• শিরোনাম

    ৩৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাত ও বিদেশে পাচারের অভিযোগ: ওজোপাডিকো’র সাবেক এমডি ও চীনা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দুদক’র মামলা

    মোঃ রেজওয়ান, খুলনা প্রতিনিধি: বুধবার, ৩১ মে ২০২৩

    ৩৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাত ও বিদেশে পাচারের অভিযোগ: ওজোপাডিকো’র সাবেক এমডি ও চীনা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দুদক’র মামলা

    apps

    ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতের মোট ৩৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাত ও বিদেশে পাচারের অভিযোগে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড(ওজোপাডিকো)’র সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিক উদ্দিন, কোম্পানি সচিব আবদুল মোতালেবসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুদক খুলনার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে দুদক খুলনা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় চীনের প্রতিষ্ঠান হেক্সিংয়ের কর্মকর্তা ইয়ে ওয়ন জুনকেও আসামি করা হয়েছে।
    এর মধ্যে ৩৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা আত্মসাৎ এবং ২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা বিদেশে পাচারের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ মামলাটি দায়ের করা হয়।
    মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক খুলনার সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ।
    আসামি শফিক উদ্দিন বাংলাদেশ স্মার্ট ইলেক্ট্রিক্যাল কোং (BSECO)’র সাবেক বোর্ড মেম্বার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আব্দুল মোতালেব একই প্রতিষ্ঠানের সাবেক বোর্ড মেম্বার ও পরিচালক (অর্থ) এবং মি : ইয়ে ওয়েনজুন চীনের হেক্সিং ইলেক্ট্রিক্যাল কোম্পানী লিমিটেড’র সাবেক কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ এবং বাংলাদেশ স্মার্ট ইলেক্ট্রিক্যাল কোং (BSECO)’ র সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

    মামলায় উল্লেখ করা হয়, উল্লিখিত ব্যক্তিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে সেবা গ্রহণ খাতে এলসি করে
    কোনো প্রশিক্ষণ প্রদান না করা সত্বেও চীনের হেক্সিং ইলেক্ট্রিক্যাল কোম্পানী লিমিটেড’র নামে ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৭ টাকা, রিপিয়ার ট্রেনিং বাবদ ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৬৭০ টাকা, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট এবং টেকনিক্যাল সাপোর্ট সার্ভিস প্রদানের জন্য লোক নিয়োগ করে তাদের বেতন ভাতা বাবদ ৫ কোটি ৫২ লাখ ১৭ হাজার ৫শ’ টাকা প্রদান করে , প্রিপেইড মিটারে তিন বছরের ওয়ারেন্টি বাবদ ৭ কোটি ২১ লাখ ৩২ হাজার ২৩৪ টাকা, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট এবং টেকনিক্যাল সাপোর্ট সার্ভিস এর জন্য ভিন্ন একটি এলসি মূলে পুনরায় ১ কোটি ২৯ লাখ ৯৭ হাজার ৩৫০ টাকা , প্রশিক্ষণ প্রদান না করা সত্ত্বেও ভিন্ন একটি এলসি মূলে পুনরায় ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ৫শ’ টাকা , মিটার স্থাপনের পর ৩ বছরের মধ্যে BSECO কর্তৃক টেকনিক্যাল সার্ভিস প্রদানের কথা থাকলেও পুনরায় উক্ত সার্ভিস গ্রহণ বাবদ Hexing কে ৬২ লাখ ৬৯ হাজার ৩১০ টাকা, সেবা সংক্রান্ত এলসি মূলে ১৮ কোটি ১৪ লাখ ৬২ হাজার ৮৫২ টাকা, কোনো বিল ভাউচার ছাড়াই ইয়ে ওয়েনজুনের অনুকুলে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৭৬৫ টাকা প্রদান, ইয়ে ওয়েনজুন দেশে না থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন সময়ে তার নামে ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৬১ টাকা ও ২ লাখ ১৭ হাজার ৫০ টাকা ব্যাংক চেকের মাধ্যমে খরচ দেখিয়ে সর্বমোট ৩৩ কোটি ৪০ লাখ ২৪ হাজার ৩৭৯ টাকা আত্মসাত এবং BSECO এর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো . শফিক উদ্দিনের নির্দেশনা মোতাবেক ডিএমডি ইয়ে ওয়েনজুন এবং পরিচালক (অর্থ) আব্দুল মোতালেব পরস্পর যোগসাজশে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি ৩ লাখ ৫০ হাজার ইউএস ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় ২ কোটি ৯৭ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের বিদেশে পাচারের অপচেষ্টা করে দন্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

    দুদক খুলনার সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বলেন, দুদক কর্তৃপক্ষ উল্লিখিত আসামিদের অভিযোগ তদন্তের জন্য একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করবেন, পরবর্তীতে বিষয়টি আদালতে দাখিল করা হবে

    বাংলাদেশ সময়: ৯:৫১ অপরাহ্ণ | বুধবার, ৩১ মে ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ