অনলাইন ডেস্ক রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
প্রধান সড়কের পাশে অধিক মুল্যমানের জমি হওয়ায় অন্যের সম্পত্তি নিজের দাবী করে দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে গৌতম চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে । এ ব্যপারে নওগাঁ’র অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেছেন ভুক্তভোগি জমির মালিক মোঃ ফিরোজ হোসেন ।
মামলা এবং সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে মহাদেবপুর উপজেলার দক্ষিন হোসেনপুর মৌজার নওগাঁ-মহাদেবপুর প্রধান সড়কের উত্তর পার্শ্বে জনৈক মৃত রামজয় মন্ডলের পুত্র মৃত জিতেন্দ্রনাথ মন্ডল এর দুই পুত্র নীরেন চন্দ্র মন্ডল ও উজ্জল কুমার মন্ডলের নিকট থেকে তার পৈত্রিক সম্পত্তি সাবেক দাগ নং ১১৮ ও হাল দাগ নং ১২৫ মোতাবেক ৩.৪৪ শতাংশ, সাবেক দাগ নং ১১৯ হাল দাগ নং ১২৬ মোতাবেক ১৫.৩২ শতাংশসহ মোট ১৮.৭৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন বদলগাছী উপজেলার গোল্লা মাধবপাড়া নিবাসী মেজাম্মেল হকের পুত্র মোঃ ফিরোজ হোসেন সরদার। সেখানে এক অংশে পাকা ঘর তুলে লেদ ব্যবসা শুরু করেন। একটি অংশে টিনের একটি ঘর তোলেন। মোট ১.৬৯ একর এর মধ্যে ১৮.৭৬শতাংশ দক্ষিনাংশে দখল রয়েছে। সম্পত্তির তফশীল মোতাবেক ফির্জো হোসেনের অনুকলে একটি হাত নকসাও প্রদান করা হয়েছে সে অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি ক্রেতা ফিরোজ হোসেনের অনুকুলেই রয়েছে। তবে সাবেক দাগ নং ১২১ হাল দাগ নং ১২৯ মোতাবেক ৫.৭৬ শতাংশ জমি পৈত্রিক সম্পত্তি হিসেবে মৃত জিতেন্দ্রনাথ মন্ডলের দুইপুত্র তাদের দখলে রয়েছে।
অপরদিকে মহাদেবপুর উপজেলার শিবগঞ্জ বাজার এলাকার মৃত নগেন্দ্রনাথ দাসের পুত্র গৌতম চন্দ্র দাস উক্ত জিতেন্দ্র নাথ মন্ডলের অপর ভাই ক্ষেত্র মোহনের নিকট থেকে অনুরুপ পৃথক ৩ দাগে মালিকানাধীন তার অংশের সম্পত্তি ক্রয় করে মালিকানা লাভ করে। পরবর্তীতে উক্ত গৌতম চন্দ্র দাস গায়ের জোরে অন্য দুই দাগের সম্পত্তি বাদ দিয়ে প্রদান সড়কের পাশে অবস্থিত সাবেক দাগ নং ১১৯ হাল দাগ নং ১২৬ অংশে তার সমস্ত সম্পত্তি দাবী করে দখলের অপচেষ্টা করতে থাকে। অথচ শরীকানা অংশ হিসেবে গৌতম যার নিকট থেকে সম্পত্তি ক্রয় করেছেন উক্ত ক্ষেত্র মোহনের উক্ত ১২৬ দাগে মোট সম্পত্তি আছে ২১ শাতংশ।
তার মধ্যে সাড়ে ১০ শতাংশ সম্পত্তি সড়ক সম্প্রসারনের প্রয়োজনে নিয়েছে এবং যথাযথ তার মুল্যও পরিশ্ধো করেছে। বাঁকী সাড়ে ১০ শতাংশ সম্পত্তি যথারীতি পরিত্যক্ত রয়েছে। অপর পৃথক দু’টি দাগে যথারীতি ফসল উৎপাদিত হচ্ছে। সেখানে সম্পত্তি না নিয়ে অন্যের কেনা সম্পত্তি জোরপূর্বক মাটি ভরাট করে দখলের চেষ্টা চারাচ্ছে।তার বিরুদ্ধে জমির বর্তমান মালিক মোঃ ফিরোজ হোসেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ২৬৭ মিস/২০২৪ নম্বর মামলাটি আনায়ন করেছেন এবং সুষ্ঠ বিচার দাবী করেছেন।
এবিষয়ে গৌতম চন্দ্র দাস সাথে যোগায়োগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জমিতে আমি মাটি ফেলছি। সড়ক ও জনপদ বিভাগের জমি দখল করে মাটি ভড়াটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জোরপূর্বক দখল করি আর বেআইনী ভাবে দখল করি সেটা আমি বুঝবো আর সড়ক বিভাগ বুঝবে। সরকারি জমি দখল করছি ওনার কি সমস্যা। তার পরেও ঔ জমি নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে। তবে যা বলার আদালতে বলবো বলে ফোন রাখতে বলেন।
মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন বলেন, যেহেতু এটা আদালতের বিষয়, ১৪৪/১৪৫ এর ধারা মোতাবেক নির্দেশ পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel