• শিরোনাম

    তজুমদ্দিন মেঘনার তীর সংরক্ষণে ১ হাজার ৯৩ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন, প্রতিমন্ত্রী

    মোঃ আবু তাহের, তজুমদ্দিন (ভোলা) : বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

    তজুমদ্দিন মেঘনার তীর সংরক্ষণে ১ হাজার ৯৩ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন, প্রতিমন্ত্রী

    apps

    ভোলা তজুমদ্দিন উপজেলা। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দ্বীপ জেলা ভোলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। তজুমদ্দিনের নাম অনুসারে তজুমদ্দিন উপজেলার নাম করণ করা হয়। এই উপজেলার পূর্বে মেঘনা নদী। উত্তর ও পশ্চিমে বোরহান উদ্দিন উপজেলা, এবং দক্ষিণে লালমোহন উপজেলা। ১৮৭২ সালে ১৫ জানুয়ারি জুনকে এটি দৌলতখান থানার একটি আউট ফুট হিসেবে উল্লেখ্য করা হয়। ১৯২৮ সালে ২৮ শে আগস্ট তারিখ থেকে এ থানাটি একটি আলাদা থানার মর্যাদা পেয়ে আছে। মনপুরা এই থানার একটি ইউনিয়ন ছিল। নদী ভাঙ্গনে এই থানা ওতি সংকুচিত হয়ে আছে। অপরদিকে যাতাইয়াত ও অন্যান্য কারণে মনপুরা আলাদা থানা স্বীকৃতি পায়। এর আয়তন আরো কমে যায়। ১৯৮৩ সালের ১৪ মার্চ তারিখে পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে একটি ভোলা জেলার দ্বিতীয় উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। মেঘনার ভাঙ্গনে দিন দিন ছোট হয়ে যাচ্ছে, এই উপজেলাটির ভূখণ্ডে নদীর বুকে জেগে উঠেছে অসংখ্য চর। যার নাম চর জহির উদ্দিন। চর মোজাম্মেল। চল নাসরিন। চর লাদেন। চর সিডোর। আরো অনেক নাম না রাখার চর তজুমদ্দিনের মেঘনার গর্ভে জেগে উঠেছে। আর এইসব নিয়ে আয়তনে ৫১২. ৯২ বর্গ কিলোমিটারে, এই জনপদে ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা এক লক্ষ ছাব্বিশ হাজার ৯শত ৪০ চল্লিশ জন। লতার হার শতকরা ৪৩ , 2%। বর্তমানে এই উপজেলা 108 সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দুইটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়।১৩ তেরোটি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ৭ সাতটি দাখিল মাদ্রাসা। পাঁচটি আলিম মাদ্রাসা। তিনটি ফাজিল মাদ্রাসা ও একটি ডিগ্রী কলেজ রয়েছে। এই উপজেলা অর্থনীতি মূলত মৎস্য ও কৃষি। মাছের ভান্ডারী হিসেবে পরিচিত এই উপজেলার মেঘনা নদীর মোহনা। যাকে যাকে রূপালী ইলিশ প্রতিবছর বর্ষার মৌসুমে এই জেলে পল্লী গুলোতে ফুটে উঠে খুশির ঝলক। তাজা ইলিশের গন্ধে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা তজুমদ্দিন চার অঞ্চল। পাল্টে যায় ছিলে পরিবারের দুর্দশার চিত্র। সচ্ছলতা ফিরে এসে জেলে পরিবার গুলোতে। উপজেলার পুরো নদী পার গিয়ে দেখা যায় কয়েক হাজার জেলের বসবাস। বলতে গেলে এই অঞ্চলটি ইলিশ তথা মৎস্য ভান্ডারী হিসেবে পরিচিত। প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার ইলিশ সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এই উপজেলা থেকে রপ্তানি করা হয়ে থাকে দেশের বিভিন্ন স্থানে। গোটা ইলিশ মৌসুমে উপজেলার বেশ মৎস্য পয়েন্ট ইলিশ কেনা বেচার কর্মযোট। এছাড়া দিন মজুর ও নানা দিয়ে কৃষি শস্য অন্যান্য চাষাবাদ হয়

    তজুমদ্দিনের মানুষ পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম কে পেয়ে আনন্দে মুখরিত হয়ে উঠছে তজুমদ্দিন। এর কারণ হলো শুধু জন্মদিনের বেশিরভাগ জায়গা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। বিএনপি সরকার থাকাকালীন লালমোহন তজুমদ্দিন এ পানির সম্পদ মন্ত্রী থেকে ও তজুমদ্দিন মেঘনার গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সে তজুমদ্দিন এর মানুষের কথা একবারও চিন্তা করে নাই। যদি সে চিন্তা করত তজুমদ্দিন আর মেঘনার করবে বিলীন হয়ে যাইতো না। বর্তমান সরকার শেখ হাসিনা লালমোহন তজুমদ্দিন নূরনবী চৌধুরী শাওনের মাধ্যমে তজুমদ্দিন কে ব্লকের আওতায় এনে দেন।

    গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামিম, এমপি বলেছেন, লালমোহন তজুমদ্দিনকে নদী ভাঙ্গার হাত থেজে রক্ষা করতে ১০৯৬ কোটি টাকা ব্যয় করে ৩৪ কিঃমিঃ নদীর তীর সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আওয়ামিলীগ সরকারের আমলে এর আগেও সাড়ে ৬শ কোটি টাকা ব্যয় করে ব্লক ও জিও ব্যাগ স্থাপন করে সফলতা পাওয়া গেছে। তাই মেঘা প্রকল্প গুলো চলমান রাখতে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা রাখা প্রয়োজন। কারন বিএনপি জামাত জোট ক্ষমতায় আসলে জনকল্যাণ মুখী কাজগুলো বন্ধ করে দেয়,যেমন করে বন্ধ করেছিল ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিক।

    বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে তজুমদ্দিন উপজেলার আনন্দ বাজার বেড়ীবাঁধ এলাকায় জিও ব্যাগ স্থাপন প্রকল্প উদ্বোধন শেষে তজুমদ্দিন বাজারে এক সমাবেশে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর আয়োজনে, তজুমদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বাস্তবায়নে বিশাল “জনসমাবেশ” এ বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহন করেন-দ্বীপবন্ধু আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, এমপি ১১৭ ভোলা-৩।

    প্রধান প্রকৌশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ড (দক্ষিনাঞ্চল) জনাব মজিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে সন্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় মোঃ নুরুল আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পশ্চিম রিযিয়ন) পানি উন্নয়ন বোর্ড রমজান আলী প্রামানিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন-ভোলা) আসাদুজ্জামান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ভোলা পওর সার্কেল, পানি উন্নয়ন বোর্ড ভোলা মোঃ বাবুল আখতার,

    ডিভিশন ১ নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান, ডিভিশন ২ নির্বাহী প্রকৌশলী

    হাসান মাহমুদ ,তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোশারেফ হোসেন দুলাল, লালমোহন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, তজুমদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফকরুল আলম জাহাঙ্গীর, সাধারন সম্পাদক ফজলুল হক দেওয়ান, লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ফখরুল আলম হাওলাদার সহ সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ।

    বাংলাদেশ সময়: ৯:২৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ