউলিয়ার পশুরবুনিয়া, সন্ন্যাসী, কুমারখালী আমতলী, ফাসিয়াতলা, মধ্যে বরিশালসহ পৌর শহরের কুঠিবাড়ি ফেরীঘাট এলাকায় প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার পরিবারের বসতবাড়ি ও ফসলী জমি অন্যদিকে ভেরিবাঁধ ও কাঁচা-পাকা রাস্তাঘাট হুমকির মুখে রয়েছে। এ দিকে করোনার তৃতীয় ডেউয়ে একটানা দুই সপ্তাহের লকডাউনে বিপাকে পড়েছে আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা।এ সর্ম্পকে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান লাল, মাহমুদ আলী,আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার,  মো. আকরামুজ্জামান, মো. আলমগীর হোসেন, রিপন তালুকদার বলেন, দীর্ঘ দিনের এ অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি ঘষিয়াখালী থেকে মোরেলগঞ্জ শহর হয়ে সন্ন্যাসী পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার স্থায়ী ভেরিবাঁধ হলে এ সমস্যার সমাধান লাঘব হবে বলে মনে করছেন তারা।এ ব্যাপারে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তিনি সদ্য মাত্র এ উপজেলায় যোগদান করায় সকল বিষয় অবহিত নয়। তবে দীর্ঘদিনের নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের অবহিত করবেন বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।

    বাংলাদেশ সময়: ৩:১৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ