কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) (২০২১-২২) শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীকে রাতভর র্যাগিং ও নির্যাতনের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
হল প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষ্য দিতে শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি,২০২৩-ইং) বাবা ও মামা’র সঙ্গে ক্যাম্পাসে ফিরেছেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর জয়শ্রী সেনের তত্ত্বাবধানে বেলা ১২টার দিকে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে প্রবেশ করানো হয়।
নির্যাতনের ঘটনার বর্ণনা শুনতে হল প্রভোস্টের কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল ও দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক আহসানুল হকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ উপস্থিত হন।
এদিকে র্যাগিংয়ের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতির বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে শনিবার একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার রাশিদুজ্জামান খান টুটুল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে আনুমানিক রাত ১১টা থেকে রাত সাড়ে তিনটা পর্যন্ত উদ্ভুত পরিস্থিতি বিষয়ের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। উক্ত বিষয়ে কারোর নিকট কোনো তথ্য প্রমাণাদি থাকলে তা লিখিত আকারে/সশরীরে প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল ও সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির অফিসে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টার মধ্যে জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, হলের ভেতরে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে নিয়ে তদন্ত কমিটি বসেছেন। এখনও কার্যক্রম চলছে। আজকে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে ডাকা হয়েছে, ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকায় তার নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। এছাড়া তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্ত ওই দুই ছাত্রীকে আগামীকাল ক্যাম্পাসে ডাকা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুদফায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের (২০২১-২২) শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রীকে রাতভর র্যাগিং, শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ উঠে। এই ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও ফিন্যান্স বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাবাচ্ছুমসহ আরও (৭-৮) জন জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী।
