• শিরোনাম

    নকলায় জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন

    নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি: শুক্রবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৩

    নকলায় জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন

    apps

    আজ ৩ নভেম্বর, শুক্রবার। ১৯৭৫ সালের এই দিনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জাতীয় চার নেতাকে কিছু বিপথগামী জেলখানায় নির্মম ভাবে হত্যা করে। জাতীয় চার নেতা হিসেবে খ্যাত সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ.এইচ.এম কামরুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভিতরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

    জাতীয় এ চার নেতার স্মরণে বাঙালি জাতি ৩ নভেম্বর তারিখটিকে জেলহত্যা দিবস হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে আসছেন। এর অংশ হিসেবে শেরপুরের নকলায় শোকাবহ জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এবং উপজেলা আওয়মী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, মৎস্যজীবী লীগ, ছাত্রলীগ ও অন্যান্য অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহনে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

    কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে জাতীয়, দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলণ। পরে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করাসহ জাতীয় চার নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি তাদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়েছে।

    কর্মসূচির প্রথম ধাপের তথা সকালের অনুষ্ঠান শেষে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার রুহের মাগফেরাত কামনায়, দেশরত্ম শেখ হাসিনা ও তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারের সকল নীতিনির্ধারকগন এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

    উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আম্বিয়া খাতুন ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ-এঁর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচি সমূহে উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়মী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, মৎস্যজীবী লীগ, ছাত্রলীগ ও অন্যান্য অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, কর্মসূচির দ্বিতীয় ধাপে তথা শুক্রবার বিকেলে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স চত্বরে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বাঙালি জাতির পিতা, স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে নির্মম ভাবে হত্যার পিছনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর অতি কাছের ও বিশ্বস্থরাই দায়ী। এটা ছিলো বাঙালি জাতির জন্য প্রথম কলঙ্কিত অধ্যায়। এ ঘটনার কিছু দিন পরেই (৩ নভেম্বর) দেশকে নেতৃত্ব ও মেধা শূণ্য করার লক্ষ্যে ঘাতকের দলেরা জাতীয় চার নেতা- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ.এইচ.এম কামরুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভিতরে নির্মমভাবে হত্যা করে। এটি ছিলো বাঙালি জাতির জন্য দ্বিতীয় কলঙ্কিত অধ্যায়। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা-এঁর নেতৃত্বেই এমন হত্যার বিচার হয়েছে এবং হচ্ছে। আগামীতে রাষ্ট্র বিরোধী সকল অন্যায় অবিচারের বিচারও হবে বলে সর্বসাধারণ মনে করেন।

    বাংলাদেশ সময়: ১০:০১ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ