• শিরোনাম

    বোন হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

    রংপুর ব্যুরো: শনিবার, ১৩ মে ২০২৩

    বোন হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

    apps

    রংপুরের মিঠাপুকুরে ছয় সন্তানের জননী শাহজাদী বেগমের (৪৮) রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় ভগ্নিপতি ও ভাগ্নেদের দায়ি করে ন্যায় বিচারের জন্য সংবাদ সম্মেলন করেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে নিহত শাহাজাদী বেগমের ভাই, ভাতিজা এবং স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। ১৩ মে শনিবার সকাল ১০টায় মিঠাপুকুর রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন শাহজাদী বেগমের ভাই ও তার স্বজনরা। শাহজাদী বেগমের বড় ভাই মো. ফুলবাবু মিয়া ও ছোট ভাই বেলাল মিয়া বলেন, আমরা গরীব মানুষ। শাহজাদী বেগম তার পাঁচ ছেলে এবং এক মেয়েকে লেখাপড়া করাতে মানুষের বাড়িতে কাজ করতেন। ছেলেরা বিয়ে করার পর স্ত্রীদের কথায় মাকে পরিবারের বোঝা মনে করতেন।

    বিভিন্ন সময়ে স্বামী আমির হোসেন ও তার সন্তানরা শাহজাদী বেগমকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। অত্যাচার আর পাশবিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শাহজাদী বেগম একাধিকবার ভাইদের বাড়ি আফজালপুর গ্রামে চলে এসে ছিলেন। কয়েকবার গ্রাম্য সালিশ করে ছেলেরা এবং স্বামী আমির হোসেন শাহজাদী বেগমকে অত্যাচার করবেনা মর্মে অঙ্গিকার দিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। শাহজাদী বেগম স¤পূর্ণ সুস্থ্য ও স্বাভাবিক ছিলেন। ফুলবাবু মিয়া বলেন, ঘটনার দিন মঙ্গলবার তিনি ধান কাটা শ্রমিক হিসেবে ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থান করছিলেন। সংবাদ পেয়ে বিকালে বাড়িতে এসে জানতে পারে শাহজাদী বেগম বিষপানে আত্নহত্যা করেছে। তিনি হত্যা করেনি। ব্যাংক কর্মকর্তা ছেলে সাইদুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন ও তাদের স্ত্রীগণ প্রচুর মারধর করে অচেতন অবস্থায় মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছেন। তার দাবি ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শী উপস্থিত ছিলো।

    তিনি বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। শেষে আত্নহত্যার প্ররোচনা মামলা দায়ের করতে চাইলেও পুলিশ তাদের কথা শুনেনি। বেলাল হোসেন বলেন, আমার বোনের মৃত্যুর দিন মারপিট সহ্য করতে না পেরে জীবন বাঁচাতে বাড়ির পাশে পালিয়ে যেতে ধরলে সেখান থেকে আমির হোসেন এবং ছেলে সাজ্জাদ হোসেনসহ তার ছেলেদের স্ত্রীরা জোরপূর্বক মারতে মারতে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। সেটা স্থানীয় লোকজন দেখেছে। এটা পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। আমরা আত্নহত্যার প্ররোচনায় মামলা করতে গেলে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। আমরা ন্যায় বিচার চাই। নিহত শাহজাদী বেগমের বড় ছেলে সাইদুল ইসলাম বলেন, মা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলো। তার মৃত্যুর ঘটনায় আমরা কেউ দায়ি নই। যখন তিনি বিষপান করেন তখন বাড়িতে কেউ উপস্থিত ছিলাম না। মামাদের কারণে লাশের পোস্টমর্টেমসহ বিভিন্ন কারণে মোটা অংকের টাকা ব্যয় করতে হয়েছে।

    মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, যাদের বিরুদ্ধে আত্নহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ তুলেছে তারা কেউ ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। নিহতের ভাইদের অসঙ্গতিপূর্ণ কথাবার্তায় অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    বাংলাদেশ সময়: ৭:২৪ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৩ মে ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ