পিরোজপুরের সদর উপজেলার নামাযপুর সাকিনা হামিদ বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সহ সুপার কে মাদ্রাসার ভেতরে ঢুকে মারধর করে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। শুক্রবার দুপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নামাযপুর সাকিনা হামিদ বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সহ সুপার মো: তৌহিদুল ইসলাম কে মাদ্রাসায় ভেতরে ঢুকে এ মামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন মাদ্রাসার সুপার।পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নেয় স্থানীয়রা। সহ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, নামাযপুর এলাকায় তার পৈত্রিক ৪৪ শতাংশ জমিতে তিন ভাইয়ের শুপারি বাগান থেকে পার্শবর্তী আবু জাফর ও তার লোকজন অন্যায় ভাবে সুপারি পেরে নিলে তার প্রতিবাদ করায় আবু জাফর ও তার লোকজন মাদ্রসার ভেতরে ঢুকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তার মাথা ফেটে যায় এবং আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। পরে জ্ঞান ফিরলে জানতে পারি স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। মাদ্রাসার সুপার আলী আফসার অহিদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে আবু জাফর ও তার লোকজন মাদ্রাসার ভেতরে ঢুকে বিভিন্ন ঝামেলা করে আসছিলো। প্রতিবাদ করলে এলাকার বখাটেদের নিয়ে এসে ঝামেলা করে। সহ সুপার তৌহিদুল ইসলামের বাগান থেকে সুপারি পেরে নিয়ে যাচ্ছিলো প্রতিপক্ষের লোকজন তাতে বাধা দিলে তাকে মাদ্রাসার ভেরতে ঢুকে বেধরক মারধর করে। জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার রমজান আলী জানান, রোগীর মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে সেখানে সেলাই দেয়া হয়েছে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ভর্তি রেখে রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আ.জ.মো: মাসুদুজ্জামান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। উভয় পক্ষই থানায় অভিযোগ পেয়েছি।এ বিষয়ে তদন্তপুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।