• শিরোনাম

    “সাফল্যের পূর্ণতায়, উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভেঙেছে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ প্রাঙ্গণে।

    মো: ওমর ফারুকঃ সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩

    “সাফল্যের পূর্ণতায়, উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভেঙেছে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ প্রাঙ্গণে।

    apps

    বিগত বছরের মতো এবারও ডেমরায় ড.মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে। ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের মোট ২২৭২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। পাসের হার ৯৯.৬৫। জিপিএ- ৫.০০ পেয়েছে ১২৯৯ জন শিক্ষার্থী, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৫৭.১৭%। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫.০০ পেয়েছে ১১০২ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ১৫৪ জন এবং মানবিক বিভাগ থেকে ৪৩ জন শিক্ষার্থী। প্রতিষ্ঠানের কৃতিত্বপূর্ণ এই সাফল্যে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে বইছে গৌরবদীপ্ত আনন্দ ধারা।

    দেশের অন্যতম শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব, ঐতিহ্যবাহী সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ, ড.মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জনাব ড.মাহবুবুর রহমান মোল্লা এবং সম্মানিত অধ্যক্ষ জনাব ওবায়দুল্লাহ নয়নসহ পরিচালনা পর্ষদের সুদক্ষ দিক-নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে একঝাঁক মেধাবী শিক্ষক। এই প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ মহোদয় বলেন, “প্রাজ্ঞ নির্দেশনা, সুদক্ষ পরিচালনা, নিয়মিত পাঠদান ও তদারকি, শিক্ষকমন্ডলীর আন্তরিকতা ও শিক্ষার্থীদের গভীর অধ্যবসায় এই সাফল্যের পিছনে মূলমন্ত্র হিসেবে কাজ করছে। কলেজের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় কোন শিক্ষার্থী ক্রমাগত খারাপ করলে তা অভিভাবকদের অভিহিত করা হয়। তিনি বলেন, “আমরা মানুষ গড়ার কাঙ্ক্ষীত পরিবেশ নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ব্যাপারে আমরা আপোষহীন। সুষ্ঠু পরিকল্পনা, কঠোর শৃঙ্খলা এবং অধ্যবসায় আমাদের এগিয়ে চলার মূল চাবিকাঠি।

    ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ (A+) পাওয়া শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন বলেন, ‘আজকের এই প্রাপ্তি আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ অর্জন। বাবা-মায়ের প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এসএসসি-তে A+ না পাওয়ার কষ্ট ভুলে আমি আজ বিজয়ী। স্যারদের নিরলস চেষ্টা, প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-কানুন ও বাবা-মায়ের পরিশ্রমে আজকে আমার এই অর্জন। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।

    অভিভাবক ইমতিয়াজ আহমেদ জানালেন তার সন্তুষ্টির কথা। তিনি বলেন, “আমার সন্তানের সাফল্যের মূল কারিগর ডিএমআরসি। আমার সন্তান কলেজে অনুপস্থিত থাকলে সাথে সাথে তা এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হতো। শিক্ষার্থীর সকল বিষয় অভিভাবকদের নখদর্পণে দিয়ে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীল ভূমিকায় আমি মুগ্ধ ও অভিভূত।’

    অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জনাব ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে তাঁর স্বপ্নের কথা জানালেন। মানুষ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আমাদের এ যাত্রা। অনেক স্বপ্ন আর আশা-আকাক্সক্ষা নিয়ে কলেজটির কাজ শুরু করি। মহান রাব্বুল আলামিনের অশেষ কৃপায় এলাকাবাসীর অপার সহযোগিতা, শিক্ষক-ম-লীর আন্তরিক পাঠদান এবং শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রমে সেই স্বপ্ন আজ পূরণ হয়েছে। তাই তো তেরো বছরের এই পথ পরিক্রমায় এই প্রতিষ্ঠান তার কাক্সিক্ষত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপায়ন করতে পেরেছে। এই অগ্রগতি মানবকল্যাণে অব্যাহত থাকুক।

    বাংলাদেশ সময়: ১:১০ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ