• শিরোনাম

    মালিবাগে কথিত মডেলের নির্যাতনের পর গৃহকর্মী নিখোঁজ থানায় জিডি

    শরীফ আহমেদ প্রতিবেদনঃ সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩

    মালিবাগে কথিত মডেলের নির্যাতনের পর গৃহকর্মী নিখোঁজ থানায় জিডি

    apps

    রাজধানীর পশ্চিম মালিবাগে একটি বাসার গৃহকত্রীর হাতে নির্যাতনের পর নিখোঁজ রয়েছেন রূপা(১৩) নামে এক গৃহকর্মী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিখোঁজ গৃহকর্মী রুপার মা আশা আক্তার রমনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। গত বৃহস্পতিবার ১৫ জুন রাত থেকে গৃহকর্মী রূপা নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। রমনা মডেল থানার সাধারণ ডায়েরি জিডি নং-১০৭৮।

    নিখোঁজ রুপার মা আশা আক্তার জানায়,রমনা মডেল থানার পশ্চিম মালিবাগ ৩১ নম্বর হোল্ডিংয়ের একটি বাসার তিন তলায় রূপা কাজের মেয়ে হিসেবে তিন বছর যাবত কাজ করে আসছিল। এ বাসার গৃহকত্রীর নাম লিজা (৩৮) একজন কথিত মডেল ও গায়িকা।গত তিন বছর আগে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার ঢালার পার ইউনিয়নের হতদরিদ্র আনোয়ার ও আশা দম্পতির সন্তান রুপা নামের ১৪ বছরের একটি মেয়েকে গৃহকর্মী হিসেবে ঐ বাসায় নিযুক্ত করে। নানা সময়ে ওই গৃহকর্মীর উপর কথিত মডেল ও গায়িকা লিজা নির্যাতন করত। এ কারণে বেশ কয়েকবার তারা মেয়েকে কাজ ছাড়িয়ে গ্রামে নিয়েও যেতে চেয়েছিল। কিন্তু গৃহকত্রী নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে ভুক্তভোগী রুপাকে ওই বাসাতেই রেখে দেন।
    হঠাৎ গত ১৫/ ৬/২৩ তারিখে রাত ১১ ঘটিকার সময় রমনা মডেল থানা পুলিশ জানায় আমার মেয়ে রূপা নিখোঁজ। আমরা ১৬/৬/২৩ তারিখ গ্রাম থেকে ঢাকায় এসে মডেল লিজার বাসায় যাই। তার কাছে আমার
    মেয়ের কথা জানতে চাইলে সে বলে গত ১৩/৬/২৩ তারিখে তোমার মেয়ে বাসার নিচে পানি আনার কথা বলে নিচে যায় সে আর ফিরে আসে নাই। লিজা আরো বলে, এ বিষয়ে থানায় জিডি করেছে রূপাকে খুঁজে বের করার জন্য ।আমরা মেয়েকে ফিরে পেতে কান্নাকাটি করলে সে বিভিন্ন ধরনের ভয় ভীতি ও হুমকি ধামকি প্রদান করে।

    গৃহকর্মী রুপার নিখোঁজের বিষয়ে তার বাবা মা রমনা থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ তাদের অভিযোগ গ্রহণ না করে থানা থেকে বের করে দেয় বলেও জানান তারা।

    অসহায় নিখোঁজ গৃহকর্মীর বাবা মা কান্না জরিত কন্ঠে গনমাধ্যম কর্মীদের বলেন, স্যার আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দেন, লিজা আক্তারের অনেক টাকা, সে থানা পুলিশ ম্যানেজ করে ফেলেছে আমার মেয়েকে হয়তো মেরে ফেলেছে নাহলে বিক্রি করে দিয়েছে আপনারা আমার মেয়েকে আমার বুকে ফিরিয়ে দিন।

    এ বিষয়ে রমনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসান বলেন, গৃহকত্রী লিজা ম্যাডামের জিডিটি আমরা তদন্ত করে দেখছি।

    পরে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে নিখোঁজ গৃহকর্মীর বাবা মায়ের অনুরোধে একটি জিডি নেয়ার জন্য অফিসার কে নির্দেশ দেন।

    এ বিষয়ে গৃহকত্রী লিজা আক্তারের সাথে কথা বলতে গেলে সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। এবং বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

    গৃহকত্রী লিজার বিষয়ে এলাকাবাসী বিরূপ মন্তব্য প্রকাশ করেন ।তারা জানান লিজা কথিত মডেল ও সিঙ্গার, তার ছেলে লাবিব কিশোর গ্যাং নেতা তাদের প্রভাবে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।

    বাংলাদেশ সময়: ৯:৫৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ